Pahelgam Terror Attack: এ দেশে থাকতে দেওয়ার আর্জি ‘ভারতের বধূ’ সীমা হায়দরের

- আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
- / 131
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘ভারতের বধূ’ সীমা হায়দর ‘পাকিস্তানের ভূমিকন্যা’। এ দেশে থাকতে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) কাণ্ডের পর পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। দেশ ছাড়ার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই উদ্বিগ্ন সীমা হায়দার প্রধানমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। স্বামী সচিন মিনারের সঙ্গে গ্রেটার নয়ডায় থাকেন সীমা।
২০২৩ সালে সীমা প্রেমিক সচিনকে বিয়ে করার জন্য চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন। নেপাল হয়ে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে বিয়ে হয়েছিল সীমার। তারপরে সেখানে অনলাইনে আলাপ সচিনের সঙ্গে। সচিনের ভালবাসার টানে ঘর ছাড়েন সীমা। সোশাল মিডিয়ায় তিনি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। ভিডিয়োতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে এ দেশে থাকতে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর তিনি ভিডিয়োতে বলেছেন, “আমি পাকিস্তানে ফেরত যেতে চাই না। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে অনুরোধ করছি, আমাকে এখানেই থাকতে দেওয়া হোক।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করায় বাড়তে পারে বিমান ভাড়া
সচিনের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী এপি সিংহেরও দাবি, সীমা এখন আর পাকিস্তানের নাগরিক নন। সচিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর নাম ভারতী মিনা। ভারতীয় স্বামীর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে তাঁর নাগরিকত্ব। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে। নয়াদিল্লি থেকে পাকিস্তানিদের যে ভিসা দেওয়া হয়েছে তা ২৭ এপ্রিলের পর বাতিল বলে ধার্য করা হবে। মেডিক্যাল ভিসা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বৈধ বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।ভিসা বাতিলের আগেই ভারত ছাড়ার নির্দেশ পাকিস্তানিদের। একমাত্র পাকিস্তানি হিন্দুদের দেওয়া দীর্ঘমেয়াদি ভিসা বাতিল হচ্ছে না।
View this post on Instagram