বাংলা ভাষাকে “বাংলাদেশি ভাষা”
বাঙালি সমাজের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা চরম নিন্দা এসডিপিআই-এর

- আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
- / 30
পুবের কলম প্রতিবেদক : এবার বাঙালি সমাজের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননার প্রতি চরম নিন্দা জানাল এসডিপিআই। নয়া দিল্লির লোধি কলোনি থানার পক্ষ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সরকারি পত্রে বাংলা ভাষাকে “বাংলাদেশি ভাষা” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরনের ভাষাগত শ্রেণিবিন্যাস শুধু প্রশাসনিক অজ্ঞতা নয়, বরং এটি এক গভীর সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অবমাননার বহিঃপ্রকাশ।
বাংলা ভাষা কেবল বাংলাদেশেই নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা সহ একাধিক রাজ্যে কোটি কোটি ভারতীয় নাগরিকের মাতৃভাষা। বাংলা ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভাষা, যার সাংবিধানিক স্বীকৃতি রয়েছে ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলে। দিল্লি পুলিশের নথিতে বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে উল্লেখ করা একটি মারাত্মক প্রশাসনিক চক্রান্ত এবং এ ভাষাভাষী ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি অপমানজনক।” এই ধরনের মনোভাব জাতীয় সংহতির পরিপন্থী এবং এটি বিদেশিদের বিরুদ্ধে তদন্তকে রাজনৈতিক ও ভাষাগত রঙ দিতে পারে, যা মেনে নেওয়া যায় না।
এসডিপিআই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও দিল্লি পুলিশের কাছে এই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং সংশোধনের দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে, সমস্ত প্রশাসনিক স্তরে বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছে। রাজ্য সরকারকে এক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া রাজ্যসম্পাদক মাসুদুল ইসলাম দাবি করে বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি নথি থেকে “বাংলাদেশি ভাষা” শব্দবন্ধটি বাদ দিয়ে “বাংলা ভাষা” বা “Bengali Language” ব্যবহার করতে হবে।
যারা এই ধরনের চিঠি করেছে সেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।
ভবিষ্যতে এই ধরনের সাংবিধানিক অসঙ্গতি রোধে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিতে হবে। কোনো ক্ষেত্রেই বাংলাকে বাংলাদেশী ভাষা তকমা দেওয়া যাবে না।
বাংলা ভাষাকে রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে ভাগ করার এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি সমাজকে সচেতন, প্রতিবাদী ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান করছে এসডিপিআই। সারা বিশ্বে বাংলা ভাষা পঞ্চম স্থানে আর এশিয়া মহাদেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ।এর পরেও কি করে দিল্লির পুলিশের ওই আধিকারিক বাংলা ভাষাকে “বাংলাদেশী ভাষা ” আখ্যা দিতে পারেন।