আইনে পুশব্যাকের উল্লেখ নেই: হাফিজ
১৯৫০-এর আইন মেনেই পুশব্যাক চলবে: হিমন্ত

- আপডেট : ৯ জুন ২০২৫, সোমবার
- / 89
আইনে পুশব্যাকের উল্লেখ নেই: হাফিজ
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অসমে চিহ্নিত বিদেশিদের পুশব্যাক বেআইনি নয়। এ বিষয়ে স্পষ্ট আইনি সংস্থান আছে। অতএব পুশব্যাক বৈধ প্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য উদ্ধৃত করে এই কথা বলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিদেশি চিহ্নিতদের অসম-বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে গিয়ে পুশব্যাক করা নিয়ে ইদানীং রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। সংখ্যালঘু সংগঠনগুলো বলছে, কোনওরকম আইনি প্রক্রিয়া না মেনে পুলিশ অসংখ্য মানুষদের সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, পুশব্যাকের পক্ষে বিলক্ষণ আইনি বিধান রয়েছে।
হিমন্তের মতের নাগরিকত্ব আইনের ৬(এ) দফার উপর সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, বিদেশি বহিষ্কারের জন্য অসম সরকারকে যে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালেই যেতে হবে এমন কোনও বাধ্য-বাধকতা নেই। ইমিগ্রান্টস (এক্স পালসন ফ্রম অসম) অ্যাক্ট ১৯৫০ দেশে বলবৎ রয়েছে। সেই আইন মতে, জেলা কমিশনরা পুশব্যাকের নির্দেশ দিতে পারেন।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এনআরসির জন্য বিদেশি চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও এখন সেটা তীব্রতর হবে। চিহ্নিত বিদেশিদের আর এফটি-তে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। সোজা পুশব্যাক করা হবে। তবে যাদের মামলা ঝুলছে আদালতে, তাদের পুশব্যাক করা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়ায় বেআইনি বললেন গৌহাটি হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরি। তাঁর মতে, হয় মুখ্যমন্ত্রীকে যে আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন সরকারি আইনজীবীরা তা স্পষ্টতই ভুল, নয়তো ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালগুলোকে এড়িয়ে নিজের মতো করে পুশব্যাক করতে চান তিনি।
হাফিজ রশিদের সাফ কথা, ইমিগ্রান্ট এক্সপালশন আইনের কোথাও পুশব্যাক শধটাই নেই। এই আইনে বলা হয়েছে, অবিভক্ত পূর্ব বাংলা থেকে এসে যারা (পড়ুন মুসলমানরা) দেশ বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ে তাদের বিতাড়িত করতেই রচিত হয়েছিল এই আইন। ১৯৫০-এর এই আইন অনুযায়ী, দেশ বিরোধীদের কবে চলে যেতে হবে এবং কোন পথ ধরে যেতে হবে তার উল্লেখ এই আইনের কোথাও নেই। পুশব্যাক নিয়ে একটাও শব্দ নেই।