১৪ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জম্মু ও কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা হলেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 175

জম্মু,১০ এপ্রিল: কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত দাবি করছে যে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরে পরিবর্তন আসছে। সরকার আরও দাবি করছে যে, পাথর ছোঁড়া এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে একটি নতুন তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা এই বড় পরিবর্তনের কারণে সম্ভব হয়েছে। সরকার জানিয়েছে যে গত দুই বছরে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা করা হয়েছে। এই নাগরিকরা আগে জম্মু ও কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন না।

 

জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন, পিডিপি বিধায়ক ওয়াহিদ উর রহমান পারার এক প্রশ্নের জবাবে, রাজস্ব বিভাগ জানিয়েছে যে গত দুই বছরে মোট ৩৫,১২,১৮৪ জনকে আবাসিক শংসাপত্র জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৩,৭৪২ জন এমন ব্যক্তি যারা আগে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার যোগ্য ছিলেন না। তার মানে বিশেষ রাজ্যের কারণে ওই ব্যক্তিরা নাগরিকত্ব পেতে পারেননি।

রাজস্ব বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পূর্ববর্তী নিয়ম অনুসারে, ভারতের একজন নাগরিক কেবলমাত্র এই শর্তাবলীর অধীনেই তৎকালীন রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতেন। প্রথমত, যদি কেউ ১৪ মে, ১৯৫৪ সালের আগে রাজ্যে আইনত স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করে থাকেন এবং সেই তারিখ থেকে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে রাজ্যে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করে আসছেন। অথবা যারা পাক আধকৃত কাশ্মারের বাসিন্দা ছিল। কিন্তু তারা রাজ্য আইনসভা কর্তৃক প্রণীত একটি আইনের অধীনে পুনর্বাসনের অনুমতি নিয়ে ভারতীয় কাশ্মীরে ফিরে এসেছিল। ১৮৪৬ সালে প্রথম ডোগরা রাজা মহারাজা গুলাব সিং-এর রাজত্ব শুরু হওয়ার আগে যারা রাজ্যে জন্মগ্রহণ ও বসবাস করেছিলেন। এছাড়াও যারা ১৮৮৫ সালের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং স্থায়ীভাবে রাজ্যে বসবাস করছিলেন তাদেরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। দ্বিতীয় শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত ছিল যারা অন্যান্য স্থান থেকে এসে জম্মু ও কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং ১৯১১ সালের আগে যারা সেখানে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছিলেন। সেই সময় মহারাজা প্রতাপ সিং সিংহাসনে ছিলেন।

 

কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন আবাসিক নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ ৩৭০ ধারা বাতিলের কয়েক মাস পর, ২০২০ সালের মে মাসে, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন ‘জম্মু ও কাশ্মীর গ্র্যান্ট অফ ডমিসাইল সার্টিফিকেট (প্রসিডিউর) রুলস, ২০২০’ নামে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যেখানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আবাসিক শংসাপত্র প্রদানের নিয়মগুলি দেওয়া হয়েছিল।

যিনি জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৫ বছর ধরে বসবাস করেছেন অথবা সাত বছর ধরে পড়াশোনা করেছেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দশম/দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তারা স্থানী বাসিন্দার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জম্মু ও কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা হলেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার

জম্মু,১০ এপ্রিল: কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত দাবি করছে যে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরে পরিবর্তন আসছে। সরকার আরও দাবি করছে যে, পাথর ছোঁড়া এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে একটি নতুন তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা এই বড় পরিবর্তনের কারণে সম্ভব হয়েছে। সরকার জানিয়েছে যে গত দুই বছরে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা করা হয়েছে। এই নাগরিকরা আগে জম্মু ও কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন না।

 

জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন, পিডিপি বিধায়ক ওয়াহিদ উর রহমান পারার এক প্রশ্নের জবাবে, রাজস্ব বিভাগ জানিয়েছে যে গত দুই বছরে মোট ৩৫,১২,১৮৪ জনকে আবাসিক শংসাপত্র জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৩,৭৪২ জন এমন ব্যক্তি যারা আগে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার যোগ্য ছিলেন না। তার মানে বিশেষ রাজ্যের কারণে ওই ব্যক্তিরা নাগরিকত্ব পেতে পারেননি।

রাজস্ব বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পূর্ববর্তী নিয়ম অনুসারে, ভারতের একজন নাগরিক কেবলমাত্র এই শর্তাবলীর অধীনেই তৎকালীন রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতেন। প্রথমত, যদি কেউ ১৪ মে, ১৯৫৪ সালের আগে রাজ্যে আইনত স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করে থাকেন এবং সেই তারিখ থেকে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে রাজ্যে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করে আসছেন। অথবা যারা পাক আধকৃত কাশ্মারের বাসিন্দা ছিল। কিন্তু তারা রাজ্য আইনসভা কর্তৃক প্রণীত একটি আইনের অধীনে পুনর্বাসনের অনুমতি নিয়ে ভারতীয় কাশ্মীরে ফিরে এসেছিল। ১৮৪৬ সালে প্রথম ডোগরা রাজা মহারাজা গুলাব সিং-এর রাজত্ব শুরু হওয়ার আগে যারা রাজ্যে জন্মগ্রহণ ও বসবাস করেছিলেন। এছাড়াও যারা ১৮৮৫ সালের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং স্থায়ীভাবে রাজ্যে বসবাস করছিলেন তাদেরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। দ্বিতীয় শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত ছিল যারা অন্যান্য স্থান থেকে এসে জম্মু ও কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং ১৯১১ সালের আগে যারা সেখানে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছিলেন। সেই সময় মহারাজা প্রতাপ সিং সিংহাসনে ছিলেন।

 

কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন আবাসিক নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ ৩৭০ ধারা বাতিলের কয়েক মাস পর, ২০২০ সালের মে মাসে, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন ‘জম্মু ও কাশ্মীর গ্র্যান্ট অফ ডমিসাইল সার্টিফিকেট (প্রসিডিউর) রুলস, ২০২০’ নামে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যেখানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আবাসিক শংসাপত্র প্রদানের নিয়মগুলি দেওয়া হয়েছিল।

যিনি জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৫ বছর ধরে বসবাস করেছেন অথবা সাত বছর ধরে পড়াশোনা করেছেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দশম/দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তারা স্থানী বাসিন্দার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।