‘জাহান-এ-খুসরো’তে সুফি সংগীতের প্রতিধ্বনিতে মাতলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

- আপডেট : ১ মার্চ ২০২৫, শনিবার
- / 30
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার রাজধানী দিল্লির সুন্দর নার্সারিতে সুফি সংগীত উৎসব ‘জাহান-এ-খুসরো’-র রজতজয়ন্তী উদ্যাপনের উদ্বোধন করেন। এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি ২৫ বছরে পদার্পণ করল এ বছর। এটি কেবল ভারতের সাংস্কূতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই পালন করেনি বরং মানুষের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, ‘জাহান-এ-খুসরো’-র এই অনুষ্ঠানে এক ভিন্ন সুবাস আছে, এই সুবাস হিন্দুস্তানের মাটির। যখন আমরা সুফি সংগীত শুনি, তখন আমরা এতে প্রেম, ভক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার সঙ্গম দেখতে পাই। এই ধরনের অনুষ্ঠান কেবল দেশের সংস্কূতি ও শিল্পের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং এগুলো আধ্যাত্মিক শান্তিও প্রদান করে।’ এ ছাড়াও দেশবাসীকে রমযানের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ, যখন আমি সুন্দর নার্সারি পরিদর্শন করছি, তখন আমার কাছে মহামান্য প্রিন্স করিম আগা খানের কথা মনে পড়া স্বাভাবিক। সুন্দর নার্সারির সৌন্দর্যবর্ধন ও সংরক্ষণে তাঁর অবদান লক্ষ লক্ষ শিল্পপ্রেমীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।’ এ ছাড়াও তিনি জানান যে, ভারতের সুফি ঐতিহ্য তার অনন্য পরিচয় তৈরি করেছে। সুফি সাধকরা তাদের বাণী কেবল মসজিদ এবং দরগাহর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘সুফি সাধকরা যেমন পবিত্র কুরআন পাঠ করতেন তেমনি বেদের বাণীও শুনতেন। তারা আজানের ধ্বনির সঙ্গে ভক্তিমূলক গানের মাধুর্য যোগ করতেন। যেকোনও দেশের সংস্কূতি ও সভ্যতার স্বর তার সংগীত থেকে আসে এবং ভারত এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য গ্রহণ করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, ‘জাহান-এ-খুসরোর এই অনুষ্ঠানে ভারতের মাটির সুবাস আছে। সেই ভারত, যাকে হযরত আমির খুসরো স্বর্গের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আমাদের ভারত হল স্বর্গের সেই বাগান, যেখানে সংস্কূতির প্রতিটি রং ফুটে উঠেছে। এখানকার মাটির প্রকৃতিতে বিশেষ কিছু আছে। সম্ভবত সেই কারণেই যখন সুফি ঐতিহ্য ভারতে এসেছিল, তখন মনে হয়েছিল যেন এটি তার নিজস্ব ভূমির সঙ্গে সংযুক্ত।’
আমির খুসরোর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হযরত আমির খুসরো বলেছিলেন যে ভারতবর্ষ সেই সময়ে বিশ্বের সমস্ত বড় দেশের চেয়ে মহান। তিনি সংস্কূতকে বিশ্বের সেরা ভাষা বলে অভিহিত করেছিলেন।’ রুমি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এই উৎসবটি ২০০১ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিল্পী মুজাফফর আলি দ্বারা শুরু হয়েছিল এবং এ বছর এটির ২৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হচ্ছে। তিনদিনের এই উৎসবে, সারাবিশ্বের শিল্পীরা সমবেত হন। এই বছরও এই অনুষ্ঠানটি ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত চলবে। যেখানে সুফি সংগীতের বিভিন্ন পরিবেশনা থাকবে।