১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসমে  ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমামদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক   

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 30

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বাইরের রাজ্য থেকে আসা কোনও ব্যক্তি অসমের কোনও মসজিদের ইমামতি করতে চাইলে কিংবা কোনও মাদ্রাসার শিক্ষক হতে চাইলে তার জন্য লাগবে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও  অনলাইন রেজিস্টেশন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের   সামনে বলেন, ইতিমধ্যে এমন দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের মধ্যে একজন মসজিদের ইমামতি  করলেও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল।

 

আরও পড়ুন: তৎকাল টিকিটে কালোবাজারি রুখতে আইডির সঙ্গে আধারের লিঙ্ক বাধ্যতামূলক, জানাল IRCTC

আমরা নির্দেশ দিয়েছি কোনও মসজিদে নতুন ইমাম  যদি আসে তাহলে স্থানীয়রাই যেন পুলিশে খবর  দেন। বাইরে থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে এই নিয়ম কবে থেকে চালু হচ্ছে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট করে জানাননি।

আরও পড়ুন: অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা, ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু

 

আরও পড়ুন: ১৭১টি ভুয়ো এনকাউন্টার অসমে, রাজ্য এইচআরসিকে তদন্তের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত

গোয়ালপাড়া পুলিশ সুপার ভিডি রাকেশ রেড্ডি বলেন, আমরা দেখেছি যে দু’জন ইমামকে গ্রেফতার করা  হয়েছে তারা ‘জেহাদের কাজে’ লোক নিয়োগ করছিল গোপন ভাবে। ‘জেহাদের কাজে’ মদদ করেছিল। উল্লেখ্য, বিগত ৪ মাসে অসম পুলিশ ২৫ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন   বাংলাদেশী রয়েছে। পুলিশ জানায় তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ টিমের সঙ্গে সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

 

গত শনিবার গোয়ালপাড়া জেলার দুটি মসজিদ থেকে দু’জন ইমামকে গ্রেফতার করা হয়। ইমাম আবদুস  সুবহান এবং ইমাম জালালুদ্দিন শে’কে গ্রেফতার করা হয় এই জেলার দুটি ভিন্ন মসজিদ থেকে। পুলিশের বক্তব্য তাদের কাছ থেকে আপত্তিকর বইপত্র, পুস্তক মোবাইল ও সিম কার্ড পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের প্রমান পাওয়া গিয়েছে মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড থেকে। তাদের রবিবার আদালতে পেশ করা হলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৬-১৭ সালে বেশ কয়েকজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য অসমে প্রবেশ  করে এখানকার যুবকদের মগজ ধোলাই করছে। অনেকেই মাদ্রাসার শিক্ষক কিংবা মসজিদের কাজে  নিয়োজিত রয়েছে। এই সব লোকেরা শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা ট্রেনিং ক্যাম্প করছে এমনকি বোমা বানানো ও বন্দুক চালানোর ট্রেনিংও দেওয়া হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে অসমে মাদ্রাসা নিয়ে বিরূপ প্রচারনা হয়েছে এবার রীতিমতো জঙ্গীযোগের কথা বলা হল মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে মসজিদের ইমামদের লক্ষ্য করে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অসমে  ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমামদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক   

আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বাইরের রাজ্য থেকে আসা কোনও ব্যক্তি অসমের কোনও মসজিদের ইমামতি করতে চাইলে কিংবা কোনও মাদ্রাসার শিক্ষক হতে চাইলে তার জন্য লাগবে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও  অনলাইন রেজিস্টেশন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের   সামনে বলেন, ইতিমধ্যে এমন দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের মধ্যে একজন মসজিদের ইমামতি  করলেও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল।

 

আরও পড়ুন: তৎকাল টিকিটে কালোবাজারি রুখতে আইডির সঙ্গে আধারের লিঙ্ক বাধ্যতামূলক, জানাল IRCTC

আমরা নির্দেশ দিয়েছি কোনও মসজিদে নতুন ইমাম  যদি আসে তাহলে স্থানীয়রাই যেন পুলিশে খবর  দেন। বাইরে থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে এই নিয়ম কবে থেকে চালু হচ্ছে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট করে জানাননি।

আরও পড়ুন: অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা, ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু

 

আরও পড়ুন: ১৭১টি ভুয়ো এনকাউন্টার অসমে, রাজ্য এইচআরসিকে তদন্তের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত

গোয়ালপাড়া পুলিশ সুপার ভিডি রাকেশ রেড্ডি বলেন, আমরা দেখেছি যে দু’জন ইমামকে গ্রেফতার করা  হয়েছে তারা ‘জেহাদের কাজে’ লোক নিয়োগ করছিল গোপন ভাবে। ‘জেহাদের কাজে’ মদদ করেছিল। উল্লেখ্য, বিগত ৪ মাসে অসম পুলিশ ২৫ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন   বাংলাদেশী রয়েছে। পুলিশ জানায় তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ টিমের সঙ্গে সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

 

গত শনিবার গোয়ালপাড়া জেলার দুটি মসজিদ থেকে দু’জন ইমামকে গ্রেফতার করা হয়। ইমাম আবদুস  সুবহান এবং ইমাম জালালুদ্দিন শে’কে গ্রেফতার করা হয় এই জেলার দুটি ভিন্ন মসজিদ থেকে। পুলিশের বক্তব্য তাদের কাছ থেকে আপত্তিকর বইপত্র, পুস্তক মোবাইল ও সিম কার্ড পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের প্রমান পাওয়া গিয়েছে মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড থেকে। তাদের রবিবার আদালতে পেশ করা হলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৬-১৭ সালে বেশ কয়েকজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য অসমে প্রবেশ  করে এখানকার যুবকদের মগজ ধোলাই করছে। অনেকেই মাদ্রাসার শিক্ষক কিংবা মসজিদের কাজে  নিয়োজিত রয়েছে। এই সব লোকেরা শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা ট্রেনিং ক্যাম্প করছে এমনকি বোমা বানানো ও বন্দুক চালানোর ট্রেনিংও দেওয়া হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে অসমে মাদ্রাসা নিয়ে বিরূপ প্রচারনা হয়েছে এবার রীতিমতো জঙ্গীযোগের কথা বলা হল মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে মসজিদের ইমামদের লক্ষ্য করে।