Breaking: জামিন পেলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তিস্তা শেতলাবাদ

- আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
- / 10
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জামিন পেলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তিস্তা শেতলাবাদ। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে তিস্তা শেতলাবাদ জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে তিস্তা শেতলাবাদ জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তিস্তা শেতলাবাদকে যে ভাবে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গুজরাত হাই কোর্টে স্থায়ী জামিনের আবেদনের বিষয়ে নির্দেশ ঘোষিত না হওয়া পর্যস্ত পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে তিস্তাকে।
প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত স্বয়ং তিস্তার জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে গুজরাত হাই কোর্টের ছ’সপ্তাহ সময় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ৩ আগস্ট নোটিশ জারি করে ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে। জামিনের আবেদনের ক্ষেত্রে কি ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়?’’ ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ আরও বলেছিল যে এই মামলায় এমন কোনও অপরাধ নেই যার জন্য জামিন দেওয়া যাবে না, তাও একজন মহিলাকে।
২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গাপর্বের গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ড মামলায় ‘সিট’ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদি-সহ বেশ কয়েক জনকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। তার বিরোধিতায় মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত ২৪ জুন সেই আবেদন খারিজ করে দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, গুজরাত দাঙ্গা সংক্রান্ত কোনও মিথ্যা তথ্যপ্রমাণ তিস্তা পেশ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা বলে। এর পরেই ২৫ জুন মুম্বইয়ে গিয়ে গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) তিস্তাকে গ্রেফতার করেছিল। সে সময় তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, যিনি গুজরাতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বলেছিলেন যে এটি বিশ্বাস করা ভুল যে শুধুমাত্র তিস্তার ক্ষেত্রে, জামিনের নোটিশের পরে হাইকোর্ট ৬ সপ্তাহ পরে শুনানির জন্য সময় দিয়েছে। গুজরাট হাইকোর্টে এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ৩ আগস্ট তিস্তার আবেদনের ওপর যেদিন নোটিশ জারি করা হয়, সেদিন অনেককে শুনানির জন্য আরও সময় দেওয়া হয়। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যদি ১৯ সেপ্টেম্বরের আগে হাইকোর্টকে শুনানির জন্য বলতে চায়, কিন্তু নিজে জামিন না দেয়, তা হবে একটি ভুল উদাহরণ।
অন্যদিকে, তিস্তা শেতলাবাদ আইনজীবী কপিল সিবাল বলেছেন, রাজ্য সরকার তিস্তাকে নিজের শত্রু মনে করে। কোনোভাবে তাদের জেলে রাখতে চায়। আবেদনকারীকে দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং এখনও বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। দায়রা আদালত ও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আবেদনকারী।
কপিল সিবাল বলেছেন, এফআইআর করা হয়েছে শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের ভিত্তিতে। আবেদনকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যথাযথভাবে এফআইআর-এ নথিভুক্ত করা হয়নি। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে, জামিন পাওয়া উচিত।