০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শান্তিতে নোবেল পেলেন অ্যালিস বিলিয়াৎস্কি সহ রাশিয়া-ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 42

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: নরওয়ের নোবেল কমিটি ২০২২ সালের নোবেল শান্তি সম্মাননার নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের জেলবন্দি মানবাধিকার আন্দোলন কর্মী অ্যালিস বিলিয়াৎস্কি। অ্যালিসের সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন ‘রাশিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন মেমোরিয়াল’ এবং ‘ইউক্রেনিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ’-কে ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন ভারতের মুহাম্মদ জুবায়ের ও প্রতীক সিনহা। শুক্রবার নোবেল কমিটির তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এই খবর শুনে অনেকে বলেছেন বহু কষ্টে ‘বেল’ পেলেও ‘নোবেল’ আর এ যাত্রা পাওয়া হল না জুবায়েরের। চূড়ান্ত দাবিদারের তালিকাতেও জায়গা ছিল জুুবায়েরের। পদ্ধতিগতভাবে ভুয়ো খবর রুখে দেওয়া, ভুয়ো তথ্য পরিবেশন বন্ধে সচেষ্ট হওয়া এবং ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার পুরস্কার হিসাবে তাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

 

আরও পড়ুন: পবিত্র কুরআন অবমাননায় অভিযুক্ত ইউক্রেনীয় সেনা

পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে নোবেল কমিটির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই তিন পুরস্কার প্রাপক বিশ্বের দরবারে তাঁদের দেশের সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন করার অধিকারকে বারবার সমর্থন করেছেন এই তিন প্রাপক। সেই সঙ্গে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করতেও লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাঁরা। যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা যথাযথভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেই বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বছরে পড়ল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শান্তি ফিরবে নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাসে সদ্য নোবেলজয়ী দুই মানবাধিকার সংস্থার ভূমিকা একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে। নরওয়ে নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, এ বারের নোবেলজয়ীরা নিজেদের দেশে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মাননা।

আরও পড়ুন: রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞার ফল ভালো হবে না: সউদি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শান্তিতে নোবেল পেলেন অ্যালিস বিলিয়াৎস্কি সহ রাশিয়া-ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা

আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: নরওয়ের নোবেল কমিটি ২০২২ সালের নোবেল শান্তি সম্মাননার নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের জেলবন্দি মানবাধিকার আন্দোলন কর্মী অ্যালিস বিলিয়াৎস্কি। অ্যালিসের সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন ‘রাশিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন মেমোরিয়াল’ এবং ‘ইউক্রেনিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ’-কে ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন ভারতের মুহাম্মদ জুবায়ের ও প্রতীক সিনহা। শুক্রবার নোবেল কমিটির তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এই খবর শুনে অনেকে বলেছেন বহু কষ্টে ‘বেল’ পেলেও ‘নোবেল’ আর এ যাত্রা পাওয়া হল না জুবায়েরের। চূড়ান্ত দাবিদারের তালিকাতেও জায়গা ছিল জুুবায়েরের। পদ্ধতিগতভাবে ভুয়ো খবর রুখে দেওয়া, ভুয়ো তথ্য পরিবেশন বন্ধে সচেষ্ট হওয়া এবং ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার পুরস্কার হিসাবে তাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

 

আরও পড়ুন: পবিত্র কুরআন অবমাননায় অভিযুক্ত ইউক্রেনীয় সেনা

পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে নোবেল কমিটির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই তিন পুরস্কার প্রাপক বিশ্বের দরবারে তাঁদের দেশের সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন করার অধিকারকে বারবার সমর্থন করেছেন এই তিন প্রাপক। সেই সঙ্গে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করতেও লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাঁরা। যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা যথাযথভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেই বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বছরে পড়ল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শান্তি ফিরবে নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাসে সদ্য নোবেলজয়ী দুই মানবাধিকার সংস্থার ভূমিকা একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে। নরওয়ে নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, এ বারের নোবেলজয়ীরা নিজেদের দেশে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মাননা।

আরও পড়ুন: রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞার ফল ভালো হবে না: সউদি