পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যমে পর্ষদের তরফে হাই মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেছেন। পরীক্ষা শেষের প্রায় ৪০ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করা হল। মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল মিলিয়ে প্রথম দশে স্থান অধিকার করেছে ৩৭ জন। এর মধ্যে হাই মাদ্রাসায় ১৫ জন, আলিমে ১০ জন, ফাজিলে ১২জন। ৩৭ জনের তালিকায় ছাত্রী রয়েছে ১৭ জন এবং ছাত্রের সংখ্যা ২০জন।

আরও পড়ুন: এক নজরে দেখে নিন ফাজিলের ফল

হাই মাদ্রাসায় ছাত্রদের চাইতে ছাত্রীরা এগিয়ে। প্রথম দশে ১৫ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে ১২ জন ছাত্রী। জেলার ভিত্তিতে প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুর। পাশের হার ৯৭.৫৪ শতাংশ। দ্বিতীয় আলিপুরদুয়ার।পাশের হার ৯৫.৬৩ শতাংশ। তৃতীয় হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। পাশের হার ৯৫.২১ শতাংশ।

মোট পরীক্ষার্থী হাই মাদ্রাসায় ৪৪ হাজার ৭৩ জন। পাশ করেছে ৩৯ হাজার ৮০৬ জন।পাশের হার ৯০.৩২ শতাংশ। চলতি বছর যুগ্ম প্রথম হয়েছে হাই মাদ্রাসায়। মালদহের ফাহমিদা ইয়াসমিন ও শাহিদা পারভিন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০। দ্বিতীয় চতুর্থ স্থানে মালদার রামনগর হাই মাদ্রাসার আফরিদা বানু। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭১। পঞ্চম হয়েছেন ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার সবনম বানু। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭০। ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন শামিম আখতার, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৯। মালদার রামনগর হাই মাদ্রাসার ছাত্র। যুগ্মভাবে সপ্তম হয়েছেন অফিফা আফরিন সিদ্দিকি এবং নুরজাহান খাতুন। তাঁরা যথাক্রমে ভগবানপুর হাই মাদ্রাস এবং বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাস থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৮। অষ্টম হয়েছেন ফাহিমা খাতুন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৮। মালদার বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসা থেকে ২০২৫ সালের হাই মাদ্রাস পরীক্ষা দিয়েছিলেন। যুগ্ম ভাবে নবম উত্তর ২৪ পরগণার হাতিয়ারা হাই মাদ্রাসার তৌফিক আলম মণ্ডল এবং বর্ধমানের কাশিয়ারা হাই মাদ্রাসা থেকে মুহাম্মদ লস্কর (৭৬৬) দশম হয়েছে তিনজন। মুর্শিদাবাদের শাহাদিয়ার হাই মাদ্রাসা থেকে সোহা খাতুন ( ৭৬৫) এবং মালদার ভগবানপুর হাই মাদ্রাসা থেকে আঞ্জুমান নিশা এবং মালদার বুধিয়া হাই মাদ্রাসার রিজওয়ানা সুলতানা।হয়েছে মালদহের শ্যামসুন নেহার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৬। তৃতীয় হয়েছে মালদহ থেকে আলিফনুর খাতুন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭২।

ইংরেজি মাধ্যমে মু্র্শিদাবাদ থেকে হাই মাদ্রাসায় প্রথম হয়েছেন জাভদ আখতার। হুগলির ছাত্রী সাইমা শাহিন উর্দু মাধ্যমে প্রথম হয়েছেন। পর্ষদ জানিয়েছে, তৎকাল রিভিউ স্ক্রুটিনি করতে চাইলে সাতদিনের মধ্যে দরখাস্ত করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে জানানো হবে তার ফলাফল।