২৯ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাকে জিতিয়ে শামি বললেন, দেখা যাক ভাগ্যে কী আছে!

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 71

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুহাম্মদ শামি এবং শাহবাজ আহমেদের দাপটে রঞ্জি ট্রফিতে ঘরের মাঠে গুজরাতকে ১৪১ রানে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট ঘরে তুলল বাংলা। ম্যাচে মোট আট উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের ফের বার্তা দিলেন শামি। অন্যদিকে শাহবাজ আহমেদ পেলেন মোট ৯ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা ৮ উইকেটে ২১৪ রান তুলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে। জয়ের জন্য গুজরাতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২৭। তবে শামির আগুনে বোলিংয়ে তারা থেমে যায় ১৮৫ রানে। উর্ভিল প্যাটেল ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন। জয়মিত প্যাটেল করেন ৪৫। তাঁদের ব্যটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচ ড্র হয়ে যেতে পারে। বাংলার বোলাররা অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন। প্রথম বলেই অভিষেক দেশাই ফেরান শামি। আর্য দেশাইকে (১৩) সাজঘরের রাস্তা দেখান আকাশ দীপ। এরপরেই উর্ভিল ও জয়মিত জুটি গুজরাতের পক্ষে লড়াই শুরু করেন। দু’জনে বড় জুটিও গড়েন। এই জুটিকে ভাঙেন শামি। তাঁর বলে অভিষেকের হাতে ধরা পড়েন জয়মিত (৪৫)। এরপরে উমং কুমার, চিন্তন গাজাকে ফেরান শাহবাজ। দু’জনেই রানের খাত খুলতে পারেননি। এরপরে পরপর তিনটি উইকেট তুলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন শামি। গুজরাতের শেষ ৬টি উইকেট পড়ে যায় মাত্র ৩২ রানেই। এই পর্বে শামি ৩৮ রানে পাঁচটি উইকেট দখল করেন। ১৬.৫ ওভার বল করে শাহবাজ পেয়েছেন তিনটি উইকেট।
এর আগে এ দিন ১৭০/৬ অবস্থায় খেলা শুরু করে বাংলা। ২১৪ রানে ইনিংসে সমাপ্তি ঘোষণা করেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এই ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। শাহবাজ আহমেদ ১৫ বলে ২০ রান করেন।

আরও পড়ুন: ফের বঞ্চনার শিকার শামি, ভারতের ‘এ’ দলে জায়গা হল না সরফরাজেরও

চলতি অস্ট্রিয়ার সফরের দলে শামিকে না দেখে অনেকেই অবাক হন। কেন বাংলার পেসার সুযোগ পেলেন না, সেই প্রশ্ন তোলেন একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার। এই আবহে রঞ্জি শুরুর মুখে শামি বলেছিলেন, ‘আমি ফিট কি না, সেটা রঞ্জিতে সবাই দেখতে পাবে।’ আর প্রথম ম্যাচে সাত উইকেট নেওয়ার পরে ইডেনে গুজরাতের বিরুদ্ধে ৮উইকেট নেওয়ার পরে অজিত আগরকরদের বার্তা দিয়ে দিলেন শামি। এ দিকে এই আবহে বাংলা-গুজরাত উপলক্ষ্যে ইডেনে এসেছেন নির্বাচক দলের সদস্য রুoপ্রতাপ সিং। ম্যাচের পরে শামির সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে। রঞ্জিতে প্রথম দুটি ম্যাচের পরে নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই আর শামির ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না।

আরও পড়ুন: শেষ টেস্টে দলে ফিরছেন শামি

ইডেনে অনবদ্য পারফরম্যান্স করার পরে শামি বললেন, ‘আমার হাতে যেটা ছিল, সেটা করেছি। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। দেখা যাক, ভাগ্য আমাকে কোথায় নিয়ে যায়।’ পাশাপাশি শামি বলে দেন, চোট কাটিয়ে যে প্লেয়ার জাতীয় দলে ফিরতে চায় তাকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই আসতে হবে। বাংলার পেসার বলছেন, ‘নিজের রাজ্যের হয়ে খেলতে সবসময় আলাদা উদ্যোম কাজ করে। আর আমার মনে হয়, চোট কাটিয়ে কামব্যাক করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারটিকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই আসতে হবে। এতে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়, এবং তাঁকে পুরোপুরি ফিট থাকতে হবে।’ সামনেই রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফর। সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে ইডেনেই। আর ঘরের মাঠেই পরপর দুটি ম্যাচে যে পারফরম্যান্স তুলে ধরলেন শামি, তাতে ইডেনে ফের তাঁর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আরও পড়ুন: বুমরাহর পরিবর্ত হিসেবে শামিই সেরা বিকল্প: রায়না

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাকে জিতিয়ে শামি বললেন, দেখা যাক ভাগ্যে কী আছে!

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুহাম্মদ শামি এবং শাহবাজ আহমেদের দাপটে রঞ্জি ট্রফিতে ঘরের মাঠে গুজরাতকে ১৪১ রানে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট ঘরে তুলল বাংলা। ম্যাচে মোট আট উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের ফের বার্তা দিলেন শামি। অন্যদিকে শাহবাজ আহমেদ পেলেন মোট ৯ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা ৮ উইকেটে ২১৪ রান তুলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে। জয়ের জন্য গুজরাতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২৭। তবে শামির আগুনে বোলিংয়ে তারা থেমে যায় ১৮৫ রানে। উর্ভিল প্যাটেল ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন। জয়মিত প্যাটেল করেন ৪৫। তাঁদের ব্যটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচ ড্র হয়ে যেতে পারে। বাংলার বোলাররা অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন। প্রথম বলেই অভিষেক দেশাই ফেরান শামি। আর্য দেশাইকে (১৩) সাজঘরের রাস্তা দেখান আকাশ দীপ। এরপরেই উর্ভিল ও জয়মিত জুটি গুজরাতের পক্ষে লড়াই শুরু করেন। দু’জনে বড় জুটিও গড়েন। এই জুটিকে ভাঙেন শামি। তাঁর বলে অভিষেকের হাতে ধরা পড়েন জয়মিত (৪৫)। এরপরে উমং কুমার, চিন্তন গাজাকে ফেরান শাহবাজ। দু’জনেই রানের খাত খুলতে পারেননি। এরপরে পরপর তিনটি উইকেট তুলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন শামি। গুজরাতের শেষ ৬টি উইকেট পড়ে যায় মাত্র ৩২ রানেই। এই পর্বে শামি ৩৮ রানে পাঁচটি উইকেট দখল করেন। ১৬.৫ ওভার বল করে শাহবাজ পেয়েছেন তিনটি উইকেট।
এর আগে এ দিন ১৭০/৬ অবস্থায় খেলা শুরু করে বাংলা। ২১৪ রানে ইনিংসে সমাপ্তি ঘোষণা করেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এই ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। শাহবাজ আহমেদ ১৫ বলে ২০ রান করেন।

আরও পড়ুন: ফের বঞ্চনার শিকার শামি, ভারতের ‘এ’ দলে জায়গা হল না সরফরাজেরও

চলতি অস্ট্রিয়ার সফরের দলে শামিকে না দেখে অনেকেই অবাক হন। কেন বাংলার পেসার সুযোগ পেলেন না, সেই প্রশ্ন তোলেন একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার। এই আবহে রঞ্জি শুরুর মুখে শামি বলেছিলেন, ‘আমি ফিট কি না, সেটা রঞ্জিতে সবাই দেখতে পাবে।’ আর প্রথম ম্যাচে সাত উইকেট নেওয়ার পরে ইডেনে গুজরাতের বিরুদ্ধে ৮উইকেট নেওয়ার পরে অজিত আগরকরদের বার্তা দিয়ে দিলেন শামি। এ দিকে এই আবহে বাংলা-গুজরাত উপলক্ষ্যে ইডেনে এসেছেন নির্বাচক দলের সদস্য রুoপ্রতাপ সিং। ম্যাচের পরে শামির সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে। রঞ্জিতে প্রথম দুটি ম্যাচের পরে নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই আর শামির ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না।

আরও পড়ুন: শেষ টেস্টে দলে ফিরছেন শামি

ইডেনে অনবদ্য পারফরম্যান্স করার পরে শামি বললেন, ‘আমার হাতে যেটা ছিল, সেটা করেছি। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। দেখা যাক, ভাগ্য আমাকে কোথায় নিয়ে যায়।’ পাশাপাশি শামি বলে দেন, চোট কাটিয়ে যে প্লেয়ার জাতীয় দলে ফিরতে চায় তাকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই আসতে হবে। বাংলার পেসার বলছেন, ‘নিজের রাজ্যের হয়ে খেলতে সবসময় আলাদা উদ্যোম কাজ করে। আর আমার মনে হয়, চোট কাটিয়ে কামব্যাক করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারটিকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই আসতে হবে। এতে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়, এবং তাঁকে পুরোপুরি ফিট থাকতে হবে।’ সামনেই রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফর। সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে ইডেনেই। আর ঘরের মাঠেই পরপর দুটি ম্যাচে যে পারফরম্যান্স তুলে ধরলেন শামি, তাতে ইডেনে ফের তাঁর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আরও পড়ুন: বুমরাহর পরিবর্ত হিসেবে শামিই সেরা বিকল্প: রায়না