০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড তাপমাত্রা দক্ষিণ দিনাজপুরে, সমস্যায় কৃষিজীবী মানুষেরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার
  • / 55

নাজমুল সর্দার, দক্ষিণ দিনাজপুর : চাঁদি ফাটা রোদ, সঙ্গে প্রবল গরম হাওয়া। কিন্তু বেশ অনেকদিন ধরেই দেখা নেই বৃষ্টির। আর বৃষ্টি না হওয়ায় চাষের জমিও পুরো ফেটে গিয়েছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের কৃষিজীবি মানুষজন।

প্রবল তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে বাংলাজুড়ে। বেলা বাড়লেই লু বইছে। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে জেলাতে। আবহাওয়ার এমন চরম পরিস্থিতি দেখে মাথায় হাত পড়েছে জেলার চাষিদের। বিশেষ করে জলের স্তর সব চেয়ে নিম্নমুখী তপন এলাকার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিরা। তাপপ্রবাহের তেজ আরও বাড়লে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে চাষিদের ক্ষতির পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে প্রভূত ক্ষতি হবে ফসলের। যদিও এই উত্তাপ থেকে চাষের জমি ও ফসল বাঁচাতে এবং এই গরমে চাষিদের চাষবাষের কিছু সু পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি দফতর।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

রেকর্ড তাপমাত্রা দক্ষিণ দিনাজপুরে, সমস্যায় কৃষিজীবী মানুষেরা

আরও পড়ুন: ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা

কৃষি দফতরের মতে জেলায় বোরো ধান বর্তমানে বেশির ভাগ কৃষকরা নানান সেচের উপর নির্ভর করে চাষ করে থাকে। তাই বিশেষ অসুবিধে তাদের হবার কথা নয়। তবে পাট ও সবজি চাষের ( যদিও সবজি টা দেখে থাকে হর্টি কালচার দফতর)ক্ষেত্রে এই তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে কৃষকদের যদি না অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হয়। তবে সে ক্ষেত্রে জেলা কৃষি দফতর বিশেষ করে তপন, কুমারগঞ্জ এলাকার কৃষকদের পাট ও বোরো ধান চাষের ক্ষেত্রে কিছু সু পরামর্শ মত চলার নির্দেশ দিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক প্রনব কুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন ।

আরও পড়ুন: টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

এদিকে বালুরঘাট ব্লক এলাকার একটা বড় অংশের মানুষ মূলত মরশুমি সবজি সহ অন্যান্য চাষাবাদ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এবার বাধ সাধল প্রকৃতি। চড়া রোদ, সঙ্গে তীব্র গরম। ফলে জলের অভাবে ফসল মাঠেই শুকোচ্ছে। ঋণ নিয়ে, ধার করে চাষ করা ঝিঙ্গে, করলা, লাউ, শশা সহ অন্যান্য মরশুমি শাক সবজি বিক্রি করে সেই ধার শোধের আশা এখন বিশবাঁও জলে বলে তাদের আশংকা। যদি না অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রেকর্ড তাপমাত্রা দক্ষিণ দিনাজপুরে, সমস্যায় কৃষিজীবী মানুষেরা

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার

নাজমুল সর্দার, দক্ষিণ দিনাজপুর : চাঁদি ফাটা রোদ, সঙ্গে প্রবল গরম হাওয়া। কিন্তু বেশ অনেকদিন ধরেই দেখা নেই বৃষ্টির। আর বৃষ্টি না হওয়ায় চাষের জমিও পুরো ফেটে গিয়েছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের কৃষিজীবি মানুষজন।

প্রবল তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে বাংলাজুড়ে। বেলা বাড়লেই লু বইছে। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে জেলাতে। আবহাওয়ার এমন চরম পরিস্থিতি দেখে মাথায় হাত পড়েছে জেলার চাষিদের। বিশেষ করে জলের স্তর সব চেয়ে নিম্নমুখী তপন এলাকার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিরা। তাপপ্রবাহের তেজ আরও বাড়লে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে চাষিদের ক্ষতির পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে প্রভূত ক্ষতি হবে ফসলের। যদিও এই উত্তাপ থেকে চাষের জমি ও ফসল বাঁচাতে এবং এই গরমে চাষিদের চাষবাষের কিছু সু পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি দফতর।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

রেকর্ড তাপমাত্রা দক্ষিণ দিনাজপুরে, সমস্যায় কৃষিজীবী মানুষেরা

আরও পড়ুন: ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা

কৃষি দফতরের মতে জেলায় বোরো ধান বর্তমানে বেশির ভাগ কৃষকরা নানান সেচের উপর নির্ভর করে চাষ করে থাকে। তাই বিশেষ অসুবিধে তাদের হবার কথা নয়। তবে পাট ও সবজি চাষের ( যদিও সবজি টা দেখে থাকে হর্টি কালচার দফতর)ক্ষেত্রে এই তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে কৃষকদের যদি না অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হয়। তবে সে ক্ষেত্রে জেলা কৃষি দফতর বিশেষ করে তপন, কুমারগঞ্জ এলাকার কৃষকদের পাট ও বোরো ধান চাষের ক্ষেত্রে কিছু সু পরামর্শ মত চলার নির্দেশ দিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক প্রনব কুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন ।

আরও পড়ুন: টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

এদিকে বালুরঘাট ব্লক এলাকার একটা বড় অংশের মানুষ মূলত মরশুমি সবজি সহ অন্যান্য চাষাবাদ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এবার বাধ সাধল প্রকৃতি। চড়া রোদ, সঙ্গে তীব্র গরম। ফলে জলের অভাবে ফসল মাঠেই শুকোচ্ছে। ঋণ নিয়ে, ধার করে চাষ করা ঝিঙ্গে, করলা, লাউ, শশা সহ অন্যান্য মরশুমি শাক সবজি বিক্রি করে সেই ধার শোধের আশা এখন বিশবাঁও জলে বলে তাদের আশংকা। যদি না অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হয়।