৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রামীণ ভারতে মাত্র ৮% বাচ্চাদের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস আছে: রিপোর্ট

নয়াদিল্লি: করোনা যখন শিক্ষাব্যবস্থাকে ছারখার করে দিতে চলেছিল, তখনই শিক্ষাব্যবস্থার হাল ধরে অনলাইন ক্লাস। ছাত্রছাত্রীরা বেশ উৎসাহের সঙ্গেই ক্লাস করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রথম যে জিনিসটি লাগে সেটি হল একটি স্মার্ট ফোন এবং কম্পিউটার। কম্পিউটার অত্যাবশ্যক উপাদান। ক্লাস করার জন্য স্মার্ট ফোন একাই যথেষ্ট নয়।সমীক্ষায় জানা গেছে,লকডাউনে গ্রামীণ ভারতে মাত্র ৮শতাংশ শিশুর অনলাইন শিক্ষার সুযোগ ছিল।এর মধ্যে অনেকেরই কম্পিউটারে প্রবেশাধিকার নেই, এর মালিক হওয়ার ক্ষমতা তো দূরের কথা।বলছে ইউনিসেফের একটি রিপোর্ট ।
যদিও মিডিয়া, রাজনীতিবিদ এবং সরকার তালিবান, পাকিস্তান, ‘লাভ জিহাদ’ বা ‘মাদকদ্রব্য জিহাদ’ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে, সেখানে ছাত্রদের ভবিষ্যতের দিকে সামান্য মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, যা আমাদেরকে ‘জনাব, আইস কাইসে’ জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য করেছে?বলেছে অন্য একটি রিপোর্ট।
স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সার্চ তালিকায় শহর এলাকার থেকে এগিয়ে গ্রামীণ ভারত। ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল ডেটার তথ্যে গিয়েছে শহরের থেকে গ্রামীণ এলাকায় ১০ শতাংশ সার্চ হয়েছে। শহরাঞ্চলের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেখানে ২০.৫ কোটি, সেখানে গ্রামীণ এলাকার ২২.৭ কোটি বলে সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। সমীক্ষায় আরও ইঙ্গিত মিলেছে এই পরিবর্তন এসেছে স্মার্টফোন এবং হাই-স্পিড ডেটার কারণে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, প্রথমবার ভারতীয় স্মার্টফোনের বাজার পিছনে ফেলে দিয়েছে আমেরিকার বাজারকেও, চিনের পর ভারত দ্বিতীয় স্মার্টফোনের বাজার হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০.৪ কোটি, চিনের কাছে তা দ্বিতীয়। চিনে রয়েছে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যার সংখ্যা ৮৫০ কোটি।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

বাংলাতেই মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ কেনো? কমিশনকে প্রশ্ন অভিষেকের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গ্রামীণ ভারতে মাত্র ৮% বাচ্চাদের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস আছে: রিপোর্ট

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

নয়াদিল্লি: করোনা যখন শিক্ষাব্যবস্থাকে ছারখার করে দিতে চলেছিল, তখনই শিক্ষাব্যবস্থার হাল ধরে অনলাইন ক্লাস। ছাত্রছাত্রীরা বেশ উৎসাহের সঙ্গেই ক্লাস করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রথম যে জিনিসটি লাগে সেটি হল একটি স্মার্ট ফোন এবং কম্পিউটার। কম্পিউটার অত্যাবশ্যক উপাদান। ক্লাস করার জন্য স্মার্ট ফোন একাই যথেষ্ট নয়।সমীক্ষায় জানা গেছে,লকডাউনে গ্রামীণ ভারতে মাত্র ৮শতাংশ শিশুর অনলাইন শিক্ষার সুযোগ ছিল।এর মধ্যে অনেকেরই কম্পিউটারে প্রবেশাধিকার নেই, এর মালিক হওয়ার ক্ষমতা তো দূরের কথা।বলছে ইউনিসেফের একটি রিপোর্ট ।
যদিও মিডিয়া, রাজনীতিবিদ এবং সরকার তালিবান, পাকিস্তান, ‘লাভ জিহাদ’ বা ‘মাদকদ্রব্য জিহাদ’ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে, সেখানে ছাত্রদের ভবিষ্যতের দিকে সামান্য মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, যা আমাদেরকে ‘জনাব, আইস কাইসে’ জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য করেছে?বলেছে অন্য একটি রিপোর্ট।
স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সার্চ তালিকায় শহর এলাকার থেকে এগিয়ে গ্রামীণ ভারত। ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল ডেটার তথ্যে গিয়েছে শহরের থেকে গ্রামীণ এলাকায় ১০ শতাংশ সার্চ হয়েছে। শহরাঞ্চলের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেখানে ২০.৫ কোটি, সেখানে গ্রামীণ এলাকার ২২.৭ কোটি বলে সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। সমীক্ষায় আরও ইঙ্গিত মিলেছে এই পরিবর্তন এসেছে স্মার্টফোন এবং হাই-স্পিড ডেটার কারণে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, প্রথমবার ভারতীয় স্মার্টফোনের বাজার পিছনে ফেলে দিয়েছে আমেরিকার বাজারকেও, চিনের পর ভারত দ্বিতীয় স্মার্টফোনের বাজার হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০.৪ কোটি, চিনের কাছে তা দ্বিতীয়। চিনে রয়েছে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যার সংখ্যা ৮৫০ কোটি।