লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়ার
আল-আমিন মিশনের সৌজন্যে উচ্চ মাধ্যমিকে সম্ভাব্য কুড়ির মধ্যে কুঁড়েঘরের কন্যা রিফা সুলতানা

- আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 320
ইনামুল হক, বসিরহাট: এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৮০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কুঁড়ে ঘরের কন্যা রিফা সুলতানা। সম্ভাব্য মেধা তালিকায় ১৮শ স্থান অধিকার করেছে অভাবী পরিবারের মেধাবী পড়ুয়া রিফা। তার বিষয় ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর বাংলা ৯৮, ইংরেজি ৯৫, কেমিস্ট্রি ৯৪, ম্যাথ ৯৫, ফিজিক্স ৯৪, বায়োলজি ৯৮
রিফার বাবা মোহাম্মদ সাবির আলি সামান্য কৃষক। অবসরে বীমা কোম্পানির এজেন্টের কাজ করেন। মা সাবিনা ইয়াসমিন ঘরের কাজ সামলানোর পাশাপাশি চাষের কাজে বাবাকে সহযোগিতা করেন। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা থানার হিসাবি গ্রামের এক চিলতে টালির চালের তলায় তিন কন্যা ও পরিবারের অন্যদের নিয়ে কষ্টের সঙ্গে জীবনযাপন করেন সাবির আলি। সমাজসেবার সাথে যুক্ত থেকেও নিজের পরিবারের অভাব দূর করতে পারেননি রিফার বাবা। তবে বড় মেয়ে রিফা সুলতানাকে তার মেধার জোরে আল আমিন মিশনে ভর্তি করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
মিশনের তত্ত্বাবধানে বর্ধমানের একটি ক্যাম্পাস থেকে এবছর উচ্চ মধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল রিফা। মেয়ের এই অসামান্য সাফল্যে যার পর নাই খুশি রিফার পরিবার। তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে আলামিন মিশনকে। সাবির আলীর কথায়, আল আমিন মিশন না থাকলে আমার মত অভাবী পিতার এমন একটি মেধাবী কন্যা এতদূর পৌঁছতে পারতো না। বিশেষ করে আল-আমিন মিশনের তত্ত্বাবধানে ও আর্থিক সহযোগিতায় পরিশ্রমী রিফার এই সাফল্যে আমি খুশি। আগামী দিনে মেয়ে একজন ভালো চিকিৎসক হোক এই স্বপ্ন।
তবে একজন অভাবী পরিবারের তিন কন্যার পিতা হিসেবে আমি স্থানীয় বিধায়ক অধিকার রহমান ও রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যদি তারা আমাদের পাশে দাড়ার তাহলে লড়াইটা আরো সহজ হয়ে যায়। তার লক্ষ্যের কথা জানানোর পাশাপাশি রিফা সুলতানা আগামী নিটের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও জানালো। রিফা জানায় , মিশনের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতা ছাড়াও নিজের মতো করে কখনো দিনে চার পাঁচ ঘন্টা, কখনো ১০-১২ ঘন্টা, যখন যেভাবে সময় পেয়েছি , পড়েছি। একজন চিকিৎসক হয়ে নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সমাজকে কিছু দিতে চাই।