০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোনেৎস্ক দখলে ঝাঁপাল রাশিয়া

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, রবিবার
  • / 19

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কিছুদিন আগেই পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলিকে মস্কো বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারাই এই যুদ্ধের ড্রাইভিং সিটে। এবার দোনবাসের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দোনেৎস্কের দখল নিতে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ সেনা। এর জেরে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। টেলিভিশন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বৃহত্তর দোনবাস অঞ্চলের যেসব বাসিন্দা এখনও যুদ্ধের এলাকায় রয়েছেন, তাদের সরে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, যত লোক দোনেৎস্ক থেকে বেরোবে, রুশ সেনারা হত্যার জন্য তত কম লোক পাবে। জেলেনস্কি বলেন, ‘অনেকেই সরে যেতে রাজি হচ্ছেন না। কিন্তু এটি করা দরকার। আপনার যদি সুযোগ থাকে, তাহলে যারা দোনবাসে যুদ্ধের এলাকায় রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলুন। দয়া করে তাদের বোঝান যে, সরে যাওয়া জরুরি।’ সেখান থেকে সরে যাওয়া বাসিন্দাদের প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিন পৃথকভাবে ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেছেন, শীত আসার আগেই ওই অঞ্চলের লোকজন সরানোর কাজ শেষ হওয়া প্রয়োজন। কারণ সেখানকার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ লাইন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে ইউক্রেনে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট মনে করছেন, জ্বালানির ঘাটতির জন্য নয়, তীব্র লড়াইয়ের আশঙ্কাতেই হয়তো এই নির্দেশ দিয়েছে কিয়েভ প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না জেলেনস্কি কেন এই নির্দেশ দিলেন। আমি যা জানি তা হলে, দোনেৎস্কে ভয়াবহ লড়াই চলছে। রুশরা কয়েক সপ্তাহ আগে লুহানস্কের দখল নিয়েছিল। আমি দোনেৎস্কে আরও রক্ষক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কা করছি।’

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

 

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

 

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দোনেৎস্ক দখলে ঝাঁপাল রাশিয়া

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কিছুদিন আগেই পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলিকে মস্কো বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারাই এই যুদ্ধের ড্রাইভিং সিটে। এবার দোনবাসের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দোনেৎস্কের দখল নিতে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ সেনা। এর জেরে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। টেলিভিশন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বৃহত্তর দোনবাস অঞ্চলের যেসব বাসিন্দা এখনও যুদ্ধের এলাকায় রয়েছেন, তাদের সরে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, যত লোক দোনেৎস্ক থেকে বেরোবে, রুশ সেনারা হত্যার জন্য তত কম লোক পাবে। জেলেনস্কি বলেন, ‘অনেকেই সরে যেতে রাজি হচ্ছেন না। কিন্তু এটি করা দরকার। আপনার যদি সুযোগ থাকে, তাহলে যারা দোনবাসে যুদ্ধের এলাকায় রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলুন। দয়া করে তাদের বোঝান যে, সরে যাওয়া জরুরি।’ সেখান থেকে সরে যাওয়া বাসিন্দাদের প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিন পৃথকভাবে ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেছেন, শীত আসার আগেই ওই অঞ্চলের লোকজন সরানোর কাজ শেষ হওয়া প্রয়োজন। কারণ সেখানকার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ লাইন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে ইউক্রেনে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট মনে করছেন, জ্বালানির ঘাটতির জন্য নয়, তীব্র লড়াইয়ের আশঙ্কাতেই হয়তো এই নির্দেশ দিয়েছে কিয়েভ প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না জেলেনস্কি কেন এই নির্দেশ দিলেন। আমি যা জানি তা হলে, দোনেৎস্কে ভয়াবহ লড়াই চলছে। রুশরা কয়েক সপ্তাহ আগে লুহানস্কের দখল নিয়েছিল। আমি দোনেৎস্কে আরও রক্ষক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কা করছি।’

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

 

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

 

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার