পেট্রোল-ডিজেলের দামবৃদ্ধি নিয়ে এককাট্টা বিরোধী দল, প্রতিবাদে মমতা থেকে রাহুল, স্ট্যালিন

- আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
- / 70
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সোমবার রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি দাম বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের। একধাক্কায় রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। একই সঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্সাইজ ডিউটি ২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। রান্নার গ্যাস এবং পেট্রোল-ডিজেল দুইয়ের দামের জাঁতাকলে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের। দামবৃদ্ধির তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধি, এম কে স্ট্যালিন থেকে অখিলেশ যাদব কেন্দ্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছেন। সাধারণ মানুষের উপর বিজেপি সরকার অতিরিক্ত বোঝা চাপাচ্ছে বলে তোপ দেগেছেন তাঁরা।
কর্নাটকের সরকার সরকারি কাজের চুক্তিতে মুসলিম এবং তফসিলি ও তফসিলি উপজতিতের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণের আইন পাস করেছে। সেই আইনের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্নাটকে ১৬দিনের ‘জনক্রোশ যাত্রা’-র আয়োজন করেছে। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি. কে. শিবকুমার রান্নার গ্যাস এবং পেট্রোল-ডিজেলের দামবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে কেন্দ্রে নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধে জনক্রোশ যাত্রা বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে স্ট্যালিন দাম বৃদ্ধি নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানিয়েছন। তিনি বলেছেন,”বিজেপি সরকার কাটা ঘায়ে নুন ছেটাচ্ছে। ভোটের আগে দাম কমিয়ে নাটক করেছিল বিজেপি।” নাটক করা বিজেপির অভ্যাস হয়ে গেছে বলে তিনি নিশানা করেন।
কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডলে মোদির একটি পুরনো ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছে,”সরকার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা বাড়িয়েছিল। নরেন্দ্র মোদি এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন, সরকার জনগণের কাছ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার ছিনিয়ে নিয়েছে।” লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি এক্স হ্যান্ডলে দামবৃদ্ধির তীব্র বিরোধিতা করে লিখেছেন,” পেট্রোল-ডিজেল এবং গ্যাস সিলিন্ডারের দামের উপর কর আরও বাড়ানো হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপে ধুঁকতে থাকা মধ্যবিত্তের উপর সরকার আরও বোঝা চাপাচ্ছে।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গ্যাস আর পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন-“কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘বিকাশ’ সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা-কড়ি কেড়ে নিচ্ছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ থেকে শুরু করে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাস, প্রতিটি জিনিস সাধারণ মানুষের কাছে ধীরে ধীরে বিলাসিতা হয়ে উঠছে।” তিনি আরও বলেন, “মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির যখন সঞ্চয় কমে যাচ্ছে এবং ঋণ বৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে, তখন এই সরকার একের পর এক জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। বিজেপি কেন্দ্রে সরকার চালাচ্ছে না, জনগণের পকেট কেটে টাকা নিচ্ছে বলে নিশানা করেন মমতা।
সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব বিজেপি সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে নিশানা করেছেন। সেই সময় ছোট-বড় বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১৯ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল বলে তিনি তোপ দাগেন। এনসিপি সাংসদ তথা শরদ পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলেও পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির পর গ্যাস আর পেট্রোল-ডিজেলের দামবৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলও।