অযোধ্যায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক, মোদিকে নিশানা কংগ্রেসের
- আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 92
পুবের কলম, নয়াদিল্লি: অযোধ্যার রামমন্দিরে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশেষে মঙ্গলবার অযোধ্যার আকাশে সগর্বে উড়ল ‘ধর্মধ্বজ’। আর সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁদের বক্তব্যে কার্যতই বাজিয়ে দিলেন ‘হিন্দুরাষ্ট্রের মোহনবাঁশি’! বিবাহ পঞ্চমীর পুণ্য তিথিতে ধ্বজারোহণের মাধ্যমে রামলালার ধর্মীয় আবাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বিশেষ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অযোধ্যায় মোতায়েন হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। অন্তত ৬৯৭০ জন নিরাপত্তা আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে এটিএস, এনএসজি এবং সাইবার বিভাগের জন্য। পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে শুধু জনসাধারণ নয়, এসেছেন ৭ হাজার বিশিষ্ট অতিথি। এই পতাকাকে ‘ভারতের সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবনের’ প্রতীক বলেই উল্লেখ করলেন তিনি। মঙ্গলবার রাম মন্দিরে ধ্বজা উত্তোলনের পর ঠিক প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘যে যজ্ঞের আগুন ৫০০ বছর ধরে জ্বলছিল, তা আজ অবশেষে সম্পূর্ণ হল। আজ অযোধ্যা শহর ভারতের সাংস্কৃতিক চেতনার আরও একটি শীর্ষবিন্দুতে পরিণত হল। সারা ভারত, বিশ্ব হয়ে উঠল রামময়। রামলালার প্রতিটি ভক্তের জন্য এই সময় অসীম তৃপ্তির।’ অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করায় রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, ঐতিহাসিক স্থাপত্য সমাপ্তির অনুষ্ঠানে সরকার ধর্মীয় বিশ্বাসকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ভারতের কোনও রাষ্ট্রধর্ম নেই, তবুও প্রধানমন্ত্রী মন্দিরে পতাকা উত্তোলন করছেন। তিনি আরো প্রশ্ন তোলেন, তিনি কি মসজিদ, গুরুদ্বার বা গির্জায়ও পতাকা তুলবেন? আলভির দাবি, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে ধর্মীয় অনুভূতি উস্কে দিতেই এই উদ্যোগ। কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ বলেন, বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয় হলেও তার রাজনৈতিক ব্যবহার সমর্থনযোগ্য নয়। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস প্রধান অজয় রাই অভিযোগ করেন, পৃথক অনুষ্ঠান করে সরকার ধর্মের নামে ‘ব্যবসা’ করছে।

































