২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২২, শনিবার
  • / 32

পুবের কলম প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচী সহিংস রূপ নেওয়ার একদিন পর দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। তিনি একটি ঘোষণায় বলেন, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মানুষের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ ও পরিষেবা দেওয়ার জন্যই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজারে বিধ্বংসী আগুনে ১৫ জনের মৃত্যু, শোকপ্রকাশ মুর্মুর

রাজধানী কলোম্বোয় কারফিউ জারি ও তুলে নেওয়ার পরদিন শুক্রবার সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। বিবিসির তার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে খাবার, অর্থ, তেল ও বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকটে জর্জরিত শ্রীলংকা। ক্রমেই এ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এর প্রতিবাদে গত মাস থেকে বিক্ষোভ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

 

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

দেশটিতে এখন বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকট চলছে, যা অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। দিনে ১৩ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ না থাকা, তেল, খাদ্যপণ্য ও ওষুধ সংকটের কারণে দেশটিতে জনঅসন্তোষ চরমে উঠেছে। এ বিক্ষোভকে একটি বড় ধরনের সরকারবিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। যদিও ২০১৯ সালে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন রাজাপাকসে। তিনি তখন স্থিতিশীলতা ও দৃঢ়ভাবে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

 

বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, উচ্চভিলাষী অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প, অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ, পরিশোধে বেহাল অবস্থা, আকস্মিকভাবে কর হ্রাস, করোনায় পর্যটন ও রেমিট্যান্স খাতে বিপর্যয়, অর্গানিক চাষাবাদে বাধ্যকরণ, সংকট সমাধানে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এবং পরিবারতন্ত্রের কারণে এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সরকার অবশ্য বলছে, করোনা মহামারির কারণে পর্যটন খাত বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালে চার্চগুলোতে সিরিজ হামলার ঘটনাও পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংকটের শুরু অনেক আগে থেকেই।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচী সহিংস রূপ নেওয়ার একদিন পর দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। তিনি একটি ঘোষণায় বলেন, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মানুষের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ ও পরিষেবা দেওয়ার জন্যই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজারে বিধ্বংসী আগুনে ১৫ জনের মৃত্যু, শোকপ্রকাশ মুর্মুর

রাজধানী কলোম্বোয় কারফিউ জারি ও তুলে নেওয়ার পরদিন শুক্রবার সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। বিবিসির তার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে খাবার, অর্থ, তেল ও বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকটে জর্জরিত শ্রীলংকা। ক্রমেই এ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এর প্রতিবাদে গত মাস থেকে বিক্ষোভ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

 

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

দেশটিতে এখন বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকট চলছে, যা অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। দিনে ১৩ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ না থাকা, তেল, খাদ্যপণ্য ও ওষুধ সংকটের কারণে দেশটিতে জনঅসন্তোষ চরমে উঠেছে। এ বিক্ষোভকে একটি বড় ধরনের সরকারবিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। যদিও ২০১৯ সালে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন রাজাপাকসে। তিনি তখন স্থিতিশীলতা ও দৃঢ়ভাবে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

 

বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, উচ্চভিলাষী অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প, অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ, পরিশোধে বেহাল অবস্থা, আকস্মিকভাবে কর হ্রাস, করোনায় পর্যটন ও রেমিট্যান্স খাতে বিপর্যয়, অর্গানিক চাষাবাদে বাধ্যকরণ, সংকট সমাধানে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এবং পরিবারতন্ত্রের কারণে এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সরকার অবশ্য বলছে, করোনা মহামারির কারণে পর্যটন খাত বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালে চার্চগুলোতে সিরিজ হামলার ঘটনাও পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংকটের শুরু অনেক আগে থেকেই।