২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভার্মার বিরুদ্ধে দুই সভায় ইমপিচমেন্টের প্রস্তুতি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার
  • / 31

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মা যখন নিজের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব রুখতে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ তদন্তকেই চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানিয়েছেন তখন সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন দুই কক্ষেই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। এদিন রাজ্যসভার ৬৩ সাংসদ সই করে এক প্রস্তাব চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর এর কাছে জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে লোকসভায় সব দল মিলিয়ে ১৫২ সাংসদের সই করা এক প্রস্তাব স্পিকার ওম বিড়লার কাছে পেশ করা হয়। তাতে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও সই করেছেন। এর অর্থ সংসদের দুই কক্ষই বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে দাঁড়াল। এরপর তাঁর পক্ষে বিচারপতি থাকা একপ্রকার অসম্ভব। কারণ তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত কমিটির পর্যবেক্ষণকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন।

ওই কমিটি ৫৫ জনের সাক্ষ্য নিয়ে তবে রিপোর্ট দেয়। সেই ৫৫ জনের মধ্যে বিচারপতির বাড়ির কাজের লোক যেমন ছিল, তেমন তাঁর বোনও ছিলেন। সকলেই বলেছিলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে বিচারপতি বাইরে থেকে ফোন করে বার বার টাকার বাণ্ডিলগুলো সরাতে বলেন। এ-ও বলেন, পুলিশ যেন টাকার ব্যাপার না জানতে পারে। তবে বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব ত্বরান্বিত হলেও বিচারপতি কৈলাস যাদব সরাসরি আর এস এসের সভায় উপস্থিত থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বির্তক তুললেও তা নিয়ে বুদবুদ উঠে নিভে গেল কেন, তা সন্দেহজনক।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত মাত্র ১৮ মুসলিম মহিলা লোকসভায়!

আরও পড়ুন: সংসদ বসার মুখে ইমপিচমেন্টকে শীর্ষ কোর্টে চ্যালেঞ্জ ভার্মার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভার্মার বিরুদ্ধে দুই সভায় ইমপিচমেন্টের প্রস্তুতি

আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মা যখন নিজের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব রুখতে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ তদন্তকেই চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানিয়েছেন তখন সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন দুই কক্ষেই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। এদিন রাজ্যসভার ৬৩ সাংসদ সই করে এক প্রস্তাব চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর এর কাছে জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে লোকসভায় সব দল মিলিয়ে ১৫২ সাংসদের সই করা এক প্রস্তাব স্পিকার ওম বিড়লার কাছে পেশ করা হয়। তাতে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও সই করেছেন। এর অর্থ সংসদের দুই কক্ষই বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে দাঁড়াল। এরপর তাঁর পক্ষে বিচারপতি থাকা একপ্রকার অসম্ভব। কারণ তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত কমিটির পর্যবেক্ষণকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন।

ওই কমিটি ৫৫ জনের সাক্ষ্য নিয়ে তবে রিপোর্ট দেয়। সেই ৫৫ জনের মধ্যে বিচারপতির বাড়ির কাজের লোক যেমন ছিল, তেমন তাঁর বোনও ছিলেন। সকলেই বলেছিলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে বিচারপতি বাইরে থেকে ফোন করে বার বার টাকার বাণ্ডিলগুলো সরাতে বলেন। এ-ও বলেন, পুলিশ যেন টাকার ব্যাপার না জানতে পারে। তবে বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব ত্বরান্বিত হলেও বিচারপতি কৈলাস যাদব সরাসরি আর এস এসের সভায় উপস্থিত থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বির্তক তুললেও তা নিয়ে বুদবুদ উঠে নিভে গেল কেন, তা সন্দেহজনক।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত মাত্র ১৮ মুসলিম মহিলা লোকসভায়!

আরও পড়ুন: সংসদ বসার মুখে ইমপিচমেন্টকে শীর্ষ কোর্টে চ্যালেঞ্জ ভার্মার