১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাকিস্তানের নামে নামকরণ কেন ? 

OPERATION SINDOOR: এবার উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে খনচাঁদ রমনানির প্রতিষ্ঠিত ‘কারাচি বেকারি’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 107

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলা এবং তার ১৫ দিনের মধ্যে ভারতের প্রত্যাঘাত অপারেশন সিঁদুর-এর (OPERATION SINDOOR) পর শিয়রে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা। যুদ্ধ আবহে চির-বৈরি দুই দেশে। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার হিন্দুত্ববাদী দলগুলির রোষের মুখে পড়ল হায়দরাবাদের সংস্থা ‘করাচি বেকারি’।

যদিও সংস্থাটির মালিক ধর্মে হিন্দু। জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় হায়দরাবাদ-সহ দেশজুড়ে ‘করাচি বেকারি’র বিভিন্ন শাখায় হামলা চলেছে। ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে হুমকি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে খবর। গোটা ঘটনার পর ত্রস্ত খাদ্য সংস্থাটির বর্তমান মালিক।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে কড়া জবাব বিদেশমন্ত্রকের

এই প্রেক্ষিতে তেলেঙ্গানা বজরং দলের আহ্বায়ক শিবরাম বলেন,ভারতে থেকে যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেন, তারা দেশ ছেড়ে চলে যাক। করাচি বেকারির সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে। তাই এর নাম পরিবর্তন করা উচিত। যদি তারা নাম না পরিবর্তন করে, তাহলে আমরা করব। দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: ‘ঘর মে ঘুসকে মারেঙ্গে’ মোদির হুঙ্কার

সেখানে তারা লেখে, ‘করাচি বেকারি ১০০ শতাংশ ভারতীয় ব্র্যান্ড। এই নাম আমাদের ইতিহাসের অংশ। ইতিহাসের ঐতিহ্য বহনকারী এই নাম। পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র নেই। শুধু তাই নয়, দোকানের বাইরে ভারতীয় পতাকাও লাগানো রয়েছে। কিন্তু তাও থামছে না বিতর্ক।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে ৩ জঙ্গি নিকেশ ভারতীয় সেনার

মালিকপক্ষের দাবি, তাঁরা মননে ও আচরণে সম্পূর্ণ ও আদ্যন্ত ভারতীয়৷ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা এবং দেশভাগের কয়েক বছর পরই বেকারির নামকরণে ‘করাচি’ আসে৷ হায়দরাবাদে ১৯৫৩ সালে করাচি বেকারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খনচাঁদ রমনানি নামে হিন্দু এক ব্যক্তি৷ তিনি দেশভাগের পর পাকিস্তান ছেড়ে এসেছিলেন ভারতে৷ বর্তমানে তাঁর নাতি দোকানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন৷ তাঁরা দোকানের নাম পাল্টাতে চান না বলেই জানিয়েছেন৷

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাকিস্তানের নামে নামকরণ কেন ? 

OPERATION SINDOOR: এবার উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে খনচাঁদ রমনানির প্রতিষ্ঠিত ‘কারাচি বেকারি’

আপডেট : ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলা এবং তার ১৫ দিনের মধ্যে ভারতের প্রত্যাঘাত অপারেশন সিঁদুর-এর (OPERATION SINDOOR) পর শিয়রে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা। যুদ্ধ আবহে চির-বৈরি দুই দেশে। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার হিন্দুত্ববাদী দলগুলির রোষের মুখে পড়ল হায়দরাবাদের সংস্থা ‘করাচি বেকারি’।

যদিও সংস্থাটির মালিক ধর্মে হিন্দু। জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় হায়দরাবাদ-সহ দেশজুড়ে ‘করাচি বেকারি’র বিভিন্ন শাখায় হামলা চলেছে। ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে হুমকি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে খবর। গোটা ঘটনার পর ত্রস্ত খাদ্য সংস্থাটির বর্তমান মালিক।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে কড়া জবাব বিদেশমন্ত্রকের

এই প্রেক্ষিতে তেলেঙ্গানা বজরং দলের আহ্বায়ক শিবরাম বলেন,ভারতে থেকে যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেন, তারা দেশ ছেড়ে চলে যাক। করাচি বেকারির সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে। তাই এর নাম পরিবর্তন করা উচিত। যদি তারা নাম না পরিবর্তন করে, তাহলে আমরা করব। দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: ‘ঘর মে ঘুসকে মারেঙ্গে’ মোদির হুঙ্কার

সেখানে তারা লেখে, ‘করাচি বেকারি ১০০ শতাংশ ভারতীয় ব্র্যান্ড। এই নাম আমাদের ইতিহাসের অংশ। ইতিহাসের ঐতিহ্য বহনকারী এই নাম। পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র নেই। শুধু তাই নয়, দোকানের বাইরে ভারতীয় পতাকাও লাগানো রয়েছে। কিন্তু তাও থামছে না বিতর্ক।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে ৩ জঙ্গি নিকেশ ভারতীয় সেনার

মালিকপক্ষের দাবি, তাঁরা মননে ও আচরণে সম্পূর্ণ ও আদ্যন্ত ভারতীয়৷ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা এবং দেশভাগের কয়েক বছর পরই বেকারির নামকরণে ‘করাচি’ আসে৷ হায়দরাবাদে ১৯৫৩ সালে করাচি বেকারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খনচাঁদ রমনানি নামে হিন্দু এক ব্যক্তি৷ তিনি দেশভাগের পর পাকিস্তান ছেড়ে এসেছিলেন ভারতে৷ বর্তমানে তাঁর নাতি দোকানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন৷ তাঁরা দোকানের নাম পাল্টাতে চান না বলেই জানিয়েছেন৷