০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাতার বিশ্বকাপঃ প্রতিটি স্টেডিয়ামে নামাযের স্থান, কম দামে মিলছে হালাল খাবার  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 93

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পাঁচবার আযানের মাধ্যমে মুসলিমদের নামায আদায়ের আহ্বান জানান ইমামরা। এরমধ্যে শুক্রবারের জুমা নামাযের আলাদা গুরুত্ব আছে। আর এবার প্রথমবারের মতো মুসলিম কোনও দেশে বসেছে ফিফা বিশ্বকাপের আসর। তাই ধর্মীয় বিষয়টিকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছে আয়োজক কাতার। মাঠে উপস্থিত থাকা ফুটবল ভক্ত এবং ফিফার মুসলিম কর্মকর্তাদের পাঁচ ওয়াক্তসহ জুমার নামায পড়ার বিশেষ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে কাতার সরকার। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামের বাইরে নামায পড়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে। দোহায় সেদিন মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক কাতার ও সেনেগাল। দুটি দলই মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগে দুই দেশের সমর্থকরাও মাঠের বাইরে জুমার নামাযে অংশ নেন।

 

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ১০০টি উপজাতি হস্টেলে শিক্ষা দুর্নীতি, মিলছে না স্টাইপেন্ডও

এ ধরনের ঘটনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে বিরল। মুসলিম ফুটবল ভক্তরা বলেছেন, কাতারের বিশ্বকাপে তারা অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। প্রতিটি স্টেডিয়ামে নামায পড়ার স্থান আছে। এছাড়া কম দামে হালাল খাবার খাওয়ার সুযোগ এবং স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল। মরক্কোর ফুটবলপ্রেমী ইউসুফ আল ইদবারি বলেন, ‘আমি একটি ইসলামি দেশে এসেছি যেখানে আমি জুমার নামাযেও যোগ দিতে পারছি। এবারের টুর্নামেন্টে এটিই আমাকে বেশি আনন্দিত করেছে।’ এছাড়া রাতে দর্শকদের জন্য যেসব ফ্যান ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হচ্ছে সেখানেও নামাযের জন্য বিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে। এটিও মুসলিমদের জন্য আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা। এর আগের কোনও বিশ্বকাপে এ ধরনের অভিজ্ঞতা পাওয়ার কোনও সুযোগই ছিল না বলে জানিয়েছেন অনেক দর্শক।

আরও পড়ুন: ‘সবার সুখ শান্তির জন্য দোয়া চাইলাম’, নামায শেষে বললেন ফিরহাদ

 

আরও পড়ুন: প্রার্থনা শান্তি-সম্প্রীতির হাত তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ উপলক্ষে আগত বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের সামনে দেশের মুসলিম ঐতিহ্য তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কাতার। রাজধানী দোহার রাস্তায় স্থাপন করা ম্যুরালে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.র হাদিস আরবি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে। ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও পবিত্র কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে। কাতারে চলমান বিশ্বকাপ নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় যতই নেতিবাচক খবর প্রচার করা হোক না কেন, আরবসহ মুসলিম বিশ্বের মানুষরা কিন্তু এই বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক উচ্ছ্বসিত। এই টুর্নামেন্টটি তাদের জন্য এমন একটি অভিজ্ঞতা যা তারা আজীবন মনে রাখবে।

 

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাতার বিশ্বকাপঃ প্রতিটি স্টেডিয়ামে নামাযের স্থান, কম দামে মিলছে হালাল খাবার  

আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পাঁচবার আযানের মাধ্যমে মুসলিমদের নামায আদায়ের আহ্বান জানান ইমামরা। এরমধ্যে শুক্রবারের জুমা নামাযের আলাদা গুরুত্ব আছে। আর এবার প্রথমবারের মতো মুসলিম কোনও দেশে বসেছে ফিফা বিশ্বকাপের আসর। তাই ধর্মীয় বিষয়টিকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছে আয়োজক কাতার। মাঠে উপস্থিত থাকা ফুটবল ভক্ত এবং ফিফার মুসলিম কর্মকর্তাদের পাঁচ ওয়াক্তসহ জুমার নামায পড়ার বিশেষ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে কাতার সরকার। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামের বাইরে নামায পড়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে। দোহায় সেদিন মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক কাতার ও সেনেগাল। দুটি দলই মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগে দুই দেশের সমর্থকরাও মাঠের বাইরে জুমার নামাযে অংশ নেন।

 

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ১০০টি উপজাতি হস্টেলে শিক্ষা দুর্নীতি, মিলছে না স্টাইপেন্ডও

এ ধরনের ঘটনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে বিরল। মুসলিম ফুটবল ভক্তরা বলেছেন, কাতারের বিশ্বকাপে তারা অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। প্রতিটি স্টেডিয়ামে নামায পড়ার স্থান আছে। এছাড়া কম দামে হালাল খাবার খাওয়ার সুযোগ এবং স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল। মরক্কোর ফুটবলপ্রেমী ইউসুফ আল ইদবারি বলেন, ‘আমি একটি ইসলামি দেশে এসেছি যেখানে আমি জুমার নামাযেও যোগ দিতে পারছি। এবারের টুর্নামেন্টে এটিই আমাকে বেশি আনন্দিত করেছে।’ এছাড়া রাতে দর্শকদের জন্য যেসব ফ্যান ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হচ্ছে সেখানেও নামাযের জন্য বিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে। এটিও মুসলিমদের জন্য আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা। এর আগের কোনও বিশ্বকাপে এ ধরনের অভিজ্ঞতা পাওয়ার কোনও সুযোগই ছিল না বলে জানিয়েছেন অনেক দর্শক।

আরও পড়ুন: ‘সবার সুখ শান্তির জন্য দোয়া চাইলাম’, নামায শেষে বললেন ফিরহাদ

 

আরও পড়ুন: প্রার্থনা শান্তি-সম্প্রীতির হাত তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ উপলক্ষে আগত বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের সামনে দেশের মুসলিম ঐতিহ্য তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কাতার। রাজধানী দোহার রাস্তায় স্থাপন করা ম্যুরালে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.র হাদিস আরবি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে। ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও পবিত্র কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে। কাতারে চলমান বিশ্বকাপ নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় যতই নেতিবাচক খবর প্রচার করা হোক না কেন, আরবসহ মুসলিম বিশ্বের মানুষরা কিন্তু এই বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক উচ্ছ্বসিত। এই টুর্নামেন্টটি তাদের জন্য এমন একটি অভিজ্ঞতা যা তারা আজীবন মনে রাখবে।