০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্ভাব্য ঈদের দিন ন্যাশনাল মেডিক্যালে পরীক্ষা, বিতর্ক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার
  • / 15

পুবের কলম প্রতিবেদক: পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সাম্ভাব্য ঈদে পরীক্ষার দিনক্ষণ নির্ধারণ করে। পরে সেই দিনক্ষণও পরিবর্তন করা হয়। এবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এমবিবিএস-এর ২ দ্বিতীয় প্রফেশনাল কোর্সের ওরাল-প্রাকটিক্যাল ক্লাস নির্ধারণ করে।  ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ঈদের দিন পরীক্ষার দিনক্ষণ ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি ঈদের দিন এবং পরে-আগের দিন পরীক্ষা রেখেছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর এতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সমালোচনা।

গত ১১ এপ্রিল কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি,  মাইক্রোবায়োলজির পরীক্ষার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।  এই নির্দেশিকায় দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরু ২৩ এপ্রিল রবিবার থেকে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২৯ এপ্রিল। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ওই নির্দেশিকায় উল্লে’ করা হয়েছে। আর এতেই সমস্যায় পড়েছেন সংখ্যালঘু মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা। দেখা যাচ্ছে, রমযান ৩০ দিনের হলেও ২৩ এপ্রিল ঈদ হওয়ার কথা রয়েছে। রমযান মাসের শেষ ২৯দিন হবে না ৩০ দিনের হবে, তা এ’নই বলা সম্ভব নয়। এদিকে রাজ্যের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য ঈদের আগে ও পরের দিন যাতে কোনও ভাবে পরীক্ষা না রাখা হয়, সে সে কথা আগেই জানিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।

রাজ্য সরকারের ছুটির ক্যালেন্ডার অনুসারে ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, ২১ ও ২২ এপ্রিল। কিন্তু  রমযান মাস ত্রিশ দিনের হলে ঈদ-উল- ফিতর হবে ২৩ এপ্রিল। এই ঈদের সময় পরীক্ষার দিনক্ষণ ফেলা হলে কী ভাবে পড়ুয়ারা এই উৎসব পালন করবে, সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পড়ুয়ারা। ঈদের সময় পরীক্ষা নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সম্ভাব্য ঈদের দিন ন্যাশনাল মেডিক্যালে পরীক্ষা, বিতর্ক

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সাম্ভাব্য ঈদে পরীক্ষার দিনক্ষণ নির্ধারণ করে। পরে সেই দিনক্ষণও পরিবর্তন করা হয়। এবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এমবিবিএস-এর ২ দ্বিতীয় প্রফেশনাল কোর্সের ওরাল-প্রাকটিক্যাল ক্লাস নির্ধারণ করে।  ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ঈদের দিন পরীক্ষার দিনক্ষণ ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি ঈদের দিন এবং পরে-আগের দিন পরীক্ষা রেখেছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর এতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সমালোচনা।

গত ১১ এপ্রিল কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি,  মাইক্রোবায়োলজির পরীক্ষার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।  এই নির্দেশিকায় দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরু ২৩ এপ্রিল রবিবার থেকে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২৯ এপ্রিল। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ওই নির্দেশিকায় উল্লে’ করা হয়েছে। আর এতেই সমস্যায় পড়েছেন সংখ্যালঘু মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা। দেখা যাচ্ছে, রমযান ৩০ দিনের হলেও ২৩ এপ্রিল ঈদ হওয়ার কথা রয়েছে। রমযান মাসের শেষ ২৯দিন হবে না ৩০ দিনের হবে, তা এ’নই বলা সম্ভব নয়। এদিকে রাজ্যের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য ঈদের আগে ও পরের দিন যাতে কোনও ভাবে পরীক্ষা না রাখা হয়, সে সে কথা আগেই জানিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।

রাজ্য সরকারের ছুটির ক্যালেন্ডার অনুসারে ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, ২১ ও ২২ এপ্রিল। কিন্তু  রমযান মাস ত্রিশ দিনের হলে ঈদ-উল- ফিতর হবে ২৩ এপ্রিল। এই ঈদের সময় পরীক্ষার দিনক্ষণ ফেলা হলে কী ভাবে পড়ুয়ারা এই উৎসব পালন করবে, সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পড়ুয়ারা। ঈদের সময় পরীক্ষা নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।