১৯ মে ২০২৫, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাথরপ্রতিমায় বাজি বিস্ফোরণের পরে জেলাজুড়ে বাজি কারখানায় হানা পুলিশের, গ্রেফতার ৩

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 73

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানা এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজন মারা যাবার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। জেলাজুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকার বাজি কারখানাগুলিতে অভিযান চলছে। সেই তল্লাশি অভিযানে পৃথক জায়গা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেআইনি বাজি তৈরির বিপুল পরিমাণ মশলা।

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককে মোদি-ইউনূসের বৈঠক হবে? বৈঠক নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের বিদেশসচিব

আরও পড়ুন: নাগপুরের অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ৫ শ্রমিক

ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার নোদাখালি থানা মোহনপুর গ্রামের দাসপাড়া এবং প্রামাণিকপাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। নোদাখালির দাসপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সৌম্যদীপ দাস নামে এক ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৬ কেজি বাজি তৈরির মশলা ও সরঞ্জাম। বজবজ থানার চিংড়িপোতা এলাকাতেও অভিযান চলে।সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ কেজি বাজি। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। পাশাপাশি মহেশতলা থানার পুটখালি বলরামপুর এলাকাতেও অভিযান চলে। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছে ৬২ কেজি বাজি। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।

আরও পড়ুন: গুজরাটে বাজি কারখানায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধেই আলাদা আলাদাভাবে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার আলিপুর আদালতে পেশ করা  হয়। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, যে সমস্ত পুলিশ জেলার অধীনে এই সমস্ত বাজি শিল্প রয়েছে, সে সব এলাকায় এরকম ধরপাকড় এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে চলবে। পাথরপ্রতিমার বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজন মারা গিয়েছেন। এখনও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। থমথমে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন কারখানার দুই মালিক, সম্পর্কে দুই ভাই চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিক। মঙ্গলবার চন্দ্রকান্তকে আটক করে পুলিশ। দিনভর জেরা করার পর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবারও অপরজনের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।

আরও পড়ুন: পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাথরপ্রতিমায় বেআইনি বাজি কারখানা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাথরপ্রতিমায় বাজি বিস্ফোরণের পরে জেলাজুড়ে বাজি কারখানায় হানা পুলিশের, গ্রেফতার ৩

আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানা এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজন মারা যাবার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। জেলাজুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকার বাজি কারখানাগুলিতে অভিযান চলছে। সেই তল্লাশি অভিযানে পৃথক জায়গা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেআইনি বাজি তৈরির বিপুল পরিমাণ মশলা।

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককে মোদি-ইউনূসের বৈঠক হবে? বৈঠক নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের বিদেশসচিব

আরও পড়ুন: নাগপুরের অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ৫ শ্রমিক

ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার নোদাখালি থানা মোহনপুর গ্রামের দাসপাড়া এবং প্রামাণিকপাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। নোদাখালির দাসপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সৌম্যদীপ দাস নামে এক ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৬ কেজি বাজি তৈরির মশলা ও সরঞ্জাম। বজবজ থানার চিংড়িপোতা এলাকাতেও অভিযান চলে।সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ কেজি বাজি। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। পাশাপাশি মহেশতলা থানার পুটখালি বলরামপুর এলাকাতেও অভিযান চলে। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছে ৬২ কেজি বাজি। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।

আরও পড়ুন: গুজরাটে বাজি কারখানায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধেই আলাদা আলাদাভাবে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার আলিপুর আদালতে পেশ করা  হয়। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, যে সমস্ত পুলিশ জেলার অধীনে এই সমস্ত বাজি শিল্প রয়েছে, সে সব এলাকায় এরকম ধরপাকড় এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে চলবে। পাথরপ্রতিমার বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজন মারা গিয়েছেন। এখনও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। থমথমে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন কারখানার দুই মালিক, সম্পর্কে দুই ভাই চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিক। মঙ্গলবার চন্দ্রকান্তকে আটক করে পুলিশ। দিনভর জেরা করার পর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবারও অপরজনের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।

আরও পড়ুন: পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাথরপ্রতিমায় বেআইনি বাজি কারখানা