০৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 112

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আফগানিস্তানের তালিবানের থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা অবশেষে তুলে নিয়েছে রাশিয়া। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তালিবানকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল রাশিয়া। এই পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আগস্টে দেশটির ক্ষমতায় দখল করে তালিবান। সম্প্রতি কোনও দেশই এই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে রাশিয়া ধীরে ধীরে তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর বলেছিলেন, তালিবান এখন সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের মিত্র।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

২০০৩ সালে তালিবানকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রাশিয়া। এতদিন পর্যন্ত ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখা রাশিয়ার আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ ছিল। কিন্তু আর সেই প্রতিবন্ধকতা না থাকায় এ বার কাবুলের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে মস্কো। আশির দশকে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপ এবং গৃহযুদ্ধের তিক্ত ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত রাশিয়া। ১৯৮৯ সালে সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে কাবুলের সঙ্গে দূরত্বই বজায় রেখেছে মস্কো।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র ধ্বংসের পরিকল্পনা নাসার!

রাশিয়ার পার্লামেন্টে পাস হওয়া নতুন আইন অনুযায়ী কোনও সংগঠন ‘সন্ত্রাসবাদী’ কি না, তা নির্ধারণের ভার থাকবে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের হাতে। ২০২৪ সালের মে মাসে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক এবং বিচার মন্ত্রক তালিবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নিয়েছিল। চলতি মাসের গোড়ায় প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় সুপ্রিম কোর্টে সেই প্রস্তাব জমা দেয়। সেই প্রস্তাব মেনে বৃহস্পতিবার রুশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এই তকমা উঠিয়ে নেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবেই তা কার্যকর হয়।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের জাহাজে আক্রমণ রাশিয়ার

নতুন আইন কার্যকর হওয়ার ফলে সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠী হায়াত তাহবির আল-শাম (এইচটিএস)-এর উপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আফগানিস্তানের তালিবানের থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা অবশেষে তুলে নিয়েছে রাশিয়া। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তালিবানকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল রাশিয়া। এই পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আগস্টে দেশটির ক্ষমতায় দখল করে তালিবান। সম্প্রতি কোনও দেশই এই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে রাশিয়া ধীরে ধীরে তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর বলেছিলেন, তালিবান এখন সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের মিত্র।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

২০০৩ সালে তালিবানকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রাশিয়া। এতদিন পর্যন্ত ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখা রাশিয়ার আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ ছিল। কিন্তু আর সেই প্রতিবন্ধকতা না থাকায় এ বার কাবুলের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে মস্কো। আশির দশকে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপ এবং গৃহযুদ্ধের তিক্ত ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত রাশিয়া। ১৯৮৯ সালে সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে কাবুলের সঙ্গে দূরত্বই বজায় রেখেছে মস্কো।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র ধ্বংসের পরিকল্পনা নাসার!

রাশিয়ার পার্লামেন্টে পাস হওয়া নতুন আইন অনুযায়ী কোনও সংগঠন ‘সন্ত্রাসবাদী’ কি না, তা নির্ধারণের ভার থাকবে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের হাতে। ২০২৪ সালের মে মাসে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক এবং বিচার মন্ত্রক তালিবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নিয়েছিল। চলতি মাসের গোড়ায় প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় সুপ্রিম কোর্টে সেই প্রস্তাব জমা দেয়। সেই প্রস্তাব মেনে বৃহস্পতিবার রুশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এই তকমা উঠিয়ে নেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবেই তা কার্যকর হয়।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের জাহাজে আক্রমণ রাশিয়ার

নতুন আইন কার্যকর হওয়ার ফলে সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠী হায়াত তাহবির আল-শাম (এইচটিএস)-এর উপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।