২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিষিদ্ধ শব্দবাজি রোধে নজরদারি জোরদার করতে পুলিশের কন্ট্রোলরুম

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 79

পুবের কলম প্রতিবেদক: দিওয়ালি মানেই আলোর উৎসব, অন্ধকার ঘোচাবে আলোর রোশনাই। আর কালী পুজো মানেই আতশ বাজির তাণ্ডব। রাত বিরেতে বোম্ব, তুবড়ি ফাটানোর আনন্দ। কিন্তু এই বাজির আওয়াজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবেশ। রাস্তার পশুরাও আক্রান্ত হয়, বিপদে পড়েন পথচলতি মানুষরাও।

এছাড়া বাড়িতে কোনও অসুস্থ থাকলেও কানের বারোটা বেজে যায় তাঁর। তাই গত কয়েক বছর ধরে কালীপুজো, দিওয়ালিতে নিষিদ্ধ হয়েছে শব্দবাজি। কলকাতাও ব্যতিক্রম নয়। শুধু শব্দ নয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বাজি ফাটানোর সময়ও।

আজ, দীপাবলি, সুতরাং বিকেল গড়াতেই আলোয় সেজে উঠবে গোটা শহর। চারিদিকে বাজিও পুড়বে। শব্দও হবে। ফলে দূষণের সৃষ্টি হবে। তবে বাজি বাজি পোড়ানোর আগে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের দেওয়া নিয়ম না মানলেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। সোমবার (২০ অক্টোবর) দীপাবলির শুভক্ষণে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাজি ফাটানোর সময় সোমবার সন্ধে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

তবে বাড়তি দু’ঘণ্টা গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানো যাবে। এই নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে সবুজ বাজি পোড়ালে নিয়ম লঙ্ঘন হবে। তবে নিয়ম মেনে গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানো যাবে। বাজির বাক্সের গায়ে থাকবে কিউআর কোড। নজরদারির জন্যে কন্ট্রোল রুমও খোলা থাকবে। ২১ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে কন্ট্রোল রুমে। তার জন্যে (০৩৩) ২২০২ ৩০৫৭ ও টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ৩৪৫ ৩৩৯০-তে ফোন করতে পারেন। সুতরাং বাজি ফাটানোর আগে সতর্ক হোন। প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা না মানলেই শাস্তি অনিবার্য।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিষিদ্ধ শব্দবাজি রোধে নজরদারি জোরদার করতে পুলিশের কন্ট্রোলরুম

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: দিওয়ালি মানেই আলোর উৎসব, অন্ধকার ঘোচাবে আলোর রোশনাই। আর কালী পুজো মানেই আতশ বাজির তাণ্ডব। রাত বিরেতে বোম্ব, তুবড়ি ফাটানোর আনন্দ। কিন্তু এই বাজির আওয়াজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবেশ। রাস্তার পশুরাও আক্রান্ত হয়, বিপদে পড়েন পথচলতি মানুষরাও।

এছাড়া বাড়িতে কোনও অসুস্থ থাকলেও কানের বারোটা বেজে যায় তাঁর। তাই গত কয়েক বছর ধরে কালীপুজো, দিওয়ালিতে নিষিদ্ধ হয়েছে শব্দবাজি। কলকাতাও ব্যতিক্রম নয়। শুধু শব্দ নয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বাজি ফাটানোর সময়ও।

আজ, দীপাবলি, সুতরাং বিকেল গড়াতেই আলোয় সেজে উঠবে গোটা শহর। চারিদিকে বাজিও পুড়বে। শব্দও হবে। ফলে দূষণের সৃষ্টি হবে। তবে বাজি বাজি পোড়ানোর আগে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের দেওয়া নিয়ম না মানলেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। সোমবার (২০ অক্টোবর) দীপাবলির শুভক্ষণে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাজি ফাটানোর সময় সোমবার সন্ধে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

তবে বাড়তি দু’ঘণ্টা গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানো যাবে। এই নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে সবুজ বাজি পোড়ালে নিয়ম লঙ্ঘন হবে। তবে নিয়ম মেনে গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানো যাবে। বাজির বাক্সের গায়ে থাকবে কিউআর কোড। নজরদারির জন্যে কন্ট্রোল রুমও খোলা থাকবে। ২১ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে কন্ট্রোল রুমে। তার জন্যে (০৩৩) ২২০২ ৩০৫৭ ও টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ৩৪৫ ৩৩৯০-তে ফোন করতে পারেন। সুতরাং বাজি ফাটানোর আগে সতর্ক হোন। প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা না মানলেই শাস্তি অনিবার্য।