০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাওলানা আজাদ ফেলোশিপের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে: রিজিজু

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 292

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: মাওলানা আজাদ জাতীয় ফেলোশিপের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই তথ্য নিশ্চিত করেন। অভিযোগ, বিগত কয়েক মাস ধরে রিসার্চ স্কলারদের জন্য কোনও উপবৃত্তি প্রদান করা হয়নি । দীর্ঘ ৭ মাস পর ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল পড়ুয়ারা।

রিজুজি এদিন জানান, কেন্দ্র সরকার মাওলানা আজাদ জাতীয় ফেলোশিপের আওতাধীন রিসার্চ স্কলারদের জন্য মুলতুবি থাকা উপবৃত্তি প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা টাকা পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘নির্বাচিত’ পদক্ষেপ, উত্তরপ্রদেশ পুলিসের সমালোচনা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির

বলা বাহুল্য, ২০০৯ সালে  MANF স্কিমটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পিএইচডি প্রার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল । এই স্কিমটি মূলত মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সিদের জন্য । বিশেষ করে যারা যারা জাতীয় যোগ্যতা পরীক্ষা (NET) পাস করে এবং যাদের পারিবারিক আয় বার্ষিক ৬ লক্ষ টাকার কম।

আরও পড়ুন: ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর গত ৩ বছরের তথ্য দিতে গড়িমসি করছে কেন্দ্র

জুনিয়র রিসার্চ ফেলো (JRF) হিসেবে স্কলাররা প্রথম দুই বছরের জন্য মাসিক  ৩৭,০০০ টাকা পান, যা পরবর্তী তিন বছরের জন্য সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (SRF) হিসেবে বৃদ্ধি হয়ে ৪২,০০০  হয়।

আরও পড়ুন: ডিভিসি-র জল ছাড়াকে ঘিরে তীব্র সংঘাত: ‘ম্যান মেড বন্যা’-র অভিযোগে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তৃণমূলের

২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, ৯০৭ জন JRF এবং ৫৫৯ জন SRF এই স্কিমের উপর নির্ভরশীল ছিল। যদিও ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বৃত্তিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেইসময় কেন্দ্র জানিয়েছিল বর্তমান স্কলারদের তাদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছিল।

বকেয়া পাওনা পরিশোধের ঘোষণা দিয়ে, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোস্যাল সাইটে জানান, এই। ছোট্ট একটি পদক্ষেপ অনেকের কাছে অনেক অর্থ বহন করে। আর আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে,  ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রচেষ্টা’-এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  ‘ভাগীদারি সে ভাগ্যোদয়’  কোনও স্লোগান নয়, এটি একটি মিশন।”

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাওলানা আজাদ ফেলোশিপের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে: রিজিজু

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: মাওলানা আজাদ জাতীয় ফেলোশিপের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই তথ্য নিশ্চিত করেন। অভিযোগ, বিগত কয়েক মাস ধরে রিসার্চ স্কলারদের জন্য কোনও উপবৃত্তি প্রদান করা হয়নি । দীর্ঘ ৭ মাস পর ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল পড়ুয়ারা।

রিজুজি এদিন জানান, কেন্দ্র সরকার মাওলানা আজাদ জাতীয় ফেলোশিপের আওতাধীন রিসার্চ স্কলারদের জন্য মুলতুবি থাকা উপবৃত্তি প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা টাকা পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘নির্বাচিত’ পদক্ষেপ, উত্তরপ্রদেশ পুলিসের সমালোচনা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির

বলা বাহুল্য, ২০০৯ সালে  MANF স্কিমটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পিএইচডি প্রার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল । এই স্কিমটি মূলত মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সিদের জন্য । বিশেষ করে যারা যারা জাতীয় যোগ্যতা পরীক্ষা (NET) পাস করে এবং যাদের পারিবারিক আয় বার্ষিক ৬ লক্ষ টাকার কম।

আরও পড়ুন: ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর গত ৩ বছরের তথ্য দিতে গড়িমসি করছে কেন্দ্র

জুনিয়র রিসার্চ ফেলো (JRF) হিসেবে স্কলাররা প্রথম দুই বছরের জন্য মাসিক  ৩৭,০০০ টাকা পান, যা পরবর্তী তিন বছরের জন্য সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (SRF) হিসেবে বৃদ্ধি হয়ে ৪২,০০০  হয়।

আরও পড়ুন: ডিভিসি-র জল ছাড়াকে ঘিরে তীব্র সংঘাত: ‘ম্যান মেড বন্যা’-র অভিযোগে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তৃণমূলের

২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, ৯০৭ জন JRF এবং ৫৫৯ জন SRF এই স্কিমের উপর নির্ভরশীল ছিল। যদিও ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বৃত্তিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেইসময় কেন্দ্র জানিয়েছিল বর্তমান স্কলারদের তাদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছিল।

বকেয়া পাওনা পরিশোধের ঘোষণা দিয়ে, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোস্যাল সাইটে জানান, এই। ছোট্ট একটি পদক্ষেপ অনেকের কাছে অনেক অর্থ বহন করে। আর আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে,  ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রচেষ্টা’-এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  ‘ভাগীদারি সে ভাগ্যোদয়’  কোনও স্লোগান নয়, এটি একটি মিশন।”