১৬ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবছর রেকর্ড ইলিশ আহরণ কাকদ্বীপ,নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 19

সামিম আহমেদ, কাকদ্বীপ: এবার রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ পড়তে শুরু হয়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। গত দুই দিনে প্রায় এক হাজার টনের বেশি  ইলিশ ধরা পড়েছে। এই মুহূর্তে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথর প্রতিমার বিভিন্ন ঘাটগুলিতে চরম ব্যস্ততা। প্রতিটা ট্রলার সমুদ্র থেকে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ক্যারেট করে ইলিশ মাছ নিয়ে আসছে। মৎস্যজীবী ইউনিয়ন গুলির তরফে জানানো হয়েছে গত ৪ বছর পর এত পরিমাণ ইলিশের দেখা মিলেছে। দীর্ঘদিন পরে মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফুটেছে। রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ মাছ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিটি ট্রলার প্রায় ৪০ টন করে মাছ পাচ্ছে। বাজারে যা চাহিদা রয়েছে সেই চাহিদা মত পর্যাপ্ত ইলিশের যোগান দেওয়া সম্ভব হবে। যা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

মৎস্যজীবী খলিল শেখ জানান, ‘এ বছর সবে ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন ২০, ৩০, ৪০ ক্যারেট করে ইলিশ পাওয়া হচ্ছে। গত দুবছরে ভালো ইলিশ পাওয়া যায়নি। গত দু’বছর ইলিশ না হওয়ার ফলে ট্রলার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে ভিন রাজ্যে কাজে যেতে হয়েছিল। এবছর ইলিশ সহ অন্যান্য মাছের বাজার খুব ভালো। আমরা খুব খুশি।’

মাছ ভালো দেখা দেওয়ার ফলে মাছের দামও মধ্যবিত্তের নাগালে চলে আসবে বলে জানালেন সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র। তিনি জানান, ‘গত ৪ বছর ধরে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছিল। এ বছর একমাস ১০ দিনে যে পরিমাণ ইলিশ উঠেছে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। প্রতিটি ট্রলার প্রতিদিন ৪০ টন করে মাছ পাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে হাজার টন করে মাছ আসছে। ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে।’

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবছর রেকর্ড ইলিশ আহরণ কাকদ্বীপ,নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জে

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

সামিম আহমেদ, কাকদ্বীপ: এবার রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ পড়তে শুরু হয়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। গত দুই দিনে প্রায় এক হাজার টনের বেশি  ইলিশ ধরা পড়েছে। এই মুহূর্তে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথর প্রতিমার বিভিন্ন ঘাটগুলিতে চরম ব্যস্ততা। প্রতিটা ট্রলার সমুদ্র থেকে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ক্যারেট করে ইলিশ মাছ নিয়ে আসছে। মৎস্যজীবী ইউনিয়ন গুলির তরফে জানানো হয়েছে গত ৪ বছর পর এত পরিমাণ ইলিশের দেখা মিলেছে। দীর্ঘদিন পরে মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফুটেছে। রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ মাছ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিটি ট্রলার প্রায় ৪০ টন করে মাছ পাচ্ছে। বাজারে যা চাহিদা রয়েছে সেই চাহিদা মত পর্যাপ্ত ইলিশের যোগান দেওয়া সম্ভব হবে। যা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

মৎস্যজীবী খলিল শেখ জানান, ‘এ বছর সবে ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন ২০, ৩০, ৪০ ক্যারেট করে ইলিশ পাওয়া হচ্ছে। গত দুবছরে ভালো ইলিশ পাওয়া যায়নি। গত দু’বছর ইলিশ না হওয়ার ফলে ট্রলার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে ভিন রাজ্যে কাজে যেতে হয়েছিল। এবছর ইলিশ সহ অন্যান্য মাছের বাজার খুব ভালো। আমরা খুব খুশি।’

মাছ ভালো দেখা দেওয়ার ফলে মাছের দামও মধ্যবিত্তের নাগালে চলে আসবে বলে জানালেন সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র। তিনি জানান, ‘গত ৪ বছর ধরে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছিল। এ বছর একমাস ১০ দিনে যে পরিমাণ ইলিশ উঠেছে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। প্রতিটি ট্রলার প্রতিদিন ৪০ টন করে মাছ পাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে হাজার টন করে মাছ আসছে। ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে।’