১৯ মে ২০২৫, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রেফতার রাজস্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও রেজিস্টার

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 54

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122

মেঘালয়ের আচার্য মাহবুবুল হকের পর 

শিলং: মেঘালয়ের শিক্ষাব্রতী মাহবুবুল হকের পর রাজস্থানের আতিক আহমদকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। আতিক আহমদ বর্তমানে যোধপুরের মাওলানা আজাদ ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান, আতিক আহমদ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আনওয়ার আলি এবং প্রাক্তন সেক্রেটারি নিসার আহমদ খিলজিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারের দেওয়া জমি তারা অসৎ উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করেছেন। এই জমির পরিমাণ ১৪০ বিঘা, রাজস্থান সরকার এই জমি প্রখ্যাত এনজিও মাড়ওয়ার মুসলিম এডুকেশান অ্যান্ড ওয়েল ফেয়ার সোসাইটিকে দান করেছিল এই সোসাইটি বিভিন্ন সেবামূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সোসাইটির অধীন বেশ কয়েকটি শিক্ষাও সেবা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। এই রাজ্যে প্রথম মুসলিম পরিচালিত ও গো-শালা ছিল এই সোসাইটির হাতে। এই কাজের জন্য সোসাইটি প্রশংসিত হয়েছিল বেশ কয়েকবার। সোসাইটির কাজে খুশি হয়ে রাজ্য সরকার তাদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করে এবং জমিও বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু এইসব শিক্ষাব্রতী ও বিদ্দজনদের গ্রেফতার নিয়ে মিডিয়ায় যেসব কারণগুলি লেখা হয়েছে সেসব যদি সত্যি হয় তাহলে দেশে প্রতিটি সংখ্যালঘু পরিচালিত শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আতিক আহমদের গ্রেফতার নিয়ে হি¨ি মিডিয়া লিখেছে সোসাইটির যে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেই সভার নোটিস জারি হয়নি সময় মতো। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আতিক সাহেবদের অনুগত সদস্যদের মাধ্যমেই। কয়েকজন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। এই সব অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ গ্রেফতার করে তিনজকে। যদিও পরদিন আদালত তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছে। তবে বড় প্রশ্ন উঠে গেল তাহলে কী বিজেপি সরকার এবার সংখ্যালঘু পরিচালিত শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলির উপর নজর দিয়েছে? তাদের দুর্বলতা কোথায় রয়েছে সেসব খোঁজ নিয়ে পরিচালকদের গ্রেফতার করে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে যে গেরুয়া রঙে রঙিন না হলে কপালে দুঃখ রয়েছে? রাজস্থানের নাম করা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যদি এ ধরনের আচরণ করা হয় তাহলে অন্যান্য স্বল্প পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলি রক্ষা পাবে না।
জামিনের পর আতিক আহমদ সাহেব জানান যে জোধপুরের বিজেপি সদস্য সমর্থকরা বরাবরই তাদের মদদ করে এসেছে। ভুল অভিযোগে কেন তাদের হয়রানি করার চেষ্টা হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। সেবার মনোভাব নিয়েই তারা কাজ করে যাচ্ছে সোসাইটির জন্মলগ্ন থেকেই। আগের কংগ্রেস সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইনরিটি চেয়ারের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি দেখে অশোক গেহলট সরকার ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ হাজারের বেশি ছাত্র পড়াশুনা করছে বিভিন্ন স্ট্রীমে। রয়েছেন বহু অমুসলিম অধ্যাপক। আতিক সাহেব জানালেন বর্তমানে ৫ শতাংশ অধ্যাপক অমুসলিম এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অমুসলিম রয়েছে ৪০ শতাংশ। তবুও কেন তাদের টার্গেট করা হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গ্রেফতার রাজস্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও রেজিস্টার

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার

মেঘালয়ের আচার্য মাহবুবুল হকের পর 

শিলং: মেঘালয়ের শিক্ষাব্রতী মাহবুবুল হকের পর রাজস্থানের আতিক আহমদকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। আতিক আহমদ বর্তমানে যোধপুরের মাওলানা আজাদ ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান, আতিক আহমদ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আনওয়ার আলি এবং প্রাক্তন সেক্রেটারি নিসার আহমদ খিলজিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারের দেওয়া জমি তারা অসৎ উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করেছেন। এই জমির পরিমাণ ১৪০ বিঘা, রাজস্থান সরকার এই জমি প্রখ্যাত এনজিও মাড়ওয়ার মুসলিম এডুকেশান অ্যান্ড ওয়েল ফেয়ার সোসাইটিকে দান করেছিল এই সোসাইটি বিভিন্ন সেবামূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সোসাইটির অধীন বেশ কয়েকটি শিক্ষাও সেবা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। এই রাজ্যে প্রথম মুসলিম পরিচালিত ও গো-শালা ছিল এই সোসাইটির হাতে। এই কাজের জন্য সোসাইটি প্রশংসিত হয়েছিল বেশ কয়েকবার। সোসাইটির কাজে খুশি হয়ে রাজ্য সরকার তাদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করে এবং জমিও বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু এইসব শিক্ষাব্রতী ও বিদ্দজনদের গ্রেফতার নিয়ে মিডিয়ায় যেসব কারণগুলি লেখা হয়েছে সেসব যদি সত্যি হয় তাহলে দেশে প্রতিটি সংখ্যালঘু পরিচালিত শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আতিক আহমদের গ্রেফতার নিয়ে হি¨ি মিডিয়া লিখেছে সোসাইটির যে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেই সভার নোটিস জারি হয়নি সময় মতো। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আতিক সাহেবদের অনুগত সদস্যদের মাধ্যমেই। কয়েকজন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। এই সব অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ গ্রেফতার করে তিনজকে। যদিও পরদিন আদালত তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছে। তবে বড় প্রশ্ন উঠে গেল তাহলে কী বিজেপি সরকার এবার সংখ্যালঘু পরিচালিত শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলির উপর নজর দিয়েছে? তাদের দুর্বলতা কোথায় রয়েছে সেসব খোঁজ নিয়ে পরিচালকদের গ্রেফতার করে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে যে গেরুয়া রঙে রঙিন না হলে কপালে দুঃখ রয়েছে? রাজস্থানের নাম করা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যদি এ ধরনের আচরণ করা হয় তাহলে অন্যান্য স্বল্প পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলি রক্ষা পাবে না।
জামিনের পর আতিক আহমদ সাহেব জানান যে জোধপুরের বিজেপি সদস্য সমর্থকরা বরাবরই তাদের মদদ করে এসেছে। ভুল অভিযোগে কেন তাদের হয়রানি করার চেষ্টা হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। সেবার মনোভাব নিয়েই তারা কাজ করে যাচ্ছে সোসাইটির জন্মলগ্ন থেকেই। আগের কংগ্রেস সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইনরিটি চেয়ারের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি দেখে অশোক গেহলট সরকার ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ হাজারের বেশি ছাত্র পড়াশুনা করছে বিভিন্ন স্ট্রীমে। রয়েছেন বহু অমুসলিম অধ্যাপক। আতিক সাহেব জানালেন বর্তমানে ৫ শতাংশ অধ্যাপক অমুসলিম এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অমুসলিম রয়েছে ৪০ শতাংশ। তবুও কেন তাদের টার্গেট করা হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।