১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের বাজারে রফতানির জন্য এ রাজ্যে পেঁয়াজ অগ্নি মূল্য

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার
  • / 95

ইনামুল হক, বসিরহাট: এ রাজ্যে যখন অগ্নি মূল্য পেঁয়াজ তখন ভারত থেকে টন টন পেঁয়াজ বাংলাদেশের বাজারে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত তথা এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তর স্থলবন্দর বন্দর দিয়ে প্রতিদিন নাসিক, মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্গালোর সহ ভিন রাজ্যসহ পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১২০টি গাড়িতে করে এদেশের পেঁয়াজ ওপার বাংলায় রফতানি হচ্ছে। যেখানে পেঁয়াজের যোগান কম, সেখানে প্রতিদিন ৩৬০০ টন পেঁয়াজ যাচ্ছে বাংলাদেশে।

স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের যোগান কম হওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ হচ্ছে অগ্নিমূল্য। এখন পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ নাগরিকের। যেখানে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ এক থেকে দেড় কেজি পেঁয়াজ কিনত সেখানে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনছে বহু পরিবার।

গতবছর এই সময় পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি। সেখানে এখন দাম দ্বিগুণ। তার উপরে বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজের মতো কৃষিজ ফসলও। সাধারণ মানুষ তথা কৃষকেরা চাইছে রফতানি হোক। কিন্তু দেশের মানুষ পেঁয়াজ থেকে বঞ্চিত যেন না হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ ওপার বাংলায় যাওয়ায় আমরা বেশি দামে কিনে খাচ্ছি আর বাংলাদেশের নাগরিকরা কমদামে কিনে খাচ্ছে এমনই মত নিত্য বাজারে আসা আমজনতার। তাই এবার এ দেশের পেঁয়াজ রফতানি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেল জনমানসে।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশের বাজারে রফতানির জন্য এ রাজ্যে পেঁয়াজ অগ্নি মূল্য

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার

ইনামুল হক, বসিরহাট: এ রাজ্যে যখন অগ্নি মূল্য পেঁয়াজ তখন ভারত থেকে টন টন পেঁয়াজ বাংলাদেশের বাজারে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত তথা এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তর স্থলবন্দর বন্দর দিয়ে প্রতিদিন নাসিক, মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্গালোর সহ ভিন রাজ্যসহ পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১২০টি গাড়িতে করে এদেশের পেঁয়াজ ওপার বাংলায় রফতানি হচ্ছে। যেখানে পেঁয়াজের যোগান কম, সেখানে প্রতিদিন ৩৬০০ টন পেঁয়াজ যাচ্ছে বাংলাদেশে।

স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের যোগান কম হওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ হচ্ছে অগ্নিমূল্য। এখন পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ নাগরিকের। যেখানে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ এক থেকে দেড় কেজি পেঁয়াজ কিনত সেখানে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনছে বহু পরিবার।

গতবছর এই সময় পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি। সেখানে এখন দাম দ্বিগুণ। তার উপরে বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজের মতো কৃষিজ ফসলও। সাধারণ মানুষ তথা কৃষকেরা চাইছে রফতানি হোক। কিন্তু দেশের মানুষ পেঁয়াজ থেকে বঞ্চিত যেন না হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ ওপার বাংলায় যাওয়ায় আমরা বেশি দামে কিনে খাচ্ছি আর বাংলাদেশের নাগরিকরা কমদামে কিনে খাচ্ছে এমনই মত নিত্য বাজারে আসা আমজনতার। তাই এবার এ দেশের পেঁয়াজ রফতানি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেল জনমানসে।