০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের উপহারে পার্সেল বোমা, চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় কলেজ শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, বুধবার
  • / 117

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ২০১৮ সালের চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। ঘটনাটি ঘটে ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ওড়িশার বলঙ্গির জেলায়। বিয়ের উপহার খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছিল সদ্য বিবাহিত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সৌম্যশেখর সাহু (২৬) এবং তাঁর ঠাকুমা জেমামণি সাহু (৮৫)-র। গুরুতর আহত হয়েছিলেন ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী রীমা (২২)-ও।

বুধবার এই মামলায় বলঙ্গির জেলার পাটনাগড় শহরের জ্যোতি বিকাশ কলেজের ইংরেজি ভাষার লেকচারার, পুঞ্জিলাল মেহেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল পাটনাগড়ের অতিরিক্ত দায়রা আদালত। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌম্যশেখরের মা সংযুক্তা সাহুর সহকর্মী ছিল পুঞ্জিলাল। যে বিয়েবাড়িতে অভিযুক্ত পুঞ্জিলাল মেহের বোমা পাঠিয়েছিলেন, সেটি ছিল তাঁর কলেজের অধ্যক্ষের পুত্রের বিয়ে। অধ্যক্ষের সঙ্গে কর্মসূত্রে বিবাদ চলছিল ওই কলেজ শিক্ষকের। সেই বিবাদের জেরেই অধ্যক্ষের পুত্রকে হত্যার ছক কষেন তিনি।

বিয়ের অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না অভিযুক্ত। বিয়ের পরের দিন পার্সেলে একটি উপহার পেয়েছিলেন ওড়িশার বোলানগিরের বাসিন্দা পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সৌম্য এবং তাঁর স্ত্রী রিমা সাহু। প্যাকেট খুলতেই বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় সৌম্য ও তাঁর ঠাকুমার। মারাত্মক ভাবে ঝলসে যান রিমা। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন তিনি।

বছর সাতেক আগের ওই ঘটনায় খুন, খুনের চেষ্টা, অপরাধ প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এবং বিস্ফোরক মামলায় বুধবার মেহেরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ওড়িশার আদালত। তাঁর আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পার্সেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে একটি ‘নৃশংস’ অপরাধ বলে ব্যাখ্যা করলেও এটিকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ মামলা বলে মনে করছেন না ওড়িশার আদালতের বিচারক।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ওই ঘটনার পরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই বছরের ২৩ মার্চ থেকে তদন্ত শুরু করে অপরাধদমন শাখা। এপ্রিলেই অভিযুক্ত লেকচারার ধরা পড়ে যান তদন্তকারীদের হাতে। সেই থেকে ওড়িশার পটনাগড়ের একটি জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিয়ের উপহারে পার্সেল বোমা, চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় কলেজ শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা

আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ২০১৮ সালের চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। ঘটনাটি ঘটে ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ওড়িশার বলঙ্গির জেলায়। বিয়ের উপহার খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছিল সদ্য বিবাহিত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সৌম্যশেখর সাহু (২৬) এবং তাঁর ঠাকুমা জেমামণি সাহু (৮৫)-র। গুরুতর আহত হয়েছিলেন ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী রীমা (২২)-ও।

বুধবার এই মামলায় বলঙ্গির জেলার পাটনাগড় শহরের জ্যোতি বিকাশ কলেজের ইংরেজি ভাষার লেকচারার, পুঞ্জিলাল মেহেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল পাটনাগড়ের অতিরিক্ত দায়রা আদালত। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌম্যশেখরের মা সংযুক্তা সাহুর সহকর্মী ছিল পুঞ্জিলাল। যে বিয়েবাড়িতে অভিযুক্ত পুঞ্জিলাল মেহের বোমা পাঠিয়েছিলেন, সেটি ছিল তাঁর কলেজের অধ্যক্ষের পুত্রের বিয়ে। অধ্যক্ষের সঙ্গে কর্মসূত্রে বিবাদ চলছিল ওই কলেজ শিক্ষকের। সেই বিবাদের জেরেই অধ্যক্ষের পুত্রকে হত্যার ছক কষেন তিনি।

বিয়ের অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না অভিযুক্ত। বিয়ের পরের দিন পার্সেলে একটি উপহার পেয়েছিলেন ওড়িশার বোলানগিরের বাসিন্দা পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সৌম্য এবং তাঁর স্ত্রী রিমা সাহু। প্যাকেট খুলতেই বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় সৌম্য ও তাঁর ঠাকুমার। মারাত্মক ভাবে ঝলসে যান রিমা। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন তিনি।

বছর সাতেক আগের ওই ঘটনায় খুন, খুনের চেষ্টা, অপরাধ প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এবং বিস্ফোরক মামলায় বুধবার মেহেরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ওড়িশার আদালত। তাঁর আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পার্সেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে একটি ‘নৃশংস’ অপরাধ বলে ব্যাখ্যা করলেও এটিকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ মামলা বলে মনে করছেন না ওড়িশার আদালতের বিচারক।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ওই ঘটনার পরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই বছরের ২৩ মার্চ থেকে তদন্ত শুরু করে অপরাধদমন শাখা। এপ্রিলেই অভিযুক্ত লেকচারার ধরা পড়ে যান তদন্তকারীদের হাতে। সেই থেকে ওড়িশার পটনাগড়ের একটি জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি।