১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের আগ্রাসন,ফিলিস্তনিদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে জায়নবাদী ইসরাইল

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 55

পুবেরকলম ওয়েবডেস্কঃ ইসরাইলি সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ আভিভ কোচাভি দাবি করেছেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ২০০২ সালে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের জেনিনে যেভাবে হামলা চালিয়েছিল, এবার তারচেয়েও বেশি কার্যকরভাবে গাজা এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি শহর আক্রমণ করা হবে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদাকে দমন করার জন্য ২০০২ সালে পশ্চিম তীরের অন্য শহরের পাশাপাশি জেনিনের ওপর আগ্রাসন চালানোর ২০তম বার্ষিকীতে কোচাভি এ কথা বলেন। সে সময় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পরও ইন্তিফাদাকে থামাতে ব্যর্থ হয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। অনেকটা বাধ্য হয়ে ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন অবৈধ সেপারেশন ওয়াল নির্মাণের নির্দেশ দেন।

কোচাভি হুমকি দিয়েছেন, ২০০২ সালে জেনিনে যেমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, ঠিক যেমন ভাবে শহরের যোগাযোগ, পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, দুই দশক পর ২০২২ সালে গাজায় আবারও সে দৃশ্যের দেখা মিলতে পারে। তবে এবারের হামলা হবে আরও কার্যকর উপায়ে। তিনি দাবি করেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনি শহরগুলো দখল করা এবং সেগুলো পরিচালনায় তাদের দক্ষতা থেকে এটা প্রমাণিত যে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী বিশ্বের সর্বত্র পৌঁছাতে সক্ষম। গাজায় ইসরাইলের সর্বশেষ আক্রমণ ছিল ২০১৪ সালে। সে সময় ইসরাইলি বাহিনী ৫৫১ শিশুসহ ২,২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। তারপর থেকে বড় আকারে আক্রমণ না হলেও গাজা উপত্যকায় বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে ইহুদি সেনা। সর্বশেষ ২০২১ সালের মে মাসে ১১ দিনব্যাপী ইসরাইলি হামলায় ২৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

আরও পড়ুন: ইসরাইল ম্যাচের লভ্যাংশ ফিলিস্তিনিদের দেবে নরওয়ে

 

আরও পড়ুন: Palestinians starve to death: গাজায় ত্রাণ আটকে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ইসরাইল

 

আরও পড়ুন: ৬ ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, জেলমুক্তির অপেক্ষায় ৬০০ ফিলিস্তিনি

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের আগ্রাসন,ফিলিস্তনিদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে জায়নবাদী ইসরাইল

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবেরকলম ওয়েবডেস্কঃ ইসরাইলি সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ আভিভ কোচাভি দাবি করেছেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ২০০২ সালে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের জেনিনে যেভাবে হামলা চালিয়েছিল, এবার তারচেয়েও বেশি কার্যকরভাবে গাজা এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি শহর আক্রমণ করা হবে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদাকে দমন করার জন্য ২০০২ সালে পশ্চিম তীরের অন্য শহরের পাশাপাশি জেনিনের ওপর আগ্রাসন চালানোর ২০তম বার্ষিকীতে কোচাভি এ কথা বলেন। সে সময় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পরও ইন্তিফাদাকে থামাতে ব্যর্থ হয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। অনেকটা বাধ্য হয়ে ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন অবৈধ সেপারেশন ওয়াল নির্মাণের নির্দেশ দেন।

কোচাভি হুমকি দিয়েছেন, ২০০২ সালে জেনিনে যেমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, ঠিক যেমন ভাবে শহরের যোগাযোগ, পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, দুই দশক পর ২০২২ সালে গাজায় আবারও সে দৃশ্যের দেখা মিলতে পারে। তবে এবারের হামলা হবে আরও কার্যকর উপায়ে। তিনি দাবি করেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনি শহরগুলো দখল করা এবং সেগুলো পরিচালনায় তাদের দক্ষতা থেকে এটা প্রমাণিত যে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী বিশ্বের সর্বত্র পৌঁছাতে সক্ষম। গাজায় ইসরাইলের সর্বশেষ আক্রমণ ছিল ২০১৪ সালে। সে সময় ইসরাইলি বাহিনী ৫৫১ শিশুসহ ২,২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। তারপর থেকে বড় আকারে আক্রমণ না হলেও গাজা উপত্যকায় বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে ইহুদি সেনা। সর্বশেষ ২০২১ সালের মে মাসে ১১ দিনব্যাপী ইসরাইলি হামলায় ২৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

আরও পড়ুন: ইসরাইল ম্যাচের লভ্যাংশ ফিলিস্তিনিদের দেবে নরওয়ে

 

আরও পড়ুন: Palestinians starve to death: গাজায় ত্রাণ আটকে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ইসরাইল

 

আরও পড়ুন: ৬ ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, জেলমুক্তির অপেক্ষায় ৬০০ ফিলিস্তিনি