০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইপারসনিক মিসাইলবাহী রণতরী মোতায়েন রাশিয়ার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 82

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরে হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলবাহী ফ্রিগেট (রণতরী)  মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দোনবাসে যখন যুদ্ধ তীব্র  হচ্ছে তখন নিজেদের সামরিক ক্ষমতার প্রদর্শনে এই যুদ্ধজাহাজ  মোতায়েন করল মস্কো।  অ্যাডমিরাল গোর্শকভ নামের ওই  ফ্রিগেটের যাত্রা শুরুর আগে অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো কনফারেন্সের  মাধ্যমে যুক্ত হন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

এছাড়া এতে ছিলেন  রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু এবং ফ্রিগেটের কম্যান্ডার ইগোর  ক্রোখমাল। পুতিন বলেন,  ‘এই যুদ্ধ জাহাজে অত্যাধুনিক  হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেম জিরকন রয়েছে। বিশ্বে এর কোনও  প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। মাদারল্যান্ডের জন্য সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার  জন্য এই জাহাজের ক্রুদের সফলতা কামনা করি আমি।’ শইগু বলেন, এই ফ্রিগেট আটলান্টিক থেকে ভারত মহাসাগরে চলাচল  করবে।

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

এছাড়া ভূমধ্যসাগরেও যাত্রা করবে এটি। ভূমি বা সাগরে একদম যথাযথ স্থানে শক্তিশালী হামলার ক্ষমতা রয়েছে এই  যুদ্ধজাহাজের। বিশ্বের যে কোনও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ  করতে সক্ষম এই হাইপারসনিক মিসাইল। এর রেঞ্জ এক হাজার  কিলোমিটারেরও বেশি। হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের ৫ গুণেরও বেশি গতিতে যেতে পারে।

 

তবে রাশিয়ার তৈরি মিসাইলের গতি শব্দের চেয়ে ৯ গুণ বেশি।  হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বের যে কোনও দেশের থেকে অনেক  এগিয়ে গেছে রাশিয়া। আমেরিকার এমন প্রযুক্তি অনেকটাই প্রাথমিক  ধাপে রয়ে গেছে। রাশিয়া গত বছর যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন থেকে  জিরকন পরীক্ষা করেছে। ভবিষ্যতের বিশ্বের সবথেকে বড় সামরিক সুপারপাওয়ার হতে হলে আমেরিকাকে টেক্কা দিতে হবে রাশিয়াকে।   রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শইগু বলেন, এই মিশনের মূল লক্ষ্য হবে রাশিয়ার প্রতি হুমকি মোকাবিলা এবং বন্ধু দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, হাইপারসনিক অস্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য তার গতি নয়। নামের কারণে অনেকেই মনে করেন এর গতিই হয়তো সবকিছু। আসলে হাইপারসনিক মিসাইল যেভাবে পরিচালিত হয় সেটাই এর মূল শক্তি। এটি দিয়ে টার্গেটে শতভাগ সফলতার সঙ্গে হামলা চালানো সম্ভব।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাইপারসনিক মিসাইলবাহী রণতরী মোতায়েন রাশিয়ার

আপডেট : ৫ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরে হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলবাহী ফ্রিগেট (রণতরী)  মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দোনবাসে যখন যুদ্ধ তীব্র  হচ্ছে তখন নিজেদের সামরিক ক্ষমতার প্রদর্শনে এই যুদ্ধজাহাজ  মোতায়েন করল মস্কো।  অ্যাডমিরাল গোর্শকভ নামের ওই  ফ্রিগেটের যাত্রা শুরুর আগে অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো কনফারেন্সের  মাধ্যমে যুক্ত হন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

এছাড়া এতে ছিলেন  রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু এবং ফ্রিগেটের কম্যান্ডার ইগোর  ক্রোখমাল। পুতিন বলেন,  ‘এই যুদ্ধ জাহাজে অত্যাধুনিক  হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেম জিরকন রয়েছে। বিশ্বে এর কোনও  প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। মাদারল্যান্ডের জন্য সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার  জন্য এই জাহাজের ক্রুদের সফলতা কামনা করি আমি।’ শইগু বলেন, এই ফ্রিগেট আটলান্টিক থেকে ভারত মহাসাগরে চলাচল  করবে।

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

এছাড়া ভূমধ্যসাগরেও যাত্রা করবে এটি। ভূমি বা সাগরে একদম যথাযথ স্থানে শক্তিশালী হামলার ক্ষমতা রয়েছে এই  যুদ্ধজাহাজের। বিশ্বের যে কোনও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ  করতে সক্ষম এই হাইপারসনিক মিসাইল। এর রেঞ্জ এক হাজার  কিলোমিটারেরও বেশি। হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের ৫ গুণেরও বেশি গতিতে যেতে পারে।

 

তবে রাশিয়ার তৈরি মিসাইলের গতি শব্দের চেয়ে ৯ গুণ বেশি।  হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বের যে কোনও দেশের থেকে অনেক  এগিয়ে গেছে রাশিয়া। আমেরিকার এমন প্রযুক্তি অনেকটাই প্রাথমিক  ধাপে রয়ে গেছে। রাশিয়া গত বছর যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন থেকে  জিরকন পরীক্ষা করেছে। ভবিষ্যতের বিশ্বের সবথেকে বড় সামরিক সুপারপাওয়ার হতে হলে আমেরিকাকে টেক্কা দিতে হবে রাশিয়াকে।   রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শইগু বলেন, এই মিশনের মূল লক্ষ্য হবে রাশিয়ার প্রতি হুমকি মোকাবিলা এবং বন্ধু দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, হাইপারসনিক অস্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য তার গতি নয়। নামের কারণে অনেকেই মনে করেন এর গতিই হয়তো সবকিছু। আসলে হাইপারসনিক মিসাইল যেভাবে পরিচালিত হয় সেটাই এর মূল শক্তি। এটি দিয়ে টার্গেটে শতভাগ সফলতার সঙ্গে হামলা চালানো সম্ভব।