০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোন যুক্তিতে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়?  তথ্য পেশ করতে নারাজ গুজরাত সরকার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 3

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত ১১ জন  দোষীদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাত  সরকার।  মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সু-ব্যবহারের কারণ দেখিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। যদিও বা সেই ‘সুআচারের’ খতিয়ান পেশ করতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ১১ জন অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের মুক্তির পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের নায়কোচিত সম্মানে ভূষিত করে। ফুল এবং মিষ্টি বিতরণ করে ১১ জন অপরাধীকে বরণ করা হয়। এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।

এই পরিস্থিতিতে কী কী মানদণ্ড বিবেচনা করে ওই ১১ অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তথ্যের অধিকার আইনে তা জানতে চেয়েছিলেন পঙ্কটি। কিন্তু মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্যানেলের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে তথ্য দিতে চায়নি গুজরাত সরকার।

 

২০০২-র ফেব্রুয়ারিতে গুজরাট হিংসার সময় গণধর্ষিতা হন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ২১ বছরের বিলকিস বানো। তাঁর তিন বছরের মেয়েকে আছড় মেরে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, খুন হয়েছিলেন বিলকিসের পরিবারের আরও ৭ জন। সেই ঘটনায় ২০০৮-এ অভিযুক্ত ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। চলতি বছরের ১৫ অগাস্ট দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া হলে এই নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কোন যুক্তিতে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়?  তথ্য পেশ করতে নারাজ গুজরাত সরকার

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত ১১ জন  দোষীদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাত  সরকার।  মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সু-ব্যবহারের কারণ দেখিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। যদিও বা সেই ‘সুআচারের’ খতিয়ান পেশ করতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ১১ জন অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের মুক্তির পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের নায়কোচিত সম্মানে ভূষিত করে। ফুল এবং মিষ্টি বিতরণ করে ১১ জন অপরাধীকে বরণ করা হয়। এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।

এই পরিস্থিতিতে কী কী মানদণ্ড বিবেচনা করে ওই ১১ অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তথ্যের অধিকার আইনে তা জানতে চেয়েছিলেন পঙ্কটি। কিন্তু মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্যানেলের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে তথ্য দিতে চায়নি গুজরাত সরকার।

 

২০০২-র ফেব্রুয়ারিতে গুজরাট হিংসার সময় গণধর্ষিতা হন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ২১ বছরের বিলকিস বানো। তাঁর তিন বছরের মেয়েকে আছড় মেরে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, খুন হয়েছিলেন বিলকিসের পরিবারের আরও ৭ জন। সেই ঘটনায় ২০০৮-এ অভিযুক্ত ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। চলতি বছরের ১৫ অগাস্ট দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া হলে এই নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।