ভারতের জল ভারতেই থাকবে: নাম না করে পড়শিকে বার্তা মোদির

- আপডেট : ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 73
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘ভিশন-২০৪৭’ নিয়ে বড় বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য ও স্বপ্ন ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে দেশ পিছিয়ে পড়ার কারণে নাম না করে কংগ্রেসকে তীর দাগেন তিনি। কটাক্ষের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকার গরিবদের কথা ভাবত না। তাদের জীবনের মানোন্নয়ন নিয়ে তারা কোনও কাজ করেনি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরাসরি গরিবদের হাতে টাকা দিচ্ছে। বে
শকিছু প্রকল্পে একাধিক ভুয়ো নাম ঢোকানো হয়। গরিবদের এখন সংরক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গরিবদের হকের পয়সা গরিবরাই পাচ্ছে। আমরা ১০ কোটি ভুয়ো নাম সিস্টেম থেকে বাদ দিয়েছি। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। আজ পঁচিশ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে উঠে এসেছেন। গোটা বিশ্ব দেখছে, আমাদের গণতন্ত্র কী করতে পারে। মোদির বক্তব্য, ‘আদিবাসীদের কাছেও উন্নয়নের সুফল পৌঁছচ্ছিল না।
আজ সেটাও সম্ভব হয়েছে। আমরা মানব-কেন্দ্রিক বিশ্বায়নের মানদণ্ড তৈরি করেছি। জিইপি, মানে জনতার সার্বিক ক্ষমতায়নের পথে হাঁটছি আমরা। সরকারের মূল ভাবনা হল ‘নাগরিক দেব ভব’। আমরা মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরকে দেখি।’ তৎকালীন কংগ্রেস সরকার তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগের সরকার বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করত। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবা হত বিশ্ব কী ভাববে! দশকের পর দশক উলটো পথে হেঁটেছে দেশ। একাধিক বড় সংস্কার আটকে ছিল। আমরা এই ভাবনা নিয়ে চলি না। এখন আমাদের নীতি নেশন ফাস্ট। আমাদের কাছে দেশহিত সবার আগে।’
ভারত মণ্ডপে আয়োজিত এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদি। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দেশ। এ দিন পড়শি পাকিস্তানকে নিশানা করে নমো বলেন, ‘আগে ভারতের হকের জল বাইরে চলে যেত। এখন ভারতের জল ভারতেই থাকবে, ভারতের জন্য বইবে। এবার ভারতের জল, ভারতেরই কথাতেই থামবে।’
এ দিন মোদির বক্তব্যে উঠে আসে তিন তালাক থেকে ওয়াকফ আইনের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘তিন তালাকের ফলে বহু মুসলিম মহিলার জীবন শেষ হয়ে যেত। আমাদের সরকার তিন তালাক আইন করেছে। ওয়াকফ আইনে সংশোধন প্রয়োজন ছিল। সেটাও আমাদের সরকার করেছে। কিন্তু আগে ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে এই কাজ করা হয়নি।’ সামরিক ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ভারত অনেক এগিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি।