০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যায় স্কুল খোলা থাকলেও,পড়ুয়া নেই মগরাহাটে

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 136

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,মগরাহাট : মিড ডে মিলের রাধুনী পরিবর্তন নিয়ে ধুন্দুমার কান্ড ঘটে গেল মগরাহাটে।মগরাহাট ২ নং ব্লকের অধীন উড়েলচাঁদপুর পঞ্চায়েতের আবাদ ঈশ্বরীপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১২-১৩ বছর ধরে নবোদয় স্বলম্বী আনন্দধারা নামে একটি গ্রুপ রান্না করে।১৯৫২ সালে তৈরি হওয়া এই স্কুলে শিশু শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা হয়।বর্তমানে এই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৬ জন।শিক্ষক দুজন।গত কয়েকমাস ধরে অভিভাবকরা জানতে পারে তাদের ছেলে মেয়েদের উপর মিড ডে মিলের দায়িত্ব প্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রান্নার দায়িত্বে থাকা দুই মহিলা খুব খারাপ আচরণ করছে।ছাত্র ছাত্রীদের খেতে দিয়ে তাদের উপর মারধর করা থেকে শুরু করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন পর্যন্ত করছে বলে অভিযোগ।

মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যায় স্কুল খোলা থাকলেও,পড়ুয়া নেই মগরাহাটে

আর তার পর এই ঘটনা সম্পর্কে স্কুলের ভি ই কমিটিতে আলোচনা করা হয়।অভিভাবকদের পক্ষ থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশ বর,পঞ্চায়েতের প্রধান রাকেশ মন্ডল,অবর স্কুল পরিদর্শক মগরাহাট মধ্যচক্রের জয়ন্তী হালদার,মগরাহাট ২ নং বিডিও তুহিন শ্রুভ্র মহান্তিকে লিখিত ভাবে গন সাক্ষর সহ জমা দেন।তার পরেও কিছু না হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে আসতে বারন করে।আর বিগত ১৫ দিন ধরে স্কুলে কোনো পড়ুয়া না আসায় মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিল সহ মাদ্রাসা পরিচালনা ও পঠন পাঠনে গাফিলতির অভিযোগ, বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের

মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যায় স্কুল খোলা থাকলেও,পড়ুয়া নেই মগরাহাটে

আরও পড়ুন: ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা হয়ে গেল মগরাহাটের যুগদিয়ায়

স্কুলের শিক্ষকেরা স্কুলে এসে পড়ুয়া না পেয়ে সরকারি সময়ের আগেই স্কুল থেকে চলে যায় বলে অভিযোগ।এব্যাপারে অভিভাবক অর্পিতা বাগ,অনুরাধা বর,বন্দনা মন্ডল সহ আরো কয়েকজন বলেন,আমাদের ছেলে মেয়েদের উপর রাধুনিরা খেতে দিয়ে মারধর করে,নিম্ন মানের খাবার রান্না করে,সরকারি মিড ডে মিলের রুটিন মেনে রান্না করে না।আমরা কিছু বললে আমাদের উপর মেজাজ দেয়।তাই আমরা চাই রাধুনিদের পরিবর্তন করতে হবে।না হলে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে দোবো না।ভিইসি কমিটির সদস্য সুন্দরী দলুই, মেগনাথ সিংহ বলেন,আমরা স্কুলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যা নিয়ে একাধিকবার মিটিং করেছি।ঐ রাধুনিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় আমরা চাই পরিবর্তন করা হোক ওদের।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গনেশ বর বলেন,রাধুনি পরিবর্তন সমস্যায় বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়া আসছে না। তাই এব্যাপারে আমরা চাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশ বর বলেন,বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়ারা আসছে না,মিড ডে মিল বন্ধ,রাধুনি নিয়ে সমস্যার কারনে।আমি চাই বিডিওর উদ্যোগে প্রশাসনিক ভাবে সমস্যার সমাধান করা হোক।এব্যাপারে উড়েলচাঁদপুর পঞ্চায়েত প্রধান রাকেশ মন্ডল বলেন,আমি বিডিও সাহেবের নির্দেশ মেনে গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনায় বসি সমাধানের উদ্দেশে,কিন্তু সেখানে উক্ত রাধুনি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেউ আসেননি।গ্রামবাসীরা চায় রাঁধুনির পরিবর্তন। আমি চাই এই সমস্যার সমাধান।আমি এব্যাপারে বিডিও সাহেবকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছি।এবার উনি দেখুক বিষয়টি।

এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকার পরেও সুকৌশলে এই সমস্যার সমাধান না করে এড়িয়ে গেলেন মগরাহাট মধ্য চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক জয়ন্তী হালদার। তিনি এ বিষয়ে সুকৌশলে এড়িয়ে যান কেন কিছু জানেন না বলে অথচ অভিভাবকদের তরফে গণস্বাক্ষর সহ চিঠি দেওয়া হয় তার দপ্তরে।অথচ তিনি কেন এই বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন মিডিয়ার কাছে তার কারণ জানা গেল না এ ব্যাপারে মগরাহাট ২ নম্বর বিডিও তুহিন শুভ্র মহান্তি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি।রাধুনি পরিবর্তন সংক্রান্ত একটা সমস্যা চলছে ওই স্কুলে। আমি স্থানীয় প্রধানকে বিষয়টি দেখতে বলেছি আর উপযুক্ত কিছু কারনের ভিওিতে সরকারি নিয়ম মেনে রাধুনি পরিবর্তন করা হয়।বিষয় টি দেখছি কিভাবে সমাধান করা যায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যায় স্কুল খোলা থাকলেও,পড়ুয়া নেই মগরাহাটে

আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,মগরাহাট : মিড ডে মিলের রাধুনী পরিবর্তন নিয়ে ধুন্দুমার কান্ড ঘটে গেল মগরাহাটে।মগরাহাট ২ নং ব্লকের অধীন উড়েলচাঁদপুর পঞ্চায়েতের আবাদ ঈশ্বরীপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১২-১৩ বছর ধরে নবোদয় স্বলম্বী আনন্দধারা নামে একটি গ্রুপ রান্না করে।১৯৫২ সালে তৈরি হওয়া এই স্কুলে শিশু শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা হয়।বর্তমানে এই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৬ জন।শিক্ষক দুজন।গত কয়েকমাস ধরে অভিভাবকরা জানতে পারে তাদের ছেলে মেয়েদের উপর মিড ডে মিলের দায়িত্ব প্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রান্নার দায়িত্বে থাকা দুই মহিলা খুব খারাপ আচরণ করছে।ছাত্র ছাত্রীদের খেতে দিয়ে তাদের উপর মারধর করা থেকে শুরু করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন পর্যন্ত করছে বলে অভিযোগ।

মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যায় স্কুল খোলা থাকলেও,পড়ুয়া নেই মগরাহাটে

আর তার পর এই ঘটনা সম্পর্কে স্কুলের ভি ই কমিটিতে আলোচনা করা হয়।অভিভাবকদের পক্ষ থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশ বর,পঞ্চায়েতের প্রধান রাকেশ মন্ডল,অবর স্কুল পরিদর্শক মগরাহাট মধ্যচক্রের জয়ন্তী হালদার,মগরাহাট ২ নং বিডিও তুহিন শ্রুভ্র মহান্তিকে লিখিত ভাবে গন সাক্ষর সহ জমা দেন।তার পরেও কিছু না হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে আসতে বারন করে।আর বিগত ১৫ দিন ধরে স্কুলে কোনো পড়ুয়া না আসায় মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিল সহ মাদ্রাসা পরিচালনা ও পঠন পাঠনে গাফিলতির অভিযোগ, বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের

মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যায় স্কুল খোলা থাকলেও,পড়ুয়া নেই মগরাহাটে

আরও পড়ুন: ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা হয়ে গেল মগরাহাটের যুগদিয়ায়

স্কুলের শিক্ষকেরা স্কুলে এসে পড়ুয়া না পেয়ে সরকারি সময়ের আগেই স্কুল থেকে চলে যায় বলে অভিযোগ।এব্যাপারে অভিভাবক অর্পিতা বাগ,অনুরাধা বর,বন্দনা মন্ডল সহ আরো কয়েকজন বলেন,আমাদের ছেলে মেয়েদের উপর রাধুনিরা খেতে দিয়ে মারধর করে,নিম্ন মানের খাবার রান্না করে,সরকারি মিড ডে মিলের রুটিন মেনে রান্না করে না।আমরা কিছু বললে আমাদের উপর মেজাজ দেয়।তাই আমরা চাই রাধুনিদের পরিবর্তন করতে হবে।না হলে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে দোবো না।ভিইসি কমিটির সদস্য সুন্দরী দলুই, মেগনাথ সিংহ বলেন,আমরা স্কুলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যা নিয়ে একাধিকবার মিটিং করেছি।ঐ রাধুনিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় আমরা চাই পরিবর্তন করা হোক ওদের।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গনেশ বর বলেন,রাধুনি পরিবর্তন সমস্যায় বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়া আসছে না। তাই এব্যাপারে আমরা চাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশ বর বলেন,বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়ারা আসছে না,মিড ডে মিল বন্ধ,রাধুনি নিয়ে সমস্যার কারনে।আমি চাই বিডিওর উদ্যোগে প্রশাসনিক ভাবে সমস্যার সমাধান করা হোক।এব্যাপারে উড়েলচাঁদপুর পঞ্চায়েত প্রধান রাকেশ মন্ডল বলেন,আমি বিডিও সাহেবের নির্দেশ মেনে গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনায় বসি সমাধানের উদ্দেশে,কিন্তু সেখানে উক্ত রাধুনি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেউ আসেননি।গ্রামবাসীরা চায় রাঁধুনির পরিবর্তন। আমি চাই এই সমস্যার সমাধান।আমি এব্যাপারে বিডিও সাহেবকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছি।এবার উনি দেখুক বিষয়টি।

এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকার পরেও সুকৌশলে এই সমস্যার সমাধান না করে এড়িয়ে গেলেন মগরাহাট মধ্য চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক জয়ন্তী হালদার। তিনি এ বিষয়ে সুকৌশলে এড়িয়ে যান কেন কিছু জানেন না বলে অথচ অভিভাবকদের তরফে গণস্বাক্ষর সহ চিঠি দেওয়া হয় তার দপ্তরে।অথচ তিনি কেন এই বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন মিডিয়ার কাছে তার কারণ জানা গেল না এ ব্যাপারে মগরাহাট ২ নম্বর বিডিও তুহিন শুভ্র মহান্তি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি।রাধুনি পরিবর্তন সংক্রান্ত একটা সমস্যা চলছে ওই স্কুলে। আমি স্থানীয় প্রধানকে বিষয়টি দেখতে বলেছি আর উপযুক্ত কিছু কারনের ভিওিতে সরকারি নিয়ম মেনে রাধুনি পরিবর্তন করা হয়।বিষয় টি দেখছি কিভাবে সমাধান করা যায়।