০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব, মৃত ৩০ জন

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার
  • / 71

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভয়াবহ বন্যাতে বিপর্যস্ত পাঞ্জাব। এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো পাঞ্জাবের ১৪০০ গ্রামের প্রায় ৩.৫৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। আপাতত ১৯৫০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। প্রায় ৩.৭৫ লক্ষ একর কৃষিজমি ডুবে গিয়েছে। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্য সচিব কেপি সিনহা  ২৩টি জেলাকে বন্যা প্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এমনকি তিনি জেলা প্রশাসকদের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার  পূর্ণ ক্ষমতাও দিয়েছেন। প্রতিটি জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে  দ্রুত ত্রাণ ও সহায়তামূলক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গণপূর্ত, জলসম্পদ ও বিদ্যুৎ বিভাগকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য, দ্রুত অবকাঠামো মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টির প্রভাবে দিল্লী সহ মুম্বাই-এর অধিকাংশ জায়গায় বিপর্যয়

টেলিকম অপারেটরদের মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন সংযোগ কার্যকর রাখার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া সমস্ত কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজ্য সরকার কর্তৃক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই ভাকরা বাঁধের জলস্তর বিপদসীমা থেকে মাত্র দুই ফুট নিচে রয়েছে।

আরও পড়ুন: জলমগ্ন মুম্বই-বিপর্যস্ত জনজীবন, রেড অ্যালার্ট জারি কর্ণাটকে

বর্তমানে জলস্তর ১৬৭৮ ফুট, যেখানে সর্বোচ্চ সীমা ১৬৮০ ফুট। প্রবাহ ছিল ৮৬৮২২ কিউসেক ও বহির্গমন ছিল ৬৫০৪২ কিউসেক। অন্যদিকে পং বাঁধের জলস্তর বিপদসীমার ওপরে  উঠে ১,৩৯৩ ফুটে পৌঁছেছে। হারিকে ও হুসেইনিওয়ালা থেকে শতদ্রু নদীতে জলের প্রবাহকে উচ্চ বন্যা স্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর, কাপুরথালা, জলন্ধর, নওয়ানশহর, রূপনগর,  মোগা, লুধিয়ানা, বার্নালা ও সাঙ্গরুর জেলায় আগাম লাল সতর্কতা জারি করেছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে আহত তিন সাধারণ নাগরিক

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব, মৃত ৩০ জন

আপডেট : ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভয়াবহ বন্যাতে বিপর্যস্ত পাঞ্জাব। এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো পাঞ্জাবের ১৪০০ গ্রামের প্রায় ৩.৫৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। আপাতত ১৯৫০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। প্রায় ৩.৭৫ লক্ষ একর কৃষিজমি ডুবে গিয়েছে। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্য সচিব কেপি সিনহা  ২৩টি জেলাকে বন্যা প্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এমনকি তিনি জেলা প্রশাসকদের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার  পূর্ণ ক্ষমতাও দিয়েছেন। প্রতিটি জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে  দ্রুত ত্রাণ ও সহায়তামূলক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গণপূর্ত, জলসম্পদ ও বিদ্যুৎ বিভাগকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য, দ্রুত অবকাঠামো মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টির প্রভাবে দিল্লী সহ মুম্বাই-এর অধিকাংশ জায়গায় বিপর্যয়

টেলিকম অপারেটরদের মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন সংযোগ কার্যকর রাখার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া সমস্ত কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজ্য সরকার কর্তৃক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই ভাকরা বাঁধের জলস্তর বিপদসীমা থেকে মাত্র দুই ফুট নিচে রয়েছে।

আরও পড়ুন: জলমগ্ন মুম্বই-বিপর্যস্ত জনজীবন, রেড অ্যালার্ট জারি কর্ণাটকে

বর্তমানে জলস্তর ১৬৭৮ ফুট, যেখানে সর্বোচ্চ সীমা ১৬৮০ ফুট। প্রবাহ ছিল ৮৬৮২২ কিউসেক ও বহির্গমন ছিল ৬৫০৪২ কিউসেক। অন্যদিকে পং বাঁধের জলস্তর বিপদসীমার ওপরে  উঠে ১,৩৯৩ ফুটে পৌঁছেছে। হারিকে ও হুসেইনিওয়ালা থেকে শতদ্রু নদীতে জলের প্রবাহকে উচ্চ বন্যা স্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর, কাপুরথালা, জলন্ধর, নওয়ানশহর, রূপনগর,  মোগা, লুধিয়ানা, বার্নালা ও সাঙ্গরুর জেলায় আগাম লাল সতর্কতা জারি করেছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে আহত তিন সাধারণ নাগরিক