ভারতকে হুঁশিয়ারি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর, সিন্ধুর জল আটকালে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

- আপডেট : ৩ মে ২০২৫, শনিবার
- / 141
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারতকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফের। সিন্ধু জলবণ্টন অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রাপ্য জল আটকাতে বাঁধ তৈরি করলে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুকার দিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমস্যার কথা তুলে ধরা হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে, দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও স্থগিত রাখা হয়েছে। চুক্তি অনুসারে সিন্ধু নদ এবং তার পশ্চিম তীরের উপনদীগুলির জল পায় পাকিস্তান। এই জলের উপরে গোটা পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষি নির্ভর করে। ভারত সিন্ধুচুক্তি স্থগিত করার কথা ঘোষণার পর থেকে জল বন্ধের আশঙ্কায় ভুগছে পাকিস্তান। চুক্তি না মানলে বাঁধ দিয়ে জল আটকাতে পারে নয়াদিল্লি। সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ বলেন, “শুধু গুলি-বন্দুকেই আগ্রাসন হয় না। আগ্রাসনের আরও একটা রূপ জল আটকে দেওয়া। সেটা করলে খিদে-তেষ্টায় মানুষ মারা যেতে পারেন।”
আরও পড়ুন: আমি এখন কীভাবে তোমায় জড়িয়ে ধরব মা? – ফিলিস্তিনি মাহমুদ
ভারত এই পদক্ষেপ করলে পাকিস্তানের অবস্থান কী হবে প্রশ্নের উত্তরে আসিফ জানান, “সিন্ধু সিস্টেমের নদীগুলির উপর কোনও বাঁধ তৈরি করে জল আটকানো হলে তা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন হিসাবে দেখা হবে। সে ক্ষেত্রে তা হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সরাসরি আগ্রাসন। ভারত এমন কিছু করলে আমরা যে কোনও নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেব।”
ভারতের আগ্রাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান সরব হবে বলে জানিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করলেও তার শর্ত লঙ্ঘন করা ভারতের পক্ষে সহজ নয় বলে মনে করছে ইসলামাবাদ। ভারতের উপর যাতে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা যায় তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান আসিফ।
সেই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নাটক’ করছেন, কটাক্ষ পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। মোদি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে এই ‘নাটক’ করছেন বলে মত তাঁর। তিনি আরও বলেন, ভারতের দাবি আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলি মেনে নিচ্ছে না। কারণ মোদি সরকার দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ভারত অনবরত উসকানি দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। পাকিস্তান উসকানির প্রেক্ষিতে এখনই কিছু করবে না বলেও জানান পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি হয়েছে। বাণিজ্য ও আকাশসীমা বন্ধ। ফেরত পাঠানো হচ্ছে নাগরিকদের। ভারত-পাকিস্তানের দিকে নজর রাখছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ। দুই পক্ষকেই সংযত থাকতে বলা হয়েছে। সম্পর্কের উন্নতির কোনও সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।