১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণের আস্থা অর্জন করতে হয়, বিদায়বেলায় বার্তা বিচারপতি খান্নার

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 71

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শপথ নিয়েছিলেন জাস্টিস সঞ্জীব খান্না। বিচারব্যবস্থার শীর্ষপদে থাকা মানুষটি মঙ্গলবার (১৩ মে) অবসর গ্রহণ করেছেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি অবসর গ্রহণের দিন, তার সম্মানে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক বেঞ্চের কার্যক্রমে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বারের সদস্যদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পান।

মঙ্গলবার আদালত কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসিটর জেনারেল, প্রবীণ আইনজীবী, বারের তরুণ সদস্যেরা প্রধান বিচারপতি খান্নার উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। প্রধান বিচারপতি তার বিদায়ী ভাষণে বলেন, আমি সম্পূর্ণ রূপে অভিভূত। নিজের সঙ্গে অনেক স্মৃতি বয়ে নিয়ে চলেছি। জাস্টিস সঞ্জীব খান্নার কথায়, বিচার বিভাগের উপরে জনগণের যে আস্থা রয়েছে, তা নির্দেশ দিয়ে করানো যায় না। এটা অর্জন করতে হয় এবং আমরা বার ও বেঞ্চ সদস্যদের মাধ্যমে সেটি অর্জন করি।

এর পাশাপাশি তিনি পরবর্তী প্রধানপতি বিচারপতি গাভাইয়ের সমূহ প্রশংসা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। উত্তরসূরির প্রশংসা করে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। বুধবার দেশের ৫২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন বি আর গাভাই।

প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার বিদায়বেলায় আরও বলেন, বিচারকরা বিভিন্ন পরিবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসেন এবং সেই বৈচিত্র্যই বিচারবিভাগকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। উত্তরসূরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিচারপতি বিআর গাভাই তার সবচেয়ে বড় সমর্থন। তার মধ্যে আপনারা একজন মহান প্রধান বিচারপতি পাবেন। তিনি মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা অক্ষত রাখবেন।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তার কাকা বিচারপতি এইচ আর খান্নার সঙ্গে নিজের তুলনা করতে রাজি হননি  প্রধান বিচারপতি। এইচ আর খান্না ১৯৭১ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, এইচ আর খান্নার সঙ্গে আমি আমার তুলনা করতে পারব না। সেই সময় আলাদা ছিল। তিনি ছিলেন একজন বিশাল বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। ২০ বছরের কর্মজীবন শেষ হল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার।

২০০৫ সালে তাকে দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এক বছর পর সেখানেই স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০১৯ সালে তাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। গত ছয় বছরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার অংশ ছিলেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ধারা ৩৭০, পরকীয়া অপরাধমুক্তকরণ, ইলেক্টোরাল বন্ড এবং ইভিএম-ভিভিপিএটি মামলা।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জনগণের আস্থা অর্জন করতে হয়, বিদায়বেলায় বার্তা বিচারপতি খান্নার

আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শপথ নিয়েছিলেন জাস্টিস সঞ্জীব খান্না। বিচারব্যবস্থার শীর্ষপদে থাকা মানুষটি মঙ্গলবার (১৩ মে) অবসর গ্রহণ করেছেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি অবসর গ্রহণের দিন, তার সম্মানে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক বেঞ্চের কার্যক্রমে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বারের সদস্যদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পান।

মঙ্গলবার আদালত কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসিটর জেনারেল, প্রবীণ আইনজীবী, বারের তরুণ সদস্যেরা প্রধান বিচারপতি খান্নার উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। প্রধান বিচারপতি তার বিদায়ী ভাষণে বলেন, আমি সম্পূর্ণ রূপে অভিভূত। নিজের সঙ্গে অনেক স্মৃতি বয়ে নিয়ে চলেছি। জাস্টিস সঞ্জীব খান্নার কথায়, বিচার বিভাগের উপরে জনগণের যে আস্থা রয়েছে, তা নির্দেশ দিয়ে করানো যায় না। এটা অর্জন করতে হয় এবং আমরা বার ও বেঞ্চ সদস্যদের মাধ্যমে সেটি অর্জন করি।

এর পাশাপাশি তিনি পরবর্তী প্রধানপতি বিচারপতি গাভাইয়ের সমূহ প্রশংসা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। উত্তরসূরির প্রশংসা করে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। বুধবার দেশের ৫২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন বি আর গাভাই।

প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার বিদায়বেলায় আরও বলেন, বিচারকরা বিভিন্ন পরিবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসেন এবং সেই বৈচিত্র্যই বিচারবিভাগকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। উত্তরসূরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিচারপতি বিআর গাভাই তার সবচেয়ে বড় সমর্থন। তার মধ্যে আপনারা একজন মহান প্রধান বিচারপতি পাবেন। তিনি মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা অক্ষত রাখবেন।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তার কাকা বিচারপতি এইচ আর খান্নার সঙ্গে নিজের তুলনা করতে রাজি হননি  প্রধান বিচারপতি। এইচ আর খান্না ১৯৭১ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, এইচ আর খান্নার সঙ্গে আমি আমার তুলনা করতে পারব না। সেই সময় আলাদা ছিল। তিনি ছিলেন একজন বিশাল বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। ২০ বছরের কর্মজীবন শেষ হল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার।

২০০৫ সালে তাকে দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এক বছর পর সেখানেই স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০১৯ সালে তাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। গত ছয় বছরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার অংশ ছিলেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ধারা ৩৭০, পরকীয়া অপরাধমুক্তকরণ, ইলেক্টোরাল বন্ড এবং ইভিএম-ভিভিপিএটি মামলা।