০৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে, জানাল রাশিয়া

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 31

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বার বার দু-পক্ষের মধ্যে ভেস্তে গেছে আলোচনা। এবার আলোচনা অনেকটাই সদর্থক হয়েছে বলে জানাল রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার আলোচক ভ্লাদিমির মেদিনস্কি শুক্রবার জানিয়েছেন, মস্কো এবং কিয়েভ ইউক্রেনের অসামরিকীকরণ ইস্যুতে একমত হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অর্ধেক পথ’ পার হয়েছে। আর ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা এবং ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা ত্যাগ করার বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সবচেয়ে কাছাকাছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির জন্য রাশিয়ার সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো কী তা দুটি ভাগে তুলে ধরেছেন। প্রথমভাগের দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ইউক্রেনের এ স্বীকারোক্তি যে তারা নিরপেক্ষ থাকবে এবং ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করবে না।  তবে দ্বিতীয় ভাগে থাকা দাবিগুলো মানা ইউক্রেনের জন্য তুলনামূলকভাবে অনেক কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী অঞ্চলের স্বাধীনতা স্বীকার করা ও রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে বৈধ বলে মেনে নেওয়ার মতো বিষয়।

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতিমধ্যেই ন্যাটোতে না বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

তবে ইউক্রেনীয় পক্ষের প্রধান আলোচক মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, রাশিয়া এ বিবৃতির মাধ্যমে অন্যান্য কিছুর পাশাপাশি ‘মিডিয়ায় উত্তেজনা উসকে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে। ট্যুইটারে তিনি বলেন, ‘আলোচনায় ইউক্রেনের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের দাবি যুদ্ধবিরতি, সেনাপ্রত্যাহার এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সুনির্দিষ্ট ফর্মূলা।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযানে ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পরেই আগ্রাসী দৃষ্টিতে আঘাত হানা শুরু হয়ে। যুদ্ধ থামাতে বার দু-পক্ষের মধ্যে বৈঠক ভেস্তে যায়। প্রথম বৈঠক হয় বেলারুশে। ফলপ্রসূ হয়নি। এর পর থেকে বার বার বৈঠক সদর্থক না হওয়ারই কথা সামনে এসেছে। আর এই যুদ্ধে সেনা সহ বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে, জানাল রাশিয়া

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বার বার দু-পক্ষের মধ্যে ভেস্তে গেছে আলোচনা। এবার আলোচনা অনেকটাই সদর্থক হয়েছে বলে জানাল রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার আলোচক ভ্লাদিমির মেদিনস্কি শুক্রবার জানিয়েছেন, মস্কো এবং কিয়েভ ইউক্রেনের অসামরিকীকরণ ইস্যুতে একমত হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অর্ধেক পথ’ পার হয়েছে। আর ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা এবং ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা ত্যাগ করার বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সবচেয়ে কাছাকাছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির জন্য রাশিয়ার সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো কী তা দুটি ভাগে তুলে ধরেছেন। প্রথমভাগের দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ইউক্রেনের এ স্বীকারোক্তি যে তারা নিরপেক্ষ থাকবে এবং ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করবে না।  তবে দ্বিতীয় ভাগে থাকা দাবিগুলো মানা ইউক্রেনের জন্য তুলনামূলকভাবে অনেক কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী অঞ্চলের স্বাধীনতা স্বীকার করা ও রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে বৈধ বলে মেনে নেওয়ার মতো বিষয়।

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতিমধ্যেই ন্যাটোতে না বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

তবে ইউক্রেনীয় পক্ষের প্রধান আলোচক মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, রাশিয়া এ বিবৃতির মাধ্যমে অন্যান্য কিছুর পাশাপাশি ‘মিডিয়ায় উত্তেজনা উসকে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে। ট্যুইটারে তিনি বলেন, ‘আলোচনায় ইউক্রেনের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের দাবি যুদ্ধবিরতি, সেনাপ্রত্যাহার এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সুনির্দিষ্ট ফর্মূলা।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযানে ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পরেই আগ্রাসী দৃষ্টিতে আঘাত হানা শুরু হয়ে। যুদ্ধ থামাতে বার দু-পক্ষের মধ্যে বৈঠক ভেস্তে যায়। প্রথম বৈঠক হয় বেলারুশে। ফলপ্রসূ হয়নি। এর পর থেকে বার বার বৈঠক সদর্থক না হওয়ারই কথা সামনে এসেছে। আর এই যুদ্ধে সেনা সহ বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।