১০ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোলিও আতঙ্কে কাঁপছে নিউ ইয়র্ক, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 97

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্যজুড়ে পোলিও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নিউ ইয়র্কের গভর্নর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। যেসব স্থানে পোলিও ভ্যাকসিন গ্রহণের হার কম সেসব স্থানে টিকাদানের হার বাড়ানোর  জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল জানান, নিউ ইয়র্ক সিটি এলাকায় রকল্যান্ড কাউন্টির দূষিতজলে

ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর পোলিও প্রতিরোধের প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইরানে পাল্টা হামলার ভয়ে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হাই এলার্ট

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, নিউইয়র্ক সিটি এবং এর সংলগ্ন রকল্যান্ড, অরেঞ্জ ও সুলিভান কাউন্টির বর্জ্যজলে পোলিও ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র এক ব্যক্তিকে পোলিও আক্রান্ত হতে দেখা গেছে এবং এক দশকের মধ্যে দেশটিতে এটি প্রথম কোনও পোলিও শনাক্তের ঘটনা। পোলিও নির্মূল করার লক্ষ্যে আমেরিকা

আরও পড়ুন: সলমন রুশদির হামলাকারী দোষী সাব্যস্ত, ন্যূনতম ৩০ বছর কারাদণ্ডের সম্ভাবনা

১৯৫৫ সালে পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে আমেরিকাকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করা হয়। নিউইয়র্কের রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রাজ্যে বর্তমানে পোলিও ভ্যাকসিন গ্রহণের হার ৭৯ শতাংশ। তবে নিউইয়র্কের কিছু অংশে টিকা দেওয়ার হার খুবই কম। মূলত রকল্যান্ড, অরেঞ্জ ও সুলিভানের কাউন্টিতে এ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার কম ছিল। জরুরি ঘোষণার লক্ষ্য হল, পোলিও ভ্যাকসিন গ্রহণের হার বাড়ানো।

আরও পড়ুন: ২০২২ সালে মঞ্চে ছুরিকাঘাত, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন রুশদি

রাজ্য কর্তৃপক্ষ এখন ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের হার ৭৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যেতে চায়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, পোলিওর সাধারণত কোনও নিরাময় নেই, তবে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ শিশুদের প্রভাবিত করে। এর ফলে শিশুদের দেহে সাধারণত পেশী দুর্বলতা এবং পক্ষাঘাত সৃষ্টি হয় এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটি স্থায়ী অক্ষমতা ও মৃত্যুও ঘটায়।

স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. মেরি ব্যাসেট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পোলিওর ক্ষেত্রে শুধু কথায় কোনও কাজ হয় না। তাই কেউ যদি টিকা না পায় বা টিকা দেওয়ার সাথে আপ টু ডেট না থাকে, তাহলে রোগের ঝুঁকি থাকছেই। আর প্যারালাইটিক পোলিওর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এ ভাইরাসে আশপাশের মানুষজনও আক্রান্ত হতে পারে। তাই আমি নিউ ইয়র্কবাসীদের অনুরোধ করছি কোনও ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য।’

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পোলিও আতঙ্কে কাঁপছে নিউ ইয়র্ক, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্যজুড়ে পোলিও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নিউ ইয়র্কের গভর্নর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। যেসব স্থানে পোলিও ভ্যাকসিন গ্রহণের হার কম সেসব স্থানে টিকাদানের হার বাড়ানোর  জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল জানান, নিউ ইয়র্ক সিটি এলাকায় রকল্যান্ড কাউন্টির দূষিতজলে

ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর পোলিও প্রতিরোধের প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইরানে পাল্টা হামলার ভয়ে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হাই এলার্ট

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, নিউইয়র্ক সিটি এবং এর সংলগ্ন রকল্যান্ড, অরেঞ্জ ও সুলিভান কাউন্টির বর্জ্যজলে পোলিও ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র এক ব্যক্তিকে পোলিও আক্রান্ত হতে দেখা গেছে এবং এক দশকের মধ্যে দেশটিতে এটি প্রথম কোনও পোলিও শনাক্তের ঘটনা। পোলিও নির্মূল করার লক্ষ্যে আমেরিকা

আরও পড়ুন: সলমন রুশদির হামলাকারী দোষী সাব্যস্ত, ন্যূনতম ৩০ বছর কারাদণ্ডের সম্ভাবনা

১৯৫৫ সালে পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে আমেরিকাকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করা হয়। নিউইয়র্কের রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রাজ্যে বর্তমানে পোলিও ভ্যাকসিন গ্রহণের হার ৭৯ শতাংশ। তবে নিউইয়র্কের কিছু অংশে টিকা দেওয়ার হার খুবই কম। মূলত রকল্যান্ড, অরেঞ্জ ও সুলিভানের কাউন্টিতে এ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার কম ছিল। জরুরি ঘোষণার লক্ষ্য হল, পোলিও ভ্যাকসিন গ্রহণের হার বাড়ানো।

আরও পড়ুন: ২০২২ সালে মঞ্চে ছুরিকাঘাত, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন রুশদি

রাজ্য কর্তৃপক্ষ এখন ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের হার ৭৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যেতে চায়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, পোলিওর সাধারণত কোনও নিরাময় নেই, তবে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ শিশুদের প্রভাবিত করে। এর ফলে শিশুদের দেহে সাধারণত পেশী দুর্বলতা এবং পক্ষাঘাত সৃষ্টি হয় এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটি স্থায়ী অক্ষমতা ও মৃত্যুও ঘটায়।

স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. মেরি ব্যাসেট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পোলিওর ক্ষেত্রে শুধু কথায় কোনও কাজ হয় না। তাই কেউ যদি টিকা না পায় বা টিকা দেওয়ার সাথে আপ টু ডেট না থাকে, তাহলে রোগের ঝুঁকি থাকছেই। আর প্যারালাইটিক পোলিওর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এ ভাইরাসে আশপাশের মানুষজনও আক্রান্ত হতে পারে। তাই আমি নিউ ইয়র্কবাসীদের অনুরোধ করছি কোনও ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য।’