০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিনস্ক চুক্তির কোনও অস্তিত্ব নেই ­ পুতিন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বুধবার
  • / 59

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেনের দুই এলাকাকে রুশ ভূখণ্ডের অংশ দাবি করে সেগুলিকে স্বাধীন ঘোষণা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । পশ্চিমা বিশ্ব এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসাবে অভিহিত করেছে । এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে ইউক্রেনের যে দুই এলাকাকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সেগুলি ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ারে সঙ্গে যুক্ত । তাই আপাতত ’মিনস্ক চুক্তির’ আর কোনও অস্তিত্ব নেই । বিবৃতিতে পুতিন বলেন ‘মিনস্ক চুক্তির আর অস্তিত্ব নেই । আমাদের পালন করারও কিছুই নেই । এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তা ‘ধ্বসে পড়েছে’ বলে জানান তিনি ।

 

আরও পড়ুন: ভারত ও চিনের প্রশংসা করলেন পুতিন

২০১৪ সালে বেলারুশের মিনস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধের জন্য এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । মিনস্ক চুক্তি নামে পরিচিতি পাওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বন্দি বিনিময় ও দোনবাস অঞ্চল থেকে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার বিষয় যুক্ত ছিল । কিন্তু পরস্পরের প্রতি সহিংসতার অভিযোগের জেরে এই চুক্তি আর বাস্তবায়িত হয়নি ।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে পুতিনের কঠিন পরিণতি হবে: ট্রাম্প

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন টেলিফোনিক কথোপকথনের পরই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

বিবৃতিতে পুতিন বলেন ইউক্রেনের জন্য ‘উত্তম’ সমাধান হবে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের আকাক্ষা ছেড়ে নিরপেক্ষ থাকা । পুতিন জানান পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি নির্ভর করছে বাস্তব পরিস্থিতির ওপর । এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর অনুমোদন দেয় রুশ সংসদ । তারপর ইউক্রেনের ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় রুশ সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ।

 

এরপর থেকেই ইউক্রেন ঘিরে চলমান উত্তেজনা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে । উল্লেখ্য ২০২০ সালে ইউক্রেন ন্যাটো সামরিক জোটের ’ইনহ্যান্সড অপারচুনিটি পার্টনার’ পদ পেলে রাশিয়া ক্ষুব্ধ হয় । নিজ দেশের সীমান্তে ন্যাটোর সম্প্রসারণের শঙ্কায় রাশিয়া ইউক্রেনের এই সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করছে । তাই বলাই যায় মিনস্ক চুক্তি অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল । এখন পশ্চিমা বিশ্ব চুক্তি না মানার জন্য রাশিয়াকে দুষছে ।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মিনস্ক চুক্তির কোনও অস্তিত্ব নেই ­ পুতিন

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেনের দুই এলাকাকে রুশ ভূখণ্ডের অংশ দাবি করে সেগুলিকে স্বাধীন ঘোষণা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । পশ্চিমা বিশ্ব এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসাবে অভিহিত করেছে । এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে ইউক্রেনের যে দুই এলাকাকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সেগুলি ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ারে সঙ্গে যুক্ত । তাই আপাতত ’মিনস্ক চুক্তির’ আর কোনও অস্তিত্ব নেই । বিবৃতিতে পুতিন বলেন ‘মিনস্ক চুক্তির আর অস্তিত্ব নেই । আমাদের পালন করারও কিছুই নেই । এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তা ‘ধ্বসে পড়েছে’ বলে জানান তিনি ।

 

আরও পড়ুন: ভারত ও চিনের প্রশংসা করলেন পুতিন

২০১৪ সালে বেলারুশের মিনস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধের জন্য এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । মিনস্ক চুক্তি নামে পরিচিতি পাওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বন্দি বিনিময় ও দোনবাস অঞ্চল থেকে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার বিষয় যুক্ত ছিল । কিন্তু পরস্পরের প্রতি সহিংসতার অভিযোগের জেরে এই চুক্তি আর বাস্তবায়িত হয়নি ।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে পুতিনের কঠিন পরিণতি হবে: ট্রাম্প

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন টেলিফোনিক কথোপকথনের পরই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

বিবৃতিতে পুতিন বলেন ইউক্রেনের জন্য ‘উত্তম’ সমাধান হবে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের আকাক্ষা ছেড়ে নিরপেক্ষ থাকা । পুতিন জানান পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি নির্ভর করছে বাস্তব পরিস্থিতির ওপর । এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর অনুমোদন দেয় রুশ সংসদ । তারপর ইউক্রেনের ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় রুশ সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ।

 

এরপর থেকেই ইউক্রেন ঘিরে চলমান উত্তেজনা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে । উল্লেখ্য ২০২০ সালে ইউক্রেন ন্যাটো সামরিক জোটের ’ইনহ্যান্সড অপারচুনিটি পার্টনার’ পদ পেলে রাশিয়া ক্ষুব্ধ হয় । নিজ দেশের সীমান্তে ন্যাটোর সম্প্রসারণের শঙ্কায় রাশিয়া ইউক্রেনের এই সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করছে । তাই বলাই যায় মিনস্ক চুক্তি অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল । এখন পশ্চিমা বিশ্ব চুক্তি না মানার জন্য রাশিয়াকে দুষছে ।