০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিরোধীরা ‘সন্ত্রাসী’, তাদের সঙ্গে আলোচনা নয়­ মায়ানমারের জান্তা প্রধান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার
  • / 58

পুবের কলম প্রতিবেদক: মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দেশটির ক্ষমতায় থাকা সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী’ বিরোধী বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনী কোনও ধরনের আলোচনায় যাবে না। তিনি ওই ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করারও অঙ্গীকার করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা। গতবছরের অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারীরা বলছে, তারাও হাল ছাড়বে না, লড়াই চালিয়ে যাবে।

 

আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ: নীতীশের ইফতার মজলিস বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির

নোবেল পুরস্কারজয়ী আং সান সু কি-র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে গতবছরের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতায় বসে দেশটির সামরিক বাহিনী। স্থানীয়ভাবে এই বাহিনী তাতমাদাও নামে পরিচিত। ওই অভ্যুত্থানের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হচ্ছে। সামরিক কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: বাংলাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮

 

আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

রবিবার স্থানীয় সময় সকালে মায়ানমারের বিভিন্ন সড়কে অভ্যুত্থান, বিরোধীদেরও দেখা গেছে, তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ফ্যাসিবাদী সামরিক বাহিনীকে উচ্ছেদ করো’। তারপরও ভাষণে হ্লাইং ‘সন্ত্রাসী’ বিরোধীদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তাতমাদাও আর বিবেচনায় নেবে না এবং তাদের শেষ দেখে ছাড়বে, বলেছেন তিনি।

 

অভ্যুত্থান, বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের প্রতিরোধ যুদ্ধের নামে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিকদের হত্যা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলছে, গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর হাতেই হাজারের বেশি মানুষ খুন হয়েছে। বিরোধীদের জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) বলেছে, মায়ানমারের জনগণ সামরিক বাহিনী এবং এর ফ্যাসিবাদী মূল ও শাখা-প্রশাখা উপড়ে ফেলবে।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিরোধীরা ‘সন্ত্রাসী’, তাদের সঙ্গে আলোচনা নয়­ মায়ানমারের জান্তা প্রধান

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দেশটির ক্ষমতায় থাকা সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী’ বিরোধী বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনী কোনও ধরনের আলোচনায় যাবে না। তিনি ওই ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করারও অঙ্গীকার করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা। গতবছরের অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারীরা বলছে, তারাও হাল ছাড়বে না, লড়াই চালিয়ে যাবে।

 

আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ: নীতীশের ইফতার মজলিস বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির

নোবেল পুরস্কারজয়ী আং সান সু কি-র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে গতবছরের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতায় বসে দেশটির সামরিক বাহিনী। স্থানীয়ভাবে এই বাহিনী তাতমাদাও নামে পরিচিত। ওই অভ্যুত্থানের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হচ্ছে। সামরিক কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: বাংলাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮

 

আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

রবিবার স্থানীয় সময় সকালে মায়ানমারের বিভিন্ন সড়কে অভ্যুত্থান, বিরোধীদেরও দেখা গেছে, তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ফ্যাসিবাদী সামরিক বাহিনীকে উচ্ছেদ করো’। তারপরও ভাষণে হ্লাইং ‘সন্ত্রাসী’ বিরোধীদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তাতমাদাও আর বিবেচনায় নেবে না এবং তাদের শেষ দেখে ছাড়বে, বলেছেন তিনি।

 

অভ্যুত্থান, বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের প্রতিরোধ যুদ্ধের নামে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিকদের হত্যা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলছে, গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর হাতেই হাজারের বেশি মানুষ খুন হয়েছে। বিরোধীদের জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) বলেছে, মায়ানমারের জনগণ সামরিক বাহিনী এবং এর ফ্যাসিবাদী মূল ও শাখা-প্রশাখা উপড়ে ফেলবে।