পাকিস্তানের ‘শক্তিশালী বিরোধীদল’ হবে পিটিআই!

- আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, সোমবার
- / 1
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ২৬৪ আসনের মধ্যে ১০১ টি আসন পেয়েছেন তারা। সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি পিটিআই।
তাছাড়া, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারায় সংরক্ষিত আসনের সুযোগও হাতছাড়া হতে চলেছে দলটির। এমন বাস্তবতায় অন্য দলের সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিটিআই। তবে শাহবাজ বা বিলাওয়ালের দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা জোট হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত আসনের সুবিধা পেতে ছোট কোনও দলের সঙ্গে জোট করতে পারে পিটিআই।
পিটিআই নেতা গহর আলি খান বলেন, ‘কারও সঙ্গে সরকার গঠনের বিষয়ে কোনও আলোচনা হবে না। তাদের নিয়ে (শাহবাজ ও বিলাওয়ালের দল) সরকার গঠনের চেয়ে বিরোধী দলে বসা উত্তম। তবে আমরা মনে করি, আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।’
সরকার গঠন করতে না পারলে পিটিআই একটি ‘শক্তিশালী বিরোধী দল’ গঠন করবে বলে জানান ইমরান খানের আইনজীবী ও বর্তমান দলীয় প্রধান। কিন্তু পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা এখন কার সঙ্গে হাত মেলাবে? পিএমএল-এন বা পিপিপির সঙ্গে জোট গড়তে রাজি না হওয়ায় দলটি দলটি নিবন্ধিত অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই হাত মেলাবে।
এক্ষেত্রে উঠে আসছে জামায়াত-ই-ইসলামির নাম (জেআই)। খাইবার পাখতুনখোয়া বিধানসভায় দলটির তিনজন সদস্য রয়েছে। মজলিস-ই-ওয়াহদাতুল মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) নামও ভেসে আসছে। দলটি বেশ কিছুদিন ধরেই পিটিআই শিবিরে রয়েছে। উল্লেখ্য, আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে পিটিআই এবার দল হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি।
তাই স্বতন্ত্র হয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেন দলটির প্রার্থীরা। সংসদে এখন যদি তারা একক ব্লকে বা ছোট কোনও দলে যুক্ত হন, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে জোর পদক্ষেপ নিতে পারেন। সংরক্ষিত আসন বরাদ্দও পেতে পারেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী পদেও প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেন। এ ছাড়া জোট গড়ার জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে স্বতন্ত্রদের দল বা জোট। এর ফলে অন্য কোনও ভাবে ইমরান সমর্থিতরা পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসতে পারেন। এই পরিস্থিতি ইমরান খানের মুক্তির পথও খুলে যেতে পারে।