১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চন্দ্রচূড়কে প্রধান বিচারপতির বাংলো ছাড়াতে কেন্দ্রকে সুপ্রিম চিঠি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার
  • / 75

নয়াদিল্লি, ৬ জুলাই : সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে সরকারি আবাসন ছেড়ে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানালো সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন মানে বর্তমান প্রধান বিচারপতি গাভাই-ই এই কথা লিখেছেন কেন্দ্রকে। কারণ গাভাইয়ের কার্যকালের মেয়াদ ফুরোতে বেশিদিন নেই।

 

আরও পড়ুন: আইনি ব্যবস্থার মেরামত খুব দরকার: প্রধান বিচারপতি গাভাই

এবছরের ২৩ নভেম্বর তাঁর অবসরের দিন। তাই তিনি সরকারি আবাসনে কিছুদিন কাটাতে চান। গাভাইয়ের আগে যিনি মাস ছয়েকের জন্য প্রধান বিচারপতি ছিলেন সেই সঞ্জীব খান্না সরকারি আবাসনে আসতে চাননি। কারণ তিনি দিল্লিরই বাসিন্দা। তাই চন্দ্রচূড় অবসরের পর অনেক মাসই সরকারি আবাসনে কাটিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী,  প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি সরকারি আবাসন পাবেন। তবে ভাড়া দিতে হবে। সেই আবাসনও ঠিক হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজনীতি নিয়ে বিশেষ দৃষ্টিকোণ নেই: হবু প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই

 

আরও পড়ুন: ওয়াকফ মামলা নতুন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি

কিন্তু সমস্যা হল, চন্দ্রচূড় এর দুই পালিতা কন্যাই হলেন প্রতিবন্ধী। তাঁরা দুজনেই হুইলচেয়ারেই ঘরের মধ্যে যাতায়াত করেন। সেই কারণে চন্দ্রচূড় এর এমন আবাসন দরকার যেটা হবে প্রতিবন্ধী -বান্ধব। চন্দ্রচূড় এর জন্য যে বাংলো ঠিক করা হয়েছে সেটিকে প্রতিবন্ধী-বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে কিছু সংস্কার করা হচ্ছে। কাজ মাঝে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে আটকে গিয়েছিল। এখন প্রায় সম্পূর্ণ। চন্দ্রচূড় পরিবার সূত্রের খবর, তাঁরও সমস্ত মালপত্র প্যাকিং করে গোছানো হয়ে গিয়েছে।

 

অন্যদিকে বর্তমান প্রধান বিচারপতি গাভাই এর সমস্যা হল, তিনি মহারাষ্ট্রের এই অখ্যাত গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। দিল্লিতে তাঁর থাকার জায়গা নেই। অস্থায়ী ভাবে যে বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে তা ৫, কৃষ্ণমেনন মার্গের প্রধান বিচারপতির বাংলোর তুলনায় যৎসামান্য। ওদিকে তাঁর অবসরের দিন এগিয়ে আসছে। বড় জোর তিনি তিন মাস থাকতে পারবেন কৃষ্ণমেনন মার্গের বাংলোয়। সেই জন্যই তিনি চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চন্দ্রচূড়কে প্রধান বিচারপতির বাংলো ছাড়াতে কেন্দ্রকে সুপ্রিম চিঠি

আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার

নয়াদিল্লি, ৬ জুলাই : সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে সরকারি আবাসন ছেড়ে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানালো সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন মানে বর্তমান প্রধান বিচারপতি গাভাই-ই এই কথা লিখেছেন কেন্দ্রকে। কারণ গাভাইয়ের কার্যকালের মেয়াদ ফুরোতে বেশিদিন নেই।

 

আরও পড়ুন: আইনি ব্যবস্থার মেরামত খুব দরকার: প্রধান বিচারপতি গাভাই

এবছরের ২৩ নভেম্বর তাঁর অবসরের দিন। তাই তিনি সরকারি আবাসনে কিছুদিন কাটাতে চান। গাভাইয়ের আগে যিনি মাস ছয়েকের জন্য প্রধান বিচারপতি ছিলেন সেই সঞ্জীব খান্না সরকারি আবাসনে আসতে চাননি। কারণ তিনি দিল্লিরই বাসিন্দা। তাই চন্দ্রচূড় অবসরের পর অনেক মাসই সরকারি আবাসনে কাটিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী,  প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি সরকারি আবাসন পাবেন। তবে ভাড়া দিতে হবে। সেই আবাসনও ঠিক হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজনীতি নিয়ে বিশেষ দৃষ্টিকোণ নেই: হবু প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই

 

আরও পড়ুন: ওয়াকফ মামলা নতুন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি

কিন্তু সমস্যা হল, চন্দ্রচূড় এর দুই পালিতা কন্যাই হলেন প্রতিবন্ধী। তাঁরা দুজনেই হুইলচেয়ারেই ঘরের মধ্যে যাতায়াত করেন। সেই কারণে চন্দ্রচূড় এর এমন আবাসন দরকার যেটা হবে প্রতিবন্ধী -বান্ধব। চন্দ্রচূড় এর জন্য যে বাংলো ঠিক করা হয়েছে সেটিকে প্রতিবন্ধী-বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে কিছু সংস্কার করা হচ্ছে। কাজ মাঝে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে আটকে গিয়েছিল। এখন প্রায় সম্পূর্ণ। চন্দ্রচূড় পরিবার সূত্রের খবর, তাঁরও সমস্ত মালপত্র প্যাকিং করে গোছানো হয়ে গিয়েছে।

 

অন্যদিকে বর্তমান প্রধান বিচারপতি গাভাই এর সমস্যা হল, তিনি মহারাষ্ট্রের এই অখ্যাত গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। দিল্লিতে তাঁর থাকার জায়গা নেই। অস্থায়ী ভাবে যে বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে তা ৫, কৃষ্ণমেনন মার্গের প্রধান বিচারপতির বাংলোর তুলনায় যৎসামান্য। ওদিকে তাঁর অবসরের দিন এগিয়ে আসছে। বড় জোর তিনি তিন মাস থাকতে পারবেন কৃষ্ণমেনন মার্গের বাংলোয়। সেই জন্যই তিনি চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে।