প্রাথমিক স্কুল নাকি গরুর গোয়াল! উপচে পড়ছে গোবর, প্রবেশপথে বাঁধা গবাদিপশু, ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা
- আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
- / 6
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রাথমিক স্কুল নাকি গরুর গোয়াল একনজরে দেখে তা অবশ্য বোঝার উপায় এই। কারণ স্কুলের সামনে উপচে পড়া গোবর, গেটের সামনে বাঁধা রয়েছে গরু। হ্যাঁ এই ছবি দেখতে পাওয়া যাবে ওলাইপদী পঞ্চায়েতের ভেপপুরের পঞ্চায়েত ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। চেন্নাইয়ের পেরাম্বলুর জেলার এই প্রাথমিক স্কুলটি কে ঘিরে অভিভাবকদের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
প্রথম থেকে পঞ্চমশ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলের পড়ুয়াদের যে প্রতিদিন গোবর মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হয় শুধু তাই নয়, পাশের আবর্জনা থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধও নষ্ট করে দিচ্ছে পঠনপাঠনের পরিবেশকে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অন্তত এক বছর ধরে স্কুলের প্রধান ফটক ও কম্পাউন্ডে অযথা গরু বেঁধে রাখা হচ্ছে।পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের বাবা টি সত্যসীলান বলেন, “স্কুলের প্রবেশদ্বারটি র অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। গরুকে বেঁধে রাখার জন্য লোহার রড মাটিতে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের চারপাশে কমপক্ষে ১০টি গবাদিপশু বেঁধে রাখা হয়।ছাত্ররা প্রতিদিন স্কুলে ঢোকার সময় এবং বের হওয়ার সময় গোবরে পা রাখতে বাধ্য হয়। এর ফলে সংক্রমণ হয়। আমার ছেলেও ভুক্তোভোগী।
ওই অভিভাবক আরও বলেন “শিশুরা পড়ার সময় শ্রেণীকক্ষে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায়। বিদ্যালয়টি গোয়ালঘরে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়। স্কুলের ঠিক আগে গ্রাম পরিদর্শকের এর কার্যালয় তিনি অবশ্য কোনো ব্যবস্থা নেননি,”
ভি চেল্লামুথু নামে এক বাসিন্দা বলেন, “আমার আত্মীয়ের ছেলেমেয়েরাও এই স্কুলে পড়াশোনা করছে। কিছু ছাত্র প্রধান ফটকের কাছে বেঁধে রাখা গবাদিপশুকে নিয়ে খেলা করে। এটা বিপজ্জনক। প্রাক্তন ছাত্ররা স্কুলের ছুটির সময় স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকে মদ্যপান করে এবং বোতলগুলি সেখানে ফেলে দেয়। শিক্ষকরা নিয়মিত সেগুলি পরিষ্কার করতে বাধ্য হন।”
বিডিও, গ্রাম পরিদর্শক, এমনকি জেলা কালেক্টরও সবকিছু জানেন, কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বলছেন ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা। পেরাম্বলুরের একজন সিনিয়র স্কুল শিক্ষা বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন তাঁরা বিষয়টি জানেনইনা। তবে জেলাশাসককের নজরে পুরো বিষয়টি আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেন শিক্ষা দফতরের ওই আধিকারিক।