২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণের টাকায় পেনডাউন, ডিএ আন্দোলনকারীদের ফের কটাক্ষ মমতার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 49

পুবের কলম প্রতিবেদক: ডিএ আন্দোলনকারীদের  ফের কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার  রেড রোডের ধরনা মঞ্চের দ্বিতীয় দিনেও ডিএ আন্দোলনকারীদের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘জনগণের টাকা নিয়ে পেনডাউন করছেন আন্দোলনকারীরা।’

বাম আমলের চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  চিরকুটে চাকরি নিয়ে বেতন, পেনশন পাচ্ছেন, আবার আরও চাই। সবার কথা বলছি না। কয়েকটা আছে হাতে গোণা। জনগণের টাকা নিয়ে পেন ডাউন করবে!

আরও পড়ুন: বর্ধিত মহার্ঘভাতা দেওয়ার জন্য সব দফতরের কাছে সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তদের তালিকা চাইল অর্থ দফতর  

সিপিএম-বিজেপির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সিপিএম মিলে রাম-বাম হয়েছে। বামেরা যাঁরা দলের হয়ে কাজ করেন, তাঁদের পরিবারের সকলেই শিক্ষিকা অথবা সরকারি কোনও দফতরের কর্মী। সব চিরকুটের চাকরি। সব ফাইল খুঁজে বের করতে বলেছি। 

আরও পড়ুন: রামনবমীর শুভেচ্ছা মোদি-মমতা-রাহুলের, শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বাম আমলে অঙ্গনওয়ারি দফতরে নিয়োগেও বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে সিপিএম-এর অনিয়মের ফাইলও তুলে দেখাতে বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আরও পড়ুন: রেড রোডে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, রিজওয়ানুরের বাড়িতে মমতা-অভিষেক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের উদাহরণ তুলে সর্বভারতীয় চ্যানেলের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলা সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা কি ইংরেজি চ্যানেলের রিপোর্টারদের মত সমান বেতন পান’।

কারণ, জাতীয় স্তরের থেকে রাজ্য আলাদা। আবার রাজ্যের থেকে জেলা আলাদা। কেন্দ্র তো ১৮ মাসের ডিএ আটকে দিয়েছে। আমরা সব বকেয়া মিটিয়েছি।’  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পোস্টাল ব্যালটে বিজেপিকে ভোট দিয়ে মনে করছে বিজেপি পাইয়ে দেবে। তবে ত্রিপুরাতেও বলেছিল দেওয়া হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়েছে কী? ওখানে ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। একজনকেও নতুন করে চাকরি দিতে পারেনি।

তবে বাম আমলের চাকরিতে বেনিয়মের তদন্তের জন্য সব দফতরকে খুঁজে দেখতে বলেছি। যত খুঁজবে তত মিলবে।?

এদিন মমতা দাবি করেন, ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী এরিয়ার দেওয়া হয়েছে। ১০৬ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এদিন ধরনামঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি বামেদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, চিরকুট ধারি পার্টি একটা। এনও ওই কর্মীরা ৫৫-৬০ হাজার টাকা পেনশন পান। আমি তো একটাকেও তাড়াইনি। সব এখনও বিভিন্ন দপ্তরে বসে আছে। ওরাই কাগজপত্র এদিক-ওদিক করছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে  বিগত সরকারের আমলে নিয়োগের সব কাগজ বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  তা খতিয়ে দেখা হবে।

গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধবার বেলা ১২টা থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

এরই পাশাপাশি এদিন আরও একবার তৃণমূলনেত্রীর রোষের মুখে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘বিজেপি চাইছে সব রাজনৈতিক দলকে দেশ থেকে বের করে দিতে। বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বললেই জেলে পাঠাচ্ছে। আমি বিজেপিকে কেয়ার করি না।’ মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, বিজেপি শাষিত  রাজ্যগুলিতেও কর্মী ছাঁটাই চলছে। কখনও বলছে ২ হাজার ছাঁটাই। কখনও বলছে ৫ হাজার চাকরি বাতিল।’

এদিকে, ডিএ আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলগুলিও।

 

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জনগণের টাকায় পেনডাউন, ডিএ আন্দোলনকারীদের ফের কটাক্ষ মমতার

আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ডিএ আন্দোলনকারীদের  ফের কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার  রেড রোডের ধরনা মঞ্চের দ্বিতীয় দিনেও ডিএ আন্দোলনকারীদের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘জনগণের টাকা নিয়ে পেনডাউন করছেন আন্দোলনকারীরা।’

বাম আমলের চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  চিরকুটে চাকরি নিয়ে বেতন, পেনশন পাচ্ছেন, আবার আরও চাই। সবার কথা বলছি না। কয়েকটা আছে হাতে গোণা। জনগণের টাকা নিয়ে পেন ডাউন করবে!

আরও পড়ুন: বর্ধিত মহার্ঘভাতা দেওয়ার জন্য সব দফতরের কাছে সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তদের তালিকা চাইল অর্থ দফতর  

সিপিএম-বিজেপির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সিপিএম মিলে রাম-বাম হয়েছে। বামেরা যাঁরা দলের হয়ে কাজ করেন, তাঁদের পরিবারের সকলেই শিক্ষিকা অথবা সরকারি কোনও দফতরের কর্মী। সব চিরকুটের চাকরি। সব ফাইল খুঁজে বের করতে বলেছি। 

আরও পড়ুন: রামনবমীর শুভেচ্ছা মোদি-মমতা-রাহুলের, শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বাম আমলে অঙ্গনওয়ারি দফতরে নিয়োগেও বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে সিপিএম-এর অনিয়মের ফাইলও তুলে দেখাতে বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আরও পড়ুন: রেড রোডে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, রিজওয়ানুরের বাড়িতে মমতা-অভিষেক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের উদাহরণ তুলে সর্বভারতীয় চ্যানেলের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলা সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা কি ইংরেজি চ্যানেলের রিপোর্টারদের মত সমান বেতন পান’।

কারণ, জাতীয় স্তরের থেকে রাজ্য আলাদা। আবার রাজ্যের থেকে জেলা আলাদা। কেন্দ্র তো ১৮ মাসের ডিএ আটকে দিয়েছে। আমরা সব বকেয়া মিটিয়েছি।’  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পোস্টাল ব্যালটে বিজেপিকে ভোট দিয়ে মনে করছে বিজেপি পাইয়ে দেবে। তবে ত্রিপুরাতেও বলেছিল দেওয়া হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়েছে কী? ওখানে ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। একজনকেও নতুন করে চাকরি দিতে পারেনি।

তবে বাম আমলের চাকরিতে বেনিয়মের তদন্তের জন্য সব দফতরকে খুঁজে দেখতে বলেছি। যত খুঁজবে তত মিলবে।?

এদিন মমতা দাবি করেন, ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী এরিয়ার দেওয়া হয়েছে। ১০৬ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এদিন ধরনামঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি বামেদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, চিরকুট ধারি পার্টি একটা। এনও ওই কর্মীরা ৫৫-৬০ হাজার টাকা পেনশন পান। আমি তো একটাকেও তাড়াইনি। সব এখনও বিভিন্ন দপ্তরে বসে আছে। ওরাই কাগজপত্র এদিক-ওদিক করছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে  বিগত সরকারের আমলে নিয়োগের সব কাগজ বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  তা খতিয়ে দেখা হবে।

গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধবার বেলা ১২টা থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

এরই পাশাপাশি এদিন আরও একবার তৃণমূলনেত্রীর রোষের মুখে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘বিজেপি চাইছে সব রাজনৈতিক দলকে দেশ থেকে বের করে দিতে। বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বললেই জেলে পাঠাচ্ছে। আমি বিজেপিকে কেয়ার করি না।’ মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, বিজেপি শাষিত  রাজ্যগুলিতেও কর্মী ছাঁটাই চলছে। কখনও বলছে ২ হাজার ছাঁটাই। কখনও বলছে ৫ হাজার চাকরি বাতিল।’

এদিকে, ডিএ আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলগুলিও।