‘সংসদের কথা সর্বোচ্চ ও শেষ’
‘Parliament is supreme’ , দাবি জগদীপ ধনখড়ের

- আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 155
‘Parliament is supreme‘ … নিজের মন্তব্যে অনড় ধনখড়
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদই সর্বোচ্চ ও শেষ কথা (‘Parliament is supreme)! শীর্ষ আদালত সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের আবহে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপরাষ্ট্রপতি jagdeep dhankhar। মঙ্গলবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে ধনখড় স্পষ্ট জানান, ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি করা একজন প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত জবাবদিহি করতে হয়েছিল।
ফলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে ‘সংসদই সর্বোচ্চ’ ( ‘Parliament is supreme) । তার উপরে আর কিছু না। তাছাড়া যারা নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। সংসদে গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে jagdeep dhankhar তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, কোন আইন কেমন হবে, তাতে কী কী সংশোধন আনা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার সংসদের রয়েছে। এক্ষেত্রে সংসদের কথা সর্বোচ্চ ও শেষ (Parliament is supreme’)। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি তামিলনাডু বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে ঐতিহাসিক মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনসভা থেকে পাশ হয়ে আসা বিল অনন্তকাল আটকে রাখতে পারেন না রাষ্ট্রপতি। তিনমাসের মধ্যে তাঁকে মতামত জানিয়ে দিতে হবে। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে বিলগুলি বাস্তবায়িত বলে বিবেচিত হবে।রাজ্যপালদের জন্যও ওই একই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যপালের কাছ থেকে আসা বিলে তিনমাসের মধ্যে মতামত জানিয়ে দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। যদি তিনমাসের মধ্যে তা সম্ভব না হয়, তাহলে দেরি হওয়ার যথাযথ কারণ জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে বেজায় চটে যান একদা বাংলার রাজ্যপাল jagdeep dhankhar।তিনি বলেন, আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি যেখানে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে আদালত নিজেই সংসদ চালাতে চায়।
♦ Pahalgam terror attack, নিহত ২৭ পর্যটক
ধনকড়ের এহেন মন্তব্যের জেরে সর্বত্র নিন্দার ঝড় ওঠে। এর পর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও উপরাষ্ট্রপতির সুরে সুর মেলায়। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি উভয় কক্ষে পাশ হওয়াওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে যে প্রশ্ন করে, তা নিয়ে আদালত এবং প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘ধর্মযুদ্ধে উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন নিশিকান্ত। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিজেপি-র সভাপতি জেপি নাড্ডা নিশিকান্তের মন্তব্যে দলের সমর্থন নেই বলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন।