১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেড় বছরের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে যাবে পাইপে রান্নার গ্যাস, আশ্বাস গেইল-এর

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 100

পুবের কলম প্রতিবেদক: নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে সবুজ শক্তির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দূষণের হাত থেকে রাজ্যবাসীর সুরক্ষার কথা ভেবেই পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বাড়ি বাড়ি পাইপ বাহিত রান্নার গ্যাস হিসেবে গ্রিন হাইড্রোজেন সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। পাইপের মাধ্যমে শহরে রান্নার গ্যাস পৌঁছে কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় পাইপবাহিত রান্নার গ্যাস পৌঁছানোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গল গ্যাসের (গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই ও গেইল)এর সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে তিনি জানান, আগামী ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়েই পাইপবাহিত গ্যাস অর্থাৎ কম্প্রেসড ন্যাচারল গ্যাস বা সিএনজি পরিষেবা পাবেন কলকাতার লাগোয়া নিউ টাউনের বাসিন্দারা। আগামী দিনে ইএম বাইপাস লাগোয়া এলাকা চিংড়িঘাটা থেকে শহরতলির গড়িয়া পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারাও ওই পরিষেবা পাবেন বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন। জানা গিয়েছে, পাইপলাইনের মাধ্যমে শহরে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পাইপ বসানোর পাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
বেঙ্গল গ্যাসের সিইও তথা গেইলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানান, কল্যাণীর গয়েশপুর পর্যন্ত পাইপলাইন চলে এসেছে। এবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ব্যারাকপুর পর্যন্ত পাইপ বসানোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর পাইপ্লাইনের মাধ্যমেই গ্রিন পৌঁছে যাবে নিউ টাউনে। যদিও ইতিমধ্যেই নিউ টাউনে রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট এক নম্বর পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর জন্য ইতিমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হছে। কিন্তু, মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি যানজটপূর্ণ রাস্তা খোঁড়ার জন্য অন্যান্য দফতরের সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের রাজ্য বাজেট পেশের সময় রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যে পাইপবাহিত রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য আপাতত ৭৯৫ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। সেজন্য খরচ পড়েছে ৫,৩২২ কোটি টাকা।পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী জ্বালানির ব্যবহার প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবেশ এবং অচিরাচিত শক্তি দফতরের মন্ত্রী মুহাম্মদ গুলাম রব্বানী জানান, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকেই পশ্চিমবঙ্গ মোট জ্বালানি চাহিদার ২০ু বৃদ্ধি করবে। এবং আগামী দিনে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পাম্পগুলিকেও সৌরশক্তিকরণের জন্য ভাবনা চিন্তা চলছে বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন: লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

 

আরও পড়ুন: ৭ রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতায় এনআইএ তল্লাশি

আরও পড়ুন: কলকাতার আকাশে যিলহজ মাসের চাঁদ, ঈদ-উল-আযহা ৭ জুন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেড় বছরের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে যাবে পাইপে রান্নার গ্যাস, আশ্বাস গেইল-এর

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে সবুজ শক্তির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দূষণের হাত থেকে রাজ্যবাসীর সুরক্ষার কথা ভেবেই পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বাড়ি বাড়ি পাইপ বাহিত রান্নার গ্যাস হিসেবে গ্রিন হাইড্রোজেন সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। পাইপের মাধ্যমে শহরে রান্নার গ্যাস পৌঁছে কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় পাইপবাহিত রান্নার গ্যাস পৌঁছানোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গল গ্যাসের (গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই ও গেইল)এর সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে তিনি জানান, আগামী ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়েই পাইপবাহিত গ্যাস অর্থাৎ কম্প্রেসড ন্যাচারল গ্যাস বা সিএনজি পরিষেবা পাবেন কলকাতার লাগোয়া নিউ টাউনের বাসিন্দারা। আগামী দিনে ইএম বাইপাস লাগোয়া এলাকা চিংড়িঘাটা থেকে শহরতলির গড়িয়া পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারাও ওই পরিষেবা পাবেন বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন। জানা গিয়েছে, পাইপলাইনের মাধ্যমে শহরে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পাইপ বসানোর পাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
বেঙ্গল গ্যাসের সিইও তথা গেইলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানান, কল্যাণীর গয়েশপুর পর্যন্ত পাইপলাইন চলে এসেছে। এবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ব্যারাকপুর পর্যন্ত পাইপ বসানোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর পাইপ্লাইনের মাধ্যমেই গ্রিন পৌঁছে যাবে নিউ টাউনে। যদিও ইতিমধ্যেই নিউ টাউনে রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট এক নম্বর পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর জন্য ইতিমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হছে। কিন্তু, মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি যানজটপূর্ণ রাস্তা খোঁড়ার জন্য অন্যান্য দফতরের সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের রাজ্য বাজেট পেশের সময় রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যে পাইপবাহিত রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য আপাতত ৭৯৫ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। সেজন্য খরচ পড়েছে ৫,৩২২ কোটি টাকা।পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী জ্বালানির ব্যবহার প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবেশ এবং অচিরাচিত শক্তি দফতরের মন্ত্রী মুহাম্মদ গুলাম রব্বানী জানান, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকেই পশ্চিমবঙ্গ মোট জ্বালানি চাহিদার ২০ু বৃদ্ধি করবে। এবং আগামী দিনে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পাম্পগুলিকেও সৌরশক্তিকরণের জন্য ভাবনা চিন্তা চলছে বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন: লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

 

আরও পড়ুন: ৭ রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতায় এনআইএ তল্লাশি

আরও পড়ুন: কলকাতার আকাশে যিলহজ মাসের চাঁদ, ঈদ-উল-আযহা ৭ জুন