০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর অপেক্ষায় পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
  • / 30

এম এ হাকিম, বনগাঁ: বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েনের ফলে বন্ধ হয়ে যায় ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা পরিষেবা। এরফলে পেট্রাপোল সীমান্ত কেন্দ্রিক অর্থনীতির উপরে বড়সড় প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশি পর্যটকরা ভিসার অভাবে ভারতে না আসতে পারায় পেট্রাপোলে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, পেট্রাপোল থেকে কলকাতা বেসরকারি বাস পরিষেবা, পেট্রাপোল থেকে কলকাতায় ট্যাক্সি পরিষেবা, পেট্রাপোল থেকে বনগাঁ রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত অটো রিকশা চলাচল, স্থানীয় খাবার হোটেল, লজ ইত্যাদিতে বড়সড় প্রভাব পড়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় পেট্রাপোল এবং কলকাতার মধ্যে নিয়মিত ২০টা বাস যাতায়াত করে থাকে। এখানে বিভিন্ন সংস্থার কমপক্ষে ৩০টা বাস রয়েছে। ৭/৮ জন মালিক সেগুলো পরিচালনা করেন।

আরও পড়ুন: সিরাজের নবাবিয়ানায় ওভালে ঐতিহাসিক জয় ভারতের

মঙ্গলবার ‘দেশ ট্রাভেলস’ সংস্থার কর্ণধার আলি হোসেন শেখ ‘পুবের কলম’ প্রতিবেদককে বলেন, একেকটি বাসের আসন সংখ্যা ৪৫। কিন্তু যাত্রী হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ জন করে। বিভিন্ন সংস্থার একটি করে বাস কোনক্রমে যাতায়াত করছে। গত জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত কেবলমাত্র দেশ ট্রাভেলসের একটি বাস কলকাতায় যাতায়াত করত। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে অন্যান্য সংস্থার বাস চালু হয়েছে। পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাবে সব সংস্থার একটি করে বাস মাত্র একবার করে কলকাতায় যাতায়াত করছে।’

আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে খনিজ তেল কেনা বন্ধ করেছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি? রিপোর্টে দাবি

তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে যদি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হয় তাহলে পেট্রাপোল সীমান্ত কেন্দ্রিক অর্থনীতি পুনরায় স্বাভাবিক হবে।’ তাঁর মতে, বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ৬০ শতাংশ আসেন ট্যুরিস্ট ভিসায়। এছাড়া ২০ শতাংশের মত মেডিক্যাল ভিসা এবং বাকি ২০ শতাংশ বিজনেস এবং অন্যান্য ভিসায় আসেন। কিন্তু টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় পরিবহণ সংস্থা থেকে শুরু করে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই তীব্র সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্য ক্রয়, ভারতের ৬টি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প প্রশাসনের

আশিস দে নামে একটি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘সব মিলিয়ে বিভিন্নভাবে প্রায় আড়াইশো’র মত মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু ভিসার অভাবে বাংলাদেশ থেকে পর্যাপ্ত যাত্রী না আসায় এসব কেন্দ্রের অনেক কর্মী কাজ হারিয়েছেন।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর অপেক্ষায় পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা

আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার

এম এ হাকিম, বনগাঁ: বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েনের ফলে বন্ধ হয়ে যায় ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা পরিষেবা। এরফলে পেট্রাপোল সীমান্ত কেন্দ্রিক অর্থনীতির উপরে বড়সড় প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশি পর্যটকরা ভিসার অভাবে ভারতে না আসতে পারায় পেট্রাপোলে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, পেট্রাপোল থেকে কলকাতা বেসরকারি বাস পরিষেবা, পেট্রাপোল থেকে কলকাতায় ট্যাক্সি পরিষেবা, পেট্রাপোল থেকে বনগাঁ রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত অটো রিকশা চলাচল, স্থানীয় খাবার হোটেল, লজ ইত্যাদিতে বড়সড় প্রভাব পড়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় পেট্রাপোল এবং কলকাতার মধ্যে নিয়মিত ২০টা বাস যাতায়াত করে থাকে। এখানে বিভিন্ন সংস্থার কমপক্ষে ৩০টা বাস রয়েছে। ৭/৮ জন মালিক সেগুলো পরিচালনা করেন।

আরও পড়ুন: সিরাজের নবাবিয়ানায় ওভালে ঐতিহাসিক জয় ভারতের

মঙ্গলবার ‘দেশ ট্রাভেলস’ সংস্থার কর্ণধার আলি হোসেন শেখ ‘পুবের কলম’ প্রতিবেদককে বলেন, একেকটি বাসের আসন সংখ্যা ৪৫। কিন্তু যাত্রী হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ জন করে। বিভিন্ন সংস্থার একটি করে বাস কোনক্রমে যাতায়াত করছে। গত জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত কেবলমাত্র দেশ ট্রাভেলসের একটি বাস কলকাতায় যাতায়াত করত। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে অন্যান্য সংস্থার বাস চালু হয়েছে। পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাবে সব সংস্থার একটি করে বাস মাত্র একবার করে কলকাতায় যাতায়াত করছে।’

আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে খনিজ তেল কেনা বন্ধ করেছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি? রিপোর্টে দাবি

তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে যদি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হয় তাহলে পেট্রাপোল সীমান্ত কেন্দ্রিক অর্থনীতি পুনরায় স্বাভাবিক হবে।’ তাঁর মতে, বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ৬০ শতাংশ আসেন ট্যুরিস্ট ভিসায়। এছাড়া ২০ শতাংশের মত মেডিক্যাল ভিসা এবং বাকি ২০ শতাংশ বিজনেস এবং অন্যান্য ভিসায় আসেন। কিন্তু টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় পরিবহণ সংস্থা থেকে শুরু করে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই তীব্র সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্য ক্রয়, ভারতের ৬টি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প প্রশাসনের

আশিস দে নামে একটি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘সব মিলিয়ে বিভিন্নভাবে প্রায় আড়াইশো’র মত মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু ভিসার অভাবে বাংলাদেশ থেকে পর্যাপ্ত যাত্রী না আসায় এসব কেন্দ্রের অনেক কর্মী কাজ হারিয়েছেন।’