আরবলীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার বৈঠকে কে কী বললেন
- আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার
- / 417
কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি সম্মেলনে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। প্রায় ৬০টি দেশের প্রতিনিধি এ সম্মেলনে যোগ দেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বলেন, ইসরায়েলের এই হামলা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলোচনার পথ রুদ্ধ করেছে। তিনি একে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা বলে আখ্যা দেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলকে “সন্ত্রাসী মানসিকতার রাষ্ট্র” বলে বর্ণনা করেন এবং মুসলিম দেশগুলোকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসৌদ পেজেশকিয়ান মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের আর নীরব থাকার সময় নেই।”
জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ যুদ্ধ বন্ধে সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তোলেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, নতুবা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ইসরায়েলের হামলাকে “বেপরোয়া উসকানি” বলে বর্ণনা করেন, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধিরা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে ওআইসি ও আরব লিগের মহাসচিবরা বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে এক কণ্ঠে দাঁড়াতে হবে। তারা আন্তর্জাতিক মহলকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জোর আহ্বান জানান।
সম্মেলনের শেষে নেতারা ঘোষণা করেন, ফিলিস্তিনের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় মুসলিম বিশ্বের ঐক্যই হবে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।



























