১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিছিয়ে যাচ্ছে ‘এক দেশ এক ভোট’ প্রক্রিয়া, তৃতীয়বার বাড়ল সংসদীয় কমিটির মেয়াদ

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শীতকালীন অধিবেশনে ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে ব্যর্থ হলো যৌথ সংসদীয় কমিটি। ফলে কমিটির মেয়াদ তৃতীয়বারের মতো বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বাজেট অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিনে রিপোর্ট পেশ করবে কমিটি।

বিলটি বর্তমানে যৌথ কমিটির পর্যবেক্ষণে রয়েছে, যেখানে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির মতামত নেওয়া হচ্ছে। কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপি সাংসদ পি.পি. চৌধুরী আগেই জানিয়েছেন, ২০৩৪ সালের আগে এই নীতি কার্যকর হওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এবার রিপোর্ট জমা বিলম্বিত হওয়ায় সেই সম্ভাবনাও আরও দূরবর্তী হয়ে গেল।

আরও পড়ুন: পহেলগাঁওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে যাচ্ছে সংসদীয় কমিটি

পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী লোকসভা নির্বাচন ২০২৯ সালে, যার মেয়াদ শেষ হবে ২০৩৪ সালে। সে কারণেই সমন্বিত নির্বাচন চালুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০৩৪ সালের প্রথমার্ধ। কেন্দ্র ১২৯তম সাংবিধানিক সংশোধনী আনতে চায় যাতে লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা ও পঞ্চায়েত—সব নির্বাচন একসঙ্গে করা যায়।

তবে বিরোধীরা বলছে, এই সংশোধনী ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। একসঙ্গে নির্বাচন চালু হলে বহু রাজ্যে ২০২৯–এর পর বিধানসভার মেয়াদ কমে যাওয়ার আশঙ্কাও উত্থাপন করেছেন তাঁরা।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.
সর্বধিক পাঠিত

সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর আইসিসের হামলার জবাব দেওয়া হবে: ট্রাম্প

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পিছিয়ে যাচ্ছে ‘এক দেশ এক ভোট’ প্রক্রিয়া, তৃতীয়বার বাড়ল সংসদীয় কমিটির মেয়াদ

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শীতকালীন অধিবেশনে ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে ব্যর্থ হলো যৌথ সংসদীয় কমিটি। ফলে কমিটির মেয়াদ তৃতীয়বারের মতো বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বাজেট অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিনে রিপোর্ট পেশ করবে কমিটি।

বিলটি বর্তমানে যৌথ কমিটির পর্যবেক্ষণে রয়েছে, যেখানে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির মতামত নেওয়া হচ্ছে। কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপি সাংসদ পি.পি. চৌধুরী আগেই জানিয়েছেন, ২০৩৪ সালের আগে এই নীতি কার্যকর হওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এবার রিপোর্ট জমা বিলম্বিত হওয়ায় সেই সম্ভাবনাও আরও দূরবর্তী হয়ে গেল।

আরও পড়ুন: পহেলগাঁওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে যাচ্ছে সংসদীয় কমিটি

পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী লোকসভা নির্বাচন ২০২৯ সালে, যার মেয়াদ শেষ হবে ২০৩৪ সালে। সে কারণেই সমন্বিত নির্বাচন চালুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০৩৪ সালের প্রথমার্ধ। কেন্দ্র ১২৯তম সাংবিধানিক সংশোধনী আনতে চায় যাতে লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা ও পঞ্চায়েত—সব নির্বাচন একসঙ্গে করা যায়।

তবে বিরোধীরা বলছে, এই সংশোধনী ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। একসঙ্গে নির্বাচন চালু হলে বহু রাজ্যে ২০২৯–এর পর বিধানসভার মেয়াদ কমে যাওয়ার আশঙ্কাও উত্থাপন করেছেন তাঁরা।